আবিদের ইতিহাসের দিনে ডি সিলভা-বাবরের সেঞ্চুরি
প্রথম টেস্ট, রাওয়ালপিন্ডিতে
শ্রীলঙ্কা ১ম ইনিংস ৩০৮/৬ ডিক্লে.
পাকিস্তান ১ম ইনিংস ২৫২/২
ম্যাচ ড্র
শেষদিনে এসে খেলা হলো রাওয়ালপিন্ডিতে, আলাদা করে সে খেলা রোমাঞ্চও ছড়ালো। আবিদ আলি ঢুকে গেলেন ইতিহাসে। ইতিহাসের প্রথম পুরুষ ক্রিকেটার হিসেবে ওয়ানডে ও টেস্ট- দুই ফরম্যাটেই অভিষেকে সেঞ্চুরি পেয়েছেন তিনি। এর আগে-পরে এদিন সেঞ্চুরি পেয়েছেন ধনঞ্জয়া ডি সিলভা ও বাবর আজমও। পাকিস্তান-শ্রীলঙ্কার প্রথম ম্যাচে ড্র ছাড়া কোনও ফল সম্ভব ছিল না আদতে, অসম্ভব কিছু ঘটেওনি।
৮৭ রানে অপরাজিত থাকা ডি সিলভা সেঞ্চুরি ছুঁয়েছিলেন মোহাম্মদ আব্বাসকে চার মেরে, সে ওভারের শেষেই ইনিংস ঘোষণা করে দিয়েছিল শ্রীলঙ্কা। ব্যাটিংয়ে নেমে তৃতীয় ওভারেই ফিরেছিলেন পাকিস্তান ওপেনার শান মাসুদ, কাসুন রাজিথার ফুলটসে মিড-অফে ক্যাচ দিয়ে।
আবিদ-আজহার আলি জুটি অবিচ্ছিন্ন থেকে লাঞ্চে গিয়েছিল। কাসুন রাজিথার বলে শর্ট মিডউইকেটে আলগা ডিসমিসাল হয়েছে আজহারেরও, দুজনের জুটি ভেঙেছে ৮৭ রানে। শ্রীলঙ্কা আর উইকেট পায়নি এরপর, আবিদ-বাবর পেয়েছেন সেঞ্চুরি।
চা-বিরতিতে যাওয়ার সময় আবিদের রান ছিল ৯১, বাবর অপরাজিত ছিলেন ৪৭ রানে। বিরতির পর বেশ সময় নিয়েছেন আবিদ মাইলফলকে যেতে। চার মেরে ৯৯-এ পৌঁছানোর পর ভিশ্ব ফার্নান্ডোর বল কাভারে ঠেলে নিয়েছেন ডাবলস- ঢুকে গেছেন তিনি ইতিহাসে।
গত মার্চে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দুবাইয়ে নিজের প্রথম ওয়ানডেতে তিনি করেছিলেন ১১২ রান। ৩২ বছর পেরিয়ে যাওয়ার পর টেস্ট অভিষেক হলো আবিদের, অভিষেকেই পেলেন সেঞ্চুরি। এতো বয়সে অভিষেক টেস্টেই সেঞ্চুরি পেয়েছেন এর আগে ৭ জন। ১১টি চার মেরেছেন আবিদ, শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন ১০৯ রানে।
আবিদ যখন নড়বড়ে নব্বইয়ে, তখন দ্রুতই এগুচ্ছিলেন বাবর। ফিফটি পূর্ণ করেছিলেন তিনি ৭০ বলে, দারুণ এক কাভার ড্রাইভে। কাভার দিয়ে চার মেরেই ক্যারিয়ারের তৃতীয় সেঞ্চুরি পেয়ে গেছেন তিনি, পরের ফিফটি পূর্ণ করতে তার লেগেছে ৪৮ বল। বাবরের সেঞ্চুরির পর আর ১ ওভার হয়েছে খেলা, এরপরই ড্র মেনে নিয়েছে দুই দল।
সিরিজের দ্বিতীয় টেস্ট শুরু হবে ১৯ ডিসেম্বর, করাচিতে।