• শ্রীলংকার পাকিস্তান সফর
  • " />

     

    আবিদ-মাসুদের জোড়া সেঞ্চুরিতে কোণঠাসা শ্রীলঙ্কা

    আবিদ-মাসুদের জোড়া সেঞ্চুরিতে কোণঠাসা শ্রীলঙ্কা    

    ৩য় দিন, স্টাম্পস
    পাকিস্তান ১ম ইনিংস ১৯১ অল-আউট (বাবর ৬০, শফিক ৬৩, কুমারা ৪/৪৯, এমবুলদেনিয়া ৪/৭১) ও ২য় ইনিংস ৩৯৫/২* (আবিদ ১৭৪, মাসুদ ১৩৫, কুমারা ২/৮৮)
    শ্রীলঙ্কা ১ম ইনিংস ২৭১ অল-আউট (চান্ডিমাল ৭৪, পেরেরা ৪৮, আফ্রিদি ৫/৭৭, আব্বাস ৪/৫৫)
    পাকিস্তান ২৩ রানে পিছিয়ে 


    করাচি টেস্টের প্রথম দিন উইকেট পড়েছিলে ১৩টি, দ্বিতীয় দিন ৭টি। তৃতীয় দিন পড়লো মাত্র ২টি। তবে যে দুজন আউট হলেন, তাদের রান যথাক্রমে ১৩৫ ও ১৭৪। এসব তথ্যই আদতে বলে দেয়, এক দলের আধিপত্য বিস্তারে নাভিশ্বাস উঠে গেছে আরেক দলের। শান মাসুদ ও আবিদ আলির জোড়া সেঞ্চুরি, রেকর্ড জুটির পর আজহার আলির ফিফটিতে করাচি টেস্টের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিয়েছে পাকিস্তান, দুই দিন বাকি থাকতে দ্বিতীয় ইনিংসে পাকিস্তান এখন এগিয়ে ৩১৫ রানে। তৃতীয় দিনশেষে পথ থেকে বেশ খানিকটা ছিটকে গেছে শ্রীলঙ্কা। 

    নিজের দ্বিতীয় টেস্টে আবিদ করেছেন দ্বিতীয় সেঞ্চুরি, অভিষেক টেস্টসহ প্রথম দুই ম্যাচে দুই সেঞ্চুরি করা ইতিহাসের নবম ব্যাটসম্যান হয়ে গেছেন তিনি। মাসুদও করেছেন ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি। দুজনের ২৭৮ রানের ওপেনিং জুটি পাকিস্তানের ইতিহাসের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। 

     


    সকালে শ্রীলঙ্কান বোলাররা একটু সহায়তা পেয়েছিলেন উইকেট থেকে, ধীরে ধীরে মিলিয়ে গেছে সেসব, বেড়েছে মাসুদ-আবিদের আধিপত্য। ১৭৫ রান নিয়ে লাঞ্চে গিয়েছিলেন দুজন, সে সময় আবিদ সেঞ্চুরি থেকে ৭ রান দূরে ছিলেন, মাসুদের রান ছিল ৭৮। 

    তিন অঙ্কে যেতে আবিদ খেলেছেন ১৩৭ বল, দেড়শ ছুঁয়েছিলেন ২৪২ বলে। লাহিরু কুমারার ভেতরের দিকে ঢোকা বলে এলবিডব্লিউ হওয়ার আগে আজহার আলির সঙ্গে জুটিতেও ৭৭ রান যোগ করেছিলেন আবিদ। ইনিংসে ২১টি চারের সঙ্গে মেরেছেন ১টি ছয়। 

    আবিদের আগেই ফিরেছিলেন মাসুদ, ১৪৮ বলে সেঞ্চুরি পূর্ণ করার পর এই বাঁহাতি শেষ পর্যন্ত করেছেন ১৩৫ রান করতে খেলেছিলেন ১৯৮ বল। আবিদ বাউন্ডারি থেকে করেছেন ৯০ রান, বিপরীতে মাসুদ করেছেন ৫৬। কুমারারই বাড়তি বাউন্সে পুল করতে গিয়ে ডিপ স্কয়ার লেগে ধরা পড়েছিলেন মাসুদ। 

    দ্বিতীয় সেশনে একটির পর শেষ সেশনে আরেকটি উইকেট হারিয়েছিল পাকিস্তান। আবিদের উইকেটের পরই করাচি মেতেছিল ‘বাবর বাবর’ ধ্বনিতে, ২২ রানের অপরাজিত ইনিংসে ১টি বাউন্ডারি মেরেছেন বাবর। তার সঙ্গী আজহার, পাকিস্তান অধিনায়ক অপরাজিত আছেন ৫৭ রানে।