• শ্রীলংকার পাকিস্তান সফর
  • " />

     

    করাচিতে ১৩ উইকেটের দিনে এগিয়ে শ্রীলঙ্কা

    করাচিতে ১৩ উইকেটের দিনে এগিয়ে শ্রীলঙ্কা    

    ২য় টেস্ট, করাচি
    পাকিস্তান ১ম ইনিংস ১৯১ অল-আউট (বাবর ৬০, শফিক ৬৩, কুমারা ৪/৪৯, এমবুলদেনিয়া ৪/৭১)
    শ্রীলঙ্কা ১ম ইনিংস ৬৪/৩* (করুনারত্নে ২৫, আব্বাস ২/২১)
    শ্রীলঙ্কা ১ম ইনিংসে ১২৭ রানে পিছিয়ে 


    একদিনেই পড়েছে ১৩ উইকেট, এর মাঝে ৮ উইকেটই পড়েছে শেষ সেশনে। করাচিতে বোলারদের দিনে ১৯১ রানে গুটিয়ে যাওয়ার পর শ্রীলঙ্কার ৩ উইকেট নিতে পেরেছে পাকিস্তান। তবে দিনশেষে খানিকটা এগিয়ে থাকবে সফরকারীরাই। 

    অথচ ঘাসের ছোঁয়া থাকা উইকেটে টসে জিতে ব্যাটিং নিয়েছিলেন পাকিস্তান অধিনায়ক আজহার আলি, শুরুর সময়টা কাটানোর পর ব্যাটিংয়ের জন্য সহায়কই থাকার কথা ছিল কন্ডিশন। সেখানেই রাজত্ব করেছেন বোলাররা। ১৬৭ রানে ৪ উইকেট থাকার পর লাসিথ এমবুলদেনিয়া ও লাহিরু কুমারার তোপে ১৯১ রানেই গুটিয়ে গেছে পাকিস্তান। শ্রীলঙ্কা এরপর ৬৪ রান তুলতে হারিয়েছে ওশাদা ফার্নান্ডো, দিমুথ করুনারত্নে ও কুসাল মেন্ডিসের উইকেট। 

    ব্যাটিংয়ে নামা পাকিস্তান শুরুতেই বিপর্যয়ে পড়েছিল ভিশ্ব ফার্নান্ডোর তোপে, তিন বলের ব্যবধানে দুর্দান্ত দুই ডেলিভারিতে বোল্ড করেছিলেন তিনি শান মাসুদ ও অধিনায়ক আজহারকে। আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান আবিদ আলিকে নিয়ে এরপর পরিস্থিতি সামাল দিয়েছিলেন বাবর আজম, কুমারার নিপড-ব্যাক ডেলিভারিতে আবিদ এলবিডব্লিউ হলে ভেঙেছে ৫৫ রানের সে জুটি। 

    পাকিস্তান লাঞ্চে গিয়েছিল ৩ উইকেট নিয়েই। তখন অপরাজিত থাকা বাবর ও আসাদ শফিক- দুজনই পরে করেছেন ফিফটি, তবে আটকে গেছেন সত্তরের আগেই। ৬০ রান করার পর এমবুলদেনিয়ার ঝুলিয়ে দেওয়া বলে সামনে বেরিয়ে এসে খেলতে গিয়ে নাগাল না পেয়ে স্টাম্পড হয়েছিলেন বাবর। শফিক টিকে ছিলেন একদিকে, কুমারার হাফ-ট্র্যাকারে ফাইন লেগে ক্যাচ দেওয়ার আগে তিনি করেছেন ৬৩। 

    এর আগেই ধস নেমেছে পাকিস্তানের ইনিংসে। ৫ বলের ব্যবধানে তারা হারিয়েছে ৩ উইকেট। প্রথমে এমবুলদেনিয়ার বলে এলবিডব্লিউ হয়েছেন হারিস সোহেল, আর পরপর দুই বলে কুমারা করেছেন জোড়া আঘাত- মোহাম্মদ রিজওয়ানকে টপ অফ অফে বোল্ড করেছেন, আর দ্রুতগতির বল সামলানোর সামর্থ্য ছিল না ইয়াসির শাহর, যিনি হয়েছেন এলবিডব্লিউ। 

    শফিকের উইকেতের আগে পরে মোহাম্মদ আব্বাস ও শাহিন শাহ আফ্রিদিকে ফিরিয়ে ইনিংস শেষের কাজ করেছেন এমবুলদেনিয়া, আফ্রিদির ক্যাচটি মিড-অফ থেকে পেছন দিকে দৌড়ে দারুণভাবে নিয়েছেন ম্যাথিউস। বোলিংয়ের মতো ফিল্ডিংয়েও এদিন দারুণ ছিলেন লঙ্কানরা। 

    পাকিস্তানের এরপর প্রথম ব্রেকথ্রু পেয়েছে ৭ম ওভারে গিয়ে, ফার্নান্ডোর উইকেটটি তারা পেয়েছে রিভিউ নিয়ে। স্টাম্পের বাইরের বলে ড্রাইভ করতে গিয়ে এজড হয়েছিলেন তিনি, আল্ট্রা-এজ দেখিয়েছে স্পাইক। এরপরের দুই উইকেট আব্বাসের- করুনারত্নে স্টাম্পে ডেকে এনেছেন বল, আর স্লিপে হারিস সোহেলের দারুণ ক্যাচে পরিণত হয়েছেন মেন্ডিস। 

    নাইটওয়াচম্যান এমবুলদেনিয়াকে নিয়ে এরপর আর কোনও অঘটন ঘটতে দেননি ম্যাথিউস, তবে করাচি দ্বিতীয় দিনেও রোমাঞ্চের হাতছানি দিয়ে রেখেছে বোলারদের।