• শ্রীলংকার পাকিস্তান সফর
  • " />

     

    আফ্রিদির ৫, চান্ডিমাল-পেরেরার লড়াইয়ের পর সাম্যাবস্থায় করাচি টেস্ট

    আফ্রিদির ৫, চান্ডিমাল-পেরেরার লড়াইয়ের পর সাম্যাবস্থায় করাচি টেস্ট    

    ২য় দিন, স্টাম্পস
    পাকিস্তান ১ম ইনিংস ১৯১ অল-আউট (বাবর ৬০, শফিক ৬৩, কুমারা ৪/৪৯, এমবুলদেনিয়া ৪/৭১) ও ২য় ইনিংস ৫৭/০*
    শ্রীলঙ্কা ১ম ইনিংস ২৭১ অল-আউট (চান্ডিমাল ৭৪, পেরেরা ৪৮, আফ্রিদি ৫/৭৭, আব্বাস ৪/৫৫)
    পাকিস্তান ২৩ রানে পিছিয়ে 


    দিনভর তরঙ্গের মতো ওঠানামা করল করাচি টেস্ট, বদলালো দিক। কখনও শাহিন শাহ আফ্রিদি পাকিস্তানের দিকে টানলেন মোমেন্টাম, কখনও দীনেশ চান্ডিমাল নিয়ে গেলেন শ্রীলঙ্কার দিকে। কখনও বা হারিস সোহেলের বোলিং একরাশ স্বস্তি দিল স্বাগতিকদের, আবার দিলরুয়ান পেরেরা টানলেন সফরকারিদের। আগেরদিন ১৩ উইকেটের বিপরীতে করাচিতে এদিন পড়েছে ৭ উইকেট, আফ্রিদির ৫ উইকেটের সঙ্গে দীনেশ চান্ডিমালের ৭৪ রান ও দিলরুয়ান পেরেরার ৪৮ রানের ইনিংসের পর দ্বিতীয় দিনশেষে দ্বিতীয় টেস্ট আছে সাম্যাবস্থায়। 

    মূলত চান্ডিমালকে ঘিরেই আবর্তিত হয়েছে শ্রীলঙ্কার ইনিংস, প্রথম ইনিংসে ৮০ রানের লিড এনে দিয়েছে তার দৃঢ়চেতা ওই ইনিংসই। আগেরদিন ৬১ রানে ৩ উইকেট হারানো শ্রীলঙ্কা এদিন পরিণত হয়েছিল ৮০ রানে ৫ উইকেটে। সেখান থেকে চান্ডিমালের ইনিংসের সঙ্গে নয়ে নামা পেরেরার ৪৮ ইনিংসে শেষ পর্যন্ত তারা পেয়েছে লিড। ব্যাটিংয়ে নেমে দুই পাকিস্তান ওপেনার আবিদ আলি ও শান মাসুদ করেছেন আক্রমণাত্মক ব্যাটিং, ১৪ ওভারে তারা তুলেছে ৪.০৭ হারে রান। দিনশেষে পাকিস্তানকে ২৩ রানের দূরত্বে নিয়ে গেছেন তারা। 

     


    নাইটওয়াচম্যান লাসিথ এমবুলদেনিয়াকে ফিরিয়ে পাকিস্তানের নতুন দিন শুরু করেছিলেন মোহাম্মদ আব্বাস। এরপর অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউসের বড় উইকেট এনে দেন আফ্রিদি, আউটসাইড দ্য লাইনে খেলতে গিয়ে কট-বিহাইন্ড হয়েছেন ম্যাথিউস। ধনঞ্জয়া ডি সিলভাকে নিয়ে এরপর প্রথম লড়াইটা শুরু করেছিলেন চান্ডিমাল। এ জুটিতে উঠেছিল ৬৭ রান। 

    লাঞ্চের আগে ধনঞ্জয়াকে ফিরিয়েছিলেন আফ্রিদি, আগেভাগেই পুল শট খেলে ফেলে তিনি দিয়েছিলেন ক্যাচ। শ্রীলঙ্কা লাঞ্চে গিয়েছিল ৪ উইকেট বাকি রেখে ২১ রানে পিছিয়ে থেকে। ডিকওয়েলার সঙ্গে চান্ডিমালের জুটি ছিল ৩৭ রানের, এবার এ জুটি ভেঙেছেন আব্বাস। উইকেটকিপার সামনে এসে চাপে ফেলেছিলেন ডিকওয়েলাকে, আর তাতেই তিনি মিস করে গেছেন আব্বাসের ভেতরের দিকে ঢোকা বলটা। 

    এ উইকেট দিয়ে আরেকবার রঙ বদলেছিল এ টেস্ট, শ্রীলঙ্কার লেজ দ্রুত ছেঁটে দিয়ে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ ছিল পাকিস্তানের সামনে। তবে চান্ডিমাল ও পেরেরা সেটি হতে দেননি, দুজনের ৫১ রানের জুটি পাকিস্তানকে হতাশ করে গেছে শুধু। এ জুটি ভাঙতে পার্টটাইমার হারিস সোহেলের প্রয়োজন পড়েছে পাকিস্তানের, তার বলে কাট করতে গিয়ে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে ধরা পড়েছেন চান্ডিমাল। 

    পাকিস্তান অবশ্য এরপরও আবার পড়েছে অস্বস্তিতে, এবার ভিশ্ব ফার্নান্ডোকে নিয়ে ৯ম উইকেটে ৩৬ রান যোগ করেছেন পেরেরা। তিন বলের ব্যবধানে পেরেরা ও শেষ ব্যাটসম্যান লাহিরু কুমারাকে ফিরিয়ে শ্রীলঙ্কাকে অল-আউট করার কাজ সম্পন্ন করেছেন আফ্রিদি, সঙ্গে পূর্ণ হয়েছে তার ৫ উইকেটও।