'সুযোগ সন্ধানী' কলিনদ্রেস আর লিটনের আক্ষেপ
রহমতগঞ্জ গোলরক্ষক রাসেল মাহমুদ লিটনের জন্য যেটা আক্ষেপের কারণ সেটাই শিরোপা জিততে সাহায্য করেছে বসুন্ধরা কিংসকে। লিটনের শিশুতোষ এক ভুলে দানিয়েল কলিনদ্রেস পেয়েছেন নিজের দ্বিতীয় গোল। ওই গোলেই শিরোপা নিশ্চিত হয়েছে বসুন্ধরার।
লিটন নিজের বক্সের ভেতর কলিনদ্রেসের কাছে বল হারিয়েছিলেন। এর পর ফাঁকা জালে বল ঢুকিয়ে দিয়েছিলেন কলিনদ্রেস। কিন্তু ওই গোলে কোনোভাবেই ভাগ্যের সাহায্য দেখছেন না বসুন্ধরা ফরোয়ার্ড, "‘দ্বিতীয় গোলটা লাকি গোল নয়। প্রতিপক্ষ ভুল করবে, সে সুযোগ থেকে আমি বা আমরা গোল করবই। এখানে লাকি গোলের কিছু নেই। আমি সুযোগ পেয়েছি। সেখান থেকে গোলও করেছি।"
৭৬ মিনিটে ওই গোলটি ভাগ্য গড়ে দিয়েছে ম্যাচের। অথচ এর আগ পর্যন্ত লিটন ছিলেন দুর্দান্ত। কোয়ার্টার ফাইনালে টাইব্রেকারে দলকে জিতিয়েছিলেন তিনিই। বসুন্ধরার বিপক্ষেও ম্যাচের ৬৮ মিনিটে দুর্দান্ত ডাবল সেভ করে দলকে ম্যাচে টিকিয়ে রেখেছিলেন লিটন। এর পরও অমন ভুল কীভাবে করলেন?
লিটন বলছেন সতীর্থ ইউনুসা কামারার কাছ থেকে পাস পাওয়ার সময় তিনি খেয়ালই করেননি কলিনদ্রেসকে, "কলিনদ্রেস যে দৌড়ে আসছিল সেটা আমি দেখিনি। কামারা যদি আমাকে ইশারা দিত তাহলেও হয়ত অমন ভুল করতাম না। আমার ক্যারিয়ারে এমন ভুল এই প্রথম করলাম।"
ম্যাচশেষে মাঠেই কান্নায় ভেঙে পড়েছিলেন লিটন। রহমতগঞ্জ কোচ আলাদা করে দুষতে চান না লিটনের ভুলটি, "লিটন যে অমন ভুল করবে সেটা কে ভেবেছিল। ও দারুণ গোলরক্ষক, জাতীয় দলেও খেলেছে। আসলে এমনটা ফুটবলে হয়।"- দিনশেষে বাস্তবতাই মেনে নিচ্ছেন জিলানি।
আর ফেডারেশন কাপ জিতে কোস্টারিকার হয়ে বিশ্বকাপ খেলে আসা কলিনদ্রেস জিতেছেন টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কারও। সেমিফাইনাল ও ফাইনাল মিলে ৩ গোল করেছেন তিনি। সেমিফাইনালের পরই ব্রুজোন বলেছিলেন কলিনদ্রেস দেশের ফুটবলের সবচেয়ে বড় বিজ্ঞাপন। কলিনদ্রেস গ্রুপ পর্ব ও কোয়ার্টার ফাইনালে ছন্দে না থাকলে সময়মতোই নিজের জাত চিনিয়েছেন। তার পারফরম্যান্সে ফিরেছে বসুন্ধরার চেনা রূপও। কলিনদ্রেস হয়ত সেরাটা জমিয়ে রেখেছিলেন কঠিন সময়ের জন্যই। আর সেই গল্পের ট্রাজিক হিরো হয়ে গেছেন লিটন।