রকিবুলের হ্যাটট্রিকে স্কটল্যান্ডকে উড়িয়ে দিল বাংলাদেশ
স্কটল্যান্ড অ-১৯ ৩০.৩ ওভারে ৮৯ অলআউট
বাংলাদেশ অ-১৯ ১৬.৪ ওভারে ৯১/৩
ফলঃ বাংলাদেশ ৭ উইকেটে জয়ী
ইনিংসের ২৪তম ওভারে কেইস সাজ্জাদকে করলেন বোল্ড। পরের বলে লিল রবার্টসন হলে এলবিডব্লু। রাকিবুল হাসানের সামনে এবার হ্যাটট্রিকের হাতছানি, চার্লি পিটকে বোল্ড করে সেটিও হয়ে গেল। অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে হ্যাটট্রিক পেলেন বাংলাদেশের বাঁহাতি স্পিনার রকিবুল হাসান। বাংলাদেশও পরে স্কটল্যান্ডকে ৭ উইকেটে উড়িয়ে দিয়েছে। দুই জয়ে নিশ্চিত হয়েছে সুপার লিগও।
ছোটদের এই বিশ্বকাপে বাংলাদেশের হয়ে এর আগেও বলার মতো পারফরম্যান্স আছে। হ্যাটট্রিকের কীর্তিও হয়েছে এর আগে। ২০১০ আসরে সেই কীর্তি ছিল পেসার কামরুল ইসলাম রাব্বির। সেবার মাত্র ৪.৫ ওভার বল করে তুলে নিয়েছিলেন আয়ারল্যান্ডের তিন টেল এন্ডার শেন গেটকেট, এডি রিচার্ডসন ও ক্রেইগ ইয়াংকে। ১৯৫ রানে সেই ম্যাচটা জিতেছিল বাংলাদেশ।
অনূর্ধ্ব ১৯ পর্যায়ে হ্যাটট্রিকের কীর্তি আছে আরও বেশ কটি। ভারতের হয়ে ২০১৪ বিশ্বকাপে কুলদীপ যাদব করেছিলেন হ্যাটট্রিক। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ২০১২ সালে করেছিলেন হ্যারি কনওয়ে। আর ২০১৬ সালে নেপালের সন্দীপ লামিচানের ছিল সেই কীর্তি। আর এবারের আসরে ভারতের কার্তিক তেয়াগি আফগানিস্তানের বিপক্ষে পেয়েছেন হ্যাটট্রিক।
টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই বিপদে পড়ে স্কটল্যান্ড। পঞ্চম ওভারে বেন ডেভিডসনকে ফিরিয়ে দিয়েছেন পেসার শরিফুক, এক বল পর ম্যাকিনটোশও আউট হয়ে গেছেন শরিফুলের বলে। এরপর অধিনায়ক অ্যাঙ্গাস গাইকে তানজীম হাসান সাকিব ফিরিয়ে দিলে ১৫ রানে ৩ রানে উইকেট হারিয়ে বসে স্কটল্যান্ড। জ্যাসপার ডেভিডসনকে আউট করে নিজের দ্বিতীয় উইকেট পেয়েছেন সাকিব। ২৪তম ওভারে হ্যাটট্রিক পেয়ে যান রকিবুল, ৬৭ রানে ৮ উইকেট হারিয়ে বসে স্কটল্যান্ড। তবে উজাইর শাহ একদিকে ছিলেন, তার জন্য শেষ পর্যন্ত ৮৭ রানে পৌঁছাতে পারে স্কটল্যান্ড। ২৭ রান করে শেষ পর্যন্ত শামীমের বলে আউট হয়েছেন উজাইর, আর কেয়ার্নসকে আউট করে চতুর্থ উইকেট পেয়েছেন রকিবুল। ৮৯ রানে অলআউট হয়েছে স্কটল্যান্ড।
এই রান তাড়া করে প্রথম বলেই তানজিদ হাসান ফিরে যান। শামীম ১০ রান করে আউট হয়ে গেছেন। তবে আরেক ওপেনার পারভেজ হোসেন তেড়েফুঁড়ে খেলছিলেন, শেষ পর্যন্ত আউট হয়ে গেছেন ১৫ বলে ২৫ রান করে। এরপর আর কোনো উইকেট হারায়নি বাংলাদেশ। তৌহিদ হৃদয় ও মাহমুদ হাসান জয় এরপর কোনো বিপদ হতে দেননি। জয় ৩৫ ও হৃদয় অপরাজিত ছিলেন ১৭ রানে।