• অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ ২০২০
  • " />

     

    সামনের ২ বছর প্রতি মাসে ১ লাখ টাকা করে পাবেন অ-১৯ দলের বিশ্বকাপজয়ীরা

    সামনের ২ বছর প্রতি মাসে ১ লাখ টাকা করে পাবেন অ-১৯ দলের বিশ্বকাপজয়ীরা    

    অনূর্ধ্ব ১৯ দলের পর এইচপি, 'এ' দল হয়ে জাতীয় দল... আকবরদের পথ হওয়ার কথা ছিল এমন। তবে বিশ্বকাপ জিতে ফেরা অ-১৯ দলের জন্য পথটা একটু বদলে যাচ্ছে। আজ বিশ্বকাপজয়ী দলকে মিরপুরে দেওয়া সংবর্ধনায় বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন বলেছেন, এই দলের জন্য বিশেষ একটি অনূর্ধ্ব-২১ ইউনিট গঠন করা হবে। সেই ইউনিটের অধীনে প্রতি ক্রিকেটারকে দুই বছর মাসে এক লাখ টাকা করে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বিসিবি সভাপতি।  

    অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপজয়ী দল দেশে ফেরার পর তাদের বর্ণাঢ্য এক সংবর্ধনাই দিয়েছে বিসিবি। মিরপুরে বড় কেক কেটে জয় উদযাপন করা হয়েছে। বিসিবি সভাপতি অকুন্ঠে বলেছেন, বাংলাদেশের খেলাধূলার ইতিহাসেই এই জয়টা সেরা অর্জন, "বিশ্বকাপের সাথে কোন কিছুর তুলনা হয় না। এটা বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় অর্জন। বিশ্বকাপ বিশ্বকাপই। ওরা আমাদের গৌরব। টুর্নামেন্ট জেতার পেছনে। তবে আরেকটা জিনিস বলেছি, এই বিশ্বকাপ জেতা অনেক কঠিন। তবে এই সাফল্য ধরে রাখা, এবং এটা থেকে উন্নতি করা আরও অনেক অনেক কঠিন। সেই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে।"

     


    সেই পথে এগিয়ে নিতে বিসিবি যে কিছু একটার ঘোষণা দিতে পারে, সেটা অনুমিত ছিল। নাজমুল হাসান সরাসরি অর্থ পুরস্কারের ঘোষণা দেননি। তবে এই দুই দলের জন্য বিশেষ একটি অনূর্ধ্ব-২১ ইউনিট গঠন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিসিবি, "আমরা ঠিক করেছি, অনূর্ধ্ব ২১ আরেকটা ইউনিট শুরু করব। অনূর্ধ্ব এর এই দলটাকেও স্পেশাল ট্রেনিং দেব। এই দুই বছর প্রত্যেক মাসে প্রতি জন খেলোয়াড় এক লাখ টাকা করে পাবে। এটা আমরা নিয়মিত মূল্যায়ন করব। যদি দেখি খেলোয়াড়দের উন্নতি ঠিকঠাক থাকে তাহলে তাদের ধরে রাখা হবে। আর উন্নতি না হলে বাদ পড়ে যাবে।"

    "দুই বছর তাদেরকে খেলার মধ্যে রাখতে হবে। আগামী সপ্তাহে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ওদের সংবর্ধনা দেবেন। ওরা অনেকে বাড়ি যাবে, সেই ব্যবস্থাও করা হয়েছে। সেজন্য আমরা চাচ্ছি, ওদেরকে একটা ব্রেক দেওয়া হবে।" 

    কিন্তু এই বিশেষ দল গঠন করার সিদ্ধান্ত কি পূর্বপরিকল্পিত? বিসিবি সভাপতি বললেন, "আমি যেটা বলেছি ওদের সাথে আমার কথা হয়েছে। আপনারা হয়তো খেয়াল করেছেন, আমাদের তরফ থেকে এই দলকে একটু বিচ্ছিন্ন করে রাখা হয়েছিল। এইটাই আমরা চালিয়ে যেতে চাই বলে অ-২১ একটা দল করে এই দলকে আরও ভালো প্রশিক্ষণ দিতে চাই। আগে অনূর্ধ্ব ১৯ দলে যারা খেলেছে, অনেক ভালো খেলোয়াড় আছে। সবাইকে কিন্তু মানুষ চিনে না। এদেরকে এখন সবাই জানে, চেনে। এদের সবার ওপর কিন্তু মানুষের চোখ আছে। তাই ওদেরকে বলেছি, এমন কিছু কোরো না, যাতে ভুল বার্তা যায়। সবার চোখ থাকবে মানে বিসিবির চোখও থাকবে।"