• উইমেনস টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ২০২০
  • " />

     

    'চেনা' আশা নিয়ে 'অচেনা' প্রতিপক্ষের বিপক্ষে খেলতে বিশ্বকাপে যাচ্ছে বাংলাদেশ

    'চেনা' আশা নিয়ে 'অচেনা' প্রতিপক্ষের বিপক্ষে খেলতে বিশ্বকাপে যাচ্ছে বাংলাদেশ    

    বিশ্বকাপে খেলবে দুই দল, কিন্তু এর আগে কখনও মুখোমুখি হয়নি তারা। ছেলেদের বিশ্বকাপ ১০ দলের হওয়ার আগে হয়তো খুব অস্বাভাবিক ছিল না সেটি, সহযোগি দেশগুলি মুখোমুখি হতো এমন অভিজ্ঞতার। মেয়েদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ হবে সেই ১০ দলেরই, তবে একই অভিজ্ঞতা হচ্ছে এবার বাংলাদেশেরও। গ্রুপে থাকা অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে যে এর আগে কখনোই কোনও ফরম্যাটেই খেলেনি তারা। 

    অন্য দুই দল সেই অর্থে পরিচিত তাদের, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৫ টি-টোয়েন্টি খেলে আছে দুটি জয়। ভারতের বিপক্ষে ১১ ম্যাচে ২ জয়, তবে এর একটি বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় এখন পর্যন্ত- ওয়ানডের গত বিশ্বকাপের রানার্স-আপ ভারতকে হারিয়ে বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল এশিয়া কাপ টি-টোয়েন্টিতে। চেনা ভারত ও শ্রীলঙ্কার সঙ্গে অচেনা অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে মুখোমুখি হতে বিশ্বকাপ যাচ্ছে বাংলাদেশ। 

    আপাতত বাংলাদেশের লক্ষ্যসীমায় থাকার কথা গ্রুপপর্বই। ২০১৪ সালে দেশের মাটিতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে জয়টিই এ আসরে একমাত্র জয় হয়ে আছে বাংলাদেশের, পরের দুই আসরে ৮টি ম্যাচ খেলে তাদেরকে ফিরে আসতে হয়েছে খালি হাতেই। 

    বাংলাদেশ অবশ্য বিশ্বকাপে যাচ্ছে এশিয়া কাপে চ্যাম্পিয়নশিপের সঙ্গে বাছাইপর্বে চ্যাম্পিয়ন দল হয়েই। গতবারও অবশ্য তারা ওয়েস্ট ইন্ডিজে গিয়েছিল বাছাইপর্বের সেরা হয়েই। বিশ্বকাপের আগে ভারতে চারজাতির একটি টুর্নামেন্টেও চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বাংলাদেশ। অধিনায়ক সালমা খাতুন বলছেন, তাদের লক্ষ্য ‘স্মার্ট’ ক্রিকেট খেলা, যে আশা নিয়ে প্রতিবার যান- সেই জয়ের আশা নিয়ে এবারও অস্ট্রেলিয়া যাচ্ছেন তারা। 

    “আশা করে যাই, ভাল খেলব, ১-২টা জিতব। এবারও এমন আশা নিয়ে যাচ্ছি”, বলছেন সালমা। অবশ্য অচেনা বলে একটা ‘সুবিধাও দেখছেন তিনি, “তারা জানে না আমরা কেমন ক্রিকেট খেলি। আমরা ওদের ভিডিও দেখেছি, ওরাও আমাদের দেখেছে। মাঠে খেললেই বুঝা যাবে, যে ভাল খেলবে সেই জিতবে। অবশ্যই অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ড আমাদের চেয়ে ভাল। তবে আমরা চেষ্টা করব স্মার্ট ক্রিকেট খেলতে।”

    গত বিশ্বকাপে বাংলাদেশকে ভুগিয়েছিল মূলত ব্যাটিং। ৪ ইনিংসে তাদের সর্বোচ্চ স্কোর ছিল ৭৯। এরপর থেকে পাকিস্তানের বিপক্ষে দেড়শো পেড়ুনো স্কোরের সঙ্গে এসএ গেমসে মালদ্বীপের বিপক্ষে ২৫৫ রানের স্কোরও গড়েছে বাংলাদেশ। বিশ্বকাপে চ্যালেঞ্জটা অনেক কঠিন হলেও সালমা বলছেন, ব্যাটিংয়ে উন্নতি হয়েছে তাদের, “ ব্যাটিংয়ে উন্নতি হয়েছে। ফিল্ডিংয়েও উন্নতি হয়েছে। পরেরবার যাতে বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব খেলতে না হয়, সেটিই মিশন।”

    সে অনুযায়ী প্রস্তুতি নিয়েও সন্তুষ্ট তারা, “যতটুকু সময় পেয়েছি, সেন্টার উইকেটেও খেলেছি। আগে যাচ্ছি, কন্ডিশন সম্বন্ধে মানিয়ে নিয়েই নামব।”

    বিসিবির নিজেদের খরচে আগেভাগেই অস্ট্রেলিয়া যাচ্ছে বাংলাদেশ। ৩ ফেব্রুয়ারি ব্রিসবেনে পৌঁছে অফিশিয়াল প্রস্তুতি ম্যাচের আগে তিনটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। ২৪ ফেব্রুয়ারি ভারতের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচ তাদের বিশ্বকাপে, এর আগে থাইল্যান্ড ও পাকিস্তানের বিপক্ষে আছে দুটি অফিশিয়াল প্রস্তুতি ম্যাচ। 

    এই দলকে তেমন সুযোগ-সুবিধা দিতে পারে না বিসিবি, এমন জানিয়ে বিসিবি প্রেসিডেন্ট নাজমুল হোসেন পাপন বলেছেন, প্রত্যাশা আছে তার, “প্রত্যাশা তো সবসময় বেশি। বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করতে যাচ্ছে, এটা বড় কথা। মহিলা দল যে খুব ভাল, সেটি বলব না।  তবে খারাপ না। এশিয়াতে তো চ্যাম্পিয়ন ওরা।”

    “অস্বীকার করার উপায় নেই, সুযোগ-সুবিধা যেমন ছেলেদের দিই, তাদেরকে দিয়ে উঠতে পারিনি। সেটি চিন্তার বিষয়, কত তাড়াতাড়ি এসব দেওয়া যায়। তবে আত্মবিশ্বাস আছে। ভারতে যে টুর্নামেন্ট খেলে এসেছে, মনোবল জোগাবে। ভারতের জাতীয় দলের ক্রিকেটাররাই খেলেছিল ভারতের। তাদের অনুশীলন মোটামুটি হয়েছে। ৭ দিন আগেই চলে যাচ্ছি, নিজেদের খরচে। যতটুকু করতে পেরেছি, করেছি। আরেকটু করতে পারলে ভাল হতো। তবে একটা জিনিস বলতে পারি, এই মেয়েদের দলটা সামনে অবশ্যই আরও অনেক ভাল কিছু বয়ে আনবে।”