• ভারতের নিউজিল্যান্ড সফর
  • " />

     

    আবারও জেতা ম্যাচটা সুপার ওভারে হারল নিউজিল্যান্ড

    আবারও জেতা ম্যাচটা সুপার ওভারে হারল নিউজিল্যান্ড    

    ভারত ২০ ওভারে ১৬৫/৮ 
    নিউজিল্যান্ড ২০ ওভারে ১৬৫/৭
    ম্যাচ টাই, সুপার ওভারে জয়ী ভারত


    ব্যাপারটা আপনার কাছে মনে হতে পারে দেজাভুঁ। দুই দিন আগেই না দেখলেন ভারত আর নিউজিল্যান্ডের ম্যাচ টাই, এরপর সুপার ওভার হচ্ছে? আবার সেই সুপার ওভার, নাহ, কোথাও গোলমাল হচ্ছে না তো? অবিশ্বাস্য সেই ব্যাপারটাই হয়েছে, হ্যামিল্টনের পর এবার ওয়েলিংটনে ফিরে এসেছে সুপার ওভার। এবং যা অনুমান করছেন, আবারও সুপার ওভারে নিউজিল্যান্ড হেরে গেছে ভারতের কাছে। 


    এবং আজও ম্যাচটা সুপার ওভারে যাওয়ার জন্য শুধু নিজেদেরই দুষতে পারে নিউজিল্যান্ড। শেষ ওভারে জয়ের জন্য দরকার ৭ রান, নিউজিল্যান্ডের হাতে তখনও ৭ উইকেট। এবার আর উইলিয়ামসন ছিলেন না, তবে টম সেইফের্ট আর রস টেলর ম্যাচটা প্রায় নিয়ে এসেছেন মুঠোয়। কিন্তু নিউজিল্যান্ড যেন ঠিক করেছিল আজও আগের মতো চোক করবে। শারদুল ঠাকুরের প্রথম বলটাই মারতে গিয়ে ডিপ মিডউইকেটে ক্যাচ তুলে দিলেন টেলর, আউট হয়ে গেলেন ২৪ রানে। দ্বিতীয় বলটা ড্যারিল মিচেল একস্ট্রা কাভার দিয়ে মারলেন, এবার চার বলে দরকার ৩ রান। কিন্তু পরের বলেই ভুল হলো, সিঙ্গেল নিতে গিয়ে লোকেশ রাহুলের সরাসরি থ্রোতে রান আউট হয় গেলেন স্ট্রাইক পেতে মরিয়া সেইফের্ট। পরের বলে ১ হলো, শেষ বলে জয়ের জন্য দরকার ২ রান। এবার এক রান নিতে পারলেন স্যান্টনার, দ্বিতীয় রান নিতে গিয়ে রান আউট হয়ে গেলেন। ম্যাচ গেল আবার সুপার ওভারে। 


    সেখানে অবশ্য আগের ম্যাচের মতো নাটক হয়নি আর। এবারও শুরুতে ভাগ্যের সহায়তা পেলেন সেইফের্ট, প্রথম বলেই আইয়ার ফেলে দিলেন কঠিন ক্যাচ। আগে দুইবার জীবন পেয়ে ম্যাচটা বেরই করে ফেলেছিলেন সেইফের্ট, এবার কি পারবেন? পরের বলে চার মেরে সেরকম আভাসই দিচ্ছিলেন। তবে এর পরের বলে আবারও ভাগ্য তাঁর দিকে, এবার পেছনের দিকে দৌড়ে গিয়ে ক্যাচটা নিতে পারলেন না রাহুল। তবে পরের বলে আর ভুল করলেন না দুবে, ঠাণ্ডা মাথায় নিলেন ক্যাচ। মানরো স্ট্রাইক পেলেন, বুমরার বলটা কাট করে দারুণ এক চারে আবারও আশা জাগালেন নিউজিল্যান্ডের। শেষ বলে অবশ্য সিঙ্গেলের বেশি নিতে পারলেন না, নিউজিল্যান্ড করল ১৩ রান। 
    রোহিত নেই, এবার ব্যাট করতে নেমেছিলেন রাহুল ও অধিনায়ক কোহলি। বল করতে এলেন সাউদিই, আজ যিনি অধিনায়ক। কিন্তু আগের মতোই এবারও সুপার ওভারে লেংথ বল, প্রথম বলটাই ছয় মারলেন রাহুল। পরের বলটা শর্ট, এবার চার হলো। ম্যাচ আসলে ওখানেই শেষ। রাহুলের অবশ্য এর পরের বলে আউট হয়ে আরেক দফা নাটকের ভাস দিচ্ছিলেন। তবে কোহলি তা হতে দেননি। পরের বলে দুই রান আর এরপর চারে এক বল হাতে রেখেই জয় এনে দিয়েছেন দলকে। চার ম্যাচের চারটিতেই জিতেছে ভারত। 


    অথচ আজ ভারতের জন্য ১৬৫ রানই একটা সময় মনে হচ্ছিল অনেক কিছু। শুরু থেকেই হোঁচট খাচ্ছিল ভারত, ৮৮ রানের মধ্যে নেই ৬ উইকেট। রাহুলই যা একটু খেলছিলেন, কিন্তু ২৬ বলে ৩৯ রান করে রাহুলের আউটের পর পথ হারাতে থাকে ভারত। তবে মনীশ পান্ডে হাল ছাড়েননি, ৩৬ বলে ৫০ রান করে অপরাজিত ছিলেন। আর শেষ দিকে ঠাকুর ২০ ও সাইনি ১১ রান করে রেখেছেন বড় অবদান। 


    নিউজিল্যান্ড ২২ রানেই হারিয়েছিল গাপটিলকে। কিন্তু মানরো আর সেইফের্ট এরপর দলকে জয়ের দিকে নিয়ে যাচ্ছিলেন। দুজন যোগ করেছেন ৭৪ রান। এরপর ৪৭ বলে ৬৪ রান করে আউট হয়ে গেছেন মানরো। এরপর টম ব্রুস শুন্য রানে ফিরে গেলেও সেইফের্ট আর টেলর মিলে পথ দেখাচ্ছিলেন। কিন্তু শেষ ওভারেই যে আগের মতো গড়বড় হয়ে গেল সব! আরও একবার সুপার ওভারই নিউজিল্যান্ডের তরী ডুবল।