• অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ ২০২০
  • " />

     

    ইতিহাসের পথে বাংলাদেশের যুবাদের পথে বাধা নিউজিল্যান্ড আর বৃষ্টি

    ইতিহাসের পথে বাংলাদেশের যুবাদের পথে বাধা নিউজিল্যান্ড আর বৃষ্টি    

    একদিক দিয়ে কাল বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় দিনগুলোর একটি। এখন পর্যন্ত কোনো বৈশ্বিক আসরের ফাইনালে যেতে পারেনি বাংলাদেশ, এশিয়া কাপে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সেরা সাফল্য এসেছে মেয়েদের হাত ধরে। বয়সভিত্তিক ক্রিকেটের ফাইনালে উঠলে অন্যরকম একটা দিনই হবে বাংলাদেশের জন্য। সেই পথে কাল আকবরদের বাধা নিউজিল্যান্ড, কিউইদের হারাতে পারলেই মিলবে ফাইনালের টিকিট। যেখানে এর মধ্যেই অপেক্ষা করছে শক্তিশালী ভারত।

    কোয়ার্টার ফাইনালে বাংলাদেশ দক্ষিণ আফ্রিকাকে উড়িয়ে দেওয়ার পর ধারাভাষ্যকার অ্যালান উইলকিনসের একটা ভিডিও কিছুটা ভাইরাল হয়েছিল বাংলাদেশের ক্রিকেটগ্রুপগুলোতে। উইলকিন্স কোনো ক্রিকেট কূটনীতির ধার না ধেরেই বলেছিলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে নিউজিল্যান্ডের তেমন কোনো সম্ভাবনা তিনি দেখেন না। উইলকিনসের কথার পক্ষে অবশ্য সাক্ষ্য দেবে দুই দলের সাম্প্রতিক ইতিহাসই। খুব বেশিদিন আগের কথা নয়, নিউজিল্যান্ডকে তাদের মাটিতে গিয়েই উড়িয়ে দিয়ে এসেছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব ১৯ দল। আকবরদের এই দলটা বাইরের মাঠে ভালো খেলে বলে সুনামও আছে। কাল কি আরেকবার কিউইদের বধ করতে পারবে বাংলাদেশ?

    ম্যাচ শুরুর আগে অধিনায়ক আকবর আলী বেশ আশাবাদী, ‘মানসিক ও শারীরীক; দুইটা প্রস্তুতিই আমরা খুব ভালোভাবে নিয়েছি। এখন শুধু মাঠে আমাদের দক্ষতা প্রয়োগ করার পালা। সেটা করতে পারলে মনে হয় যে ফলাফল আমাদের পক্ষে আসবে।’

    নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে খেলার অভিজ্ঞতা থেকে তাদের শক্তি-দুর্বলতাও ভালোই জানেন বাংলাদেশের যুবাদের অধিনায়ক আকবর। সেই হোমওয়ার্কের ছাপ পাওয়া গেল তার কথায়, ‘নিউজিল্যান্ড ভালো ক্রিকেট খেলে এতোদূর আসছে। তাদেরকে যতোটা সম্ভব কম রানে অলআউট করার চেষ্টা করবো। লোয়ার অর্ডারে তাদের ভালো ব্যাটসম্যান আছে। তাদের ব্যাটিং লাইন অনেকটা লম্বা।’

    তবে এত কিছুর মধ্যে আরেকটা শংকা চোখ রাঙাচ্ছে দুই দলকেই। পচেফস্ট্রুমে বৃষ্টির  সম্ভাবনা আছে কাল সারাদিন। গ্রুপ পর্বে বাংলাদেশের সঙ্গে পাকিস্তানের খেলাও বৃষ্টিতে ভেসে গিয়েছিল।  আকবর বৃষ্টি নিয়ে একরকম অসহায়ের মতোই বললেন, ‘বৃষ্টি হলে.. এটা তো আর আমাদের নিয়ন্ত্রণে নাই। বৃষ্টি হলে আমাদের যেমন ঝামেলা হবে, ওদেরও তেমন ঝামেলাই হবে।’

    তবে বৃষ্টির ওপর তো কারও হাত নেই। বাংলাদেশের যুবাদের নিজেদের কাজটা করার প্রস্তুতিই নিয়ে রাখতে হবে। সপ্তাহখানেকের মতো সময় পাওয়ায় মোটামুটি ফুরফুরে হয়েই নামতে পারবে দল। অধিনায়ক আকবরের কথায় বোঝা গেল, বয়স কম হলেও মানসিকতায় অনেকটাই পরিণত, ‘দলের সবাই রিলাক্সে আছে। এটা সেমিফাইনাল বা ফাইনাল না ধরে স্বাভাবিক আর দশটা ম্যাচের মতো মনে করলেই মনে হয় ভালো ফলাফল হবে।’

    এখন পর্যন্ত প্রতিটা ম্যাচে এই পরিণতিবোধের ছাপটা দেখিয়েছে বাংলাদেশের যুবারা। অপ্রয়োজনীয় ঝুঁকি না নিয়ে নিজেদের কাজটা করার চেষ্টা করেছে ঠিকঠাক। সেমিতে এখন সেটা করতে পারলেই হয়!