১ উইকেটের জন্য 'বেঁচে' গিয়ে ফাইনালে সাউথ জোন
ওয়ালটন সেন্ট্রাল জোন- বিসিবি সাউথ জোন
সেন্ট্রাল জোন ১ম ইনিংস ২৩৫ অলআউট ও ২য় ইনিংস ৩৮৫/৮ ডিক্লে.
সাউথ জোন ১ম ইনিংস ১১৪/৪ ডিক্লে. ও ২য় ইনিংস ৩৮৬/৯ (শামসুর ১৩৩, নাসুম ৮৫, এনামুল ৮৩; মিরাজ ৪/১৩৬)
ম্যাচ ড্র
প্রথম ইনিংসে হিসেবের গড়বর করে পা হড়কাতে ধরা সাউথ জোন শেষ পর্যন্ত বেঁচে গেছে একটুর জন্য, উইকেটের হিসেবে ১টির জন্য। ৫০৭ রানের পাহাড়সম লক্ষ্যে শেষদিন ৪ উইকেটে ১৫৯ রান নিয়ে ব্যাটিং করতে নামা সাউথ জোন শামসুর রহমানের ২৩০ বলে ১৩৩ ও নাসুম আহমেদের ২৪৬ বলে ৮৫ রানের ইনিংসে ড্র করেছে সেন্ট্রাল জোনের সঙ্গে, ১ উইকেট বাকি রেখে। ১৯.৮৯ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের দুইয়ে থেকে ফাইনালে গেছে তারা, সেখানে তাদের প্রতিপক্ষ অন্য ম্যাচে নর্থ জোনকে হারিয়ে শীর্ষে ওঠা ইস্ট জোন।
প্রথম ইনিংসে ০.৫০ বোনাস পয়েন্ট থেকে সেন্ট্রালকে বঞ্চিত করতে তড়িঘড়ি ইনিংস ঘোষণা করেছিল সাউথ। তবে দ্বিতীয় ইনিংসে সেন্ট্রালের দারুণ ব্যাটিংয়ে ইনিংস ঘোষণার সিদ্ধান্ত বুমেরাং হওয়ার সম্ভাবনা ছিল। ৫০৭ রানের পাহাড়সম লক্ষ্য তাড়া করাটা আপাতদৃষ্টিতে ছিল অসম্ভব, ম্যাচের বাকি সময়টা তাই ব্যাটিং করে কাটিয়ে দেয়াটাই লক্ষ্য ছিল সাউথের। আগের দিন ৫২ ওভার ব্যাটিং করার পর আজ তারা খেলেছে আরও ৯২ ওভার।
দিনের শুরুটা অবশ্য তাদের বেশ ভালোই হয়েছিল আজ। তৃতীয় দিন শেষে ক্রিজে থাকা দুই ব্যাটসম্যান শামসুর এবং নাসুমের সাবধানী ব্যাটিংয়ে প্রথম সেশনে কোনও উইকেট হারায়নি তারা।
ম্যাচের ভাব বুঝে রয়েসয়ে ব্যাটিং করা শামসুর ১৭৮ বলে সেঞ্চুরির দেখা পান, প্রথম শ্রেণির ক্যারিয়ারে যা তার ২০তম সেঞ্চুরি। নাসুমকে সাথে নিয়ে পঞ্চম উইকেটে ১৩৯ রানের বড় জুটি গড়ে সেন্ট্রালের জয়ের পথে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন শামসুর। কিন্তু মেহেদি মিরাজের বলে ১৩৩ রান করে এলবিডব্লিউ হয়ে ফিরে যাওয়ার পর কিছুটা চাপে পড়ে সাউথ জোন, ভাঙে নাসুমের সঙ্গে তার ৪৭.২ ওভারের জুটি।
তবে ৫ উইকেট নিয়ে সাউথের সামনে তখনও প্রায় দেড় সেশন পাড়ি দেওয়ার চ্যালেঞ্জ। আগের ম্যাচে ডাবল সেঞ্চুরি করা নুরুল হাসানকে নিয়ে এরপর এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন নাসুম। তবে নুরুল এদিন বেশিক্ষণ টিকে থাকতে পারেননি, মাত্র ৮ রান করে শুভাগত হোমের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ফিরেন তিনি। তার আউটের কিছুক্ষণের মধ্যে মাহেদি হাসানও অনুসরণ করলে ভাল চাপেই পড়ে সাউথ।
অষ্টম উইকেটে ফরহাদ রেজার সঙ্গে ৪৬ রানের জুটিতে সে চাপ কমানোর চেষ্টা করেছিলেন নাসুম, তবে ম্যাচ শেষের কিছুক্ষণ আগে আরাফাত সানির বলে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যাওয়ায় শেষ দিকে হারের শংকা তৈরি হয় সাউথ জোনের, দুই ওভার পর অধিনায়ক আব্দুর রাজ্জাকও ফিরে গেলে তারা চলে যায় প্রায় খাদের কিনারে।
তবে সেটি হতে দেননি ফরহাদ রেজা ও শেষ ব্যাটসম্যান শফিউল ইসলাম। রেজা অপরাজিত ছিলেন ৯১ বলে ২৭ রান করে, শফিউল খেলেছেন ২৬টি বল। শেষ পর্যন্ত তাই হতাশই হতে হয়েছে সেন্ট্রালকে। ৩ ম্যাচে ১১.৫ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলে নর্থের ওপরে থেকে লিগ শেষ করলো তারা।
ফাইনালে সাউথ-ইস্টের ম্যাচ শুরু হবে ২২ ফেব্রুয়ারি, চট্টগ্রামে। ফাইনাল হবে ৫ দিনের।