লংকার কাছে লবডংকা দেখে দেশে ফিরছেন সালমারা
বাংলাদেশ ২০ ওভারে ৯১/৮
শ্রীলংকা ১৫.৩ ওভারে ৯২/১
ফলঃ শ্রীলংকা ৯ উইকেটে জয়ী
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নিজেদের একমাত্র জয়টা এই শ্রীলংকার বিপক্ষেই এসেছিল বাংলাদেশের মেয়েদের। সেটা ২০১৪ সালের কথা। তবে এবারের বিশ্বকাপে শেষ ম্যাচে সেই শ্রীলংকার সঙ্গে জয় দূরে থাক, লড়াইটাই করতে পারল না বাংলাদেশ। ৯ উইকেটে হেরে দেশে খালি হাতে ফিরতে হচ্ছে সালমাদের।
ভারতের সঙ্গে প্রথম ম্যাচে একটু লড়াই করেছিল। তবে অস্ট্রেলিয়ার কাছে উড়ে যাওয়ার পর নিউজিল্যান্ডের সাথে আবার আশা জাগিয়ে হার। তবে শ্রীলংকার সাথে আবার অসহায় আত্মসমর্পণ। শুরুতে ব্যাট করতে নেমে বিপদে পড়ে বাংলাদেশ। এমসিজিতে দ্বিতীয় ওভারেই সিরিবর্দেনের বলে আউট হয়ে যান মুরশিদা খাতুন। সানজিদা দুই চারে ভালোই শুরু করেছিলেন, কিন্তু ১২ রান করে আউট হয়ে যান কুলাসুরিয়ার বলে। ষষ্ঠ ওভারেই আয়েশাকে ফিরিয়ে দিয়ে বাংলাদেশকে ২৫ রানে ৩ উইকেট বানিয়ে দেন কুলাসুরিয়া।
নিগার সুলতানা ও ফারজানা হকের ব্যাটে এরপর একটু আশা দেখছিল বাংলাদেশ। চতুর্থ উইকেটে দুজন ৩১ রান যোগ করেছিলেন, ১০০ করারা আশাও বেঁচে ছিল। কিন্তু ১৩ রান করে এলবিডব্লু হয়ে যান ফারজানা। পরের ওভারে বড় একটা ধাক্কা খায় বাংলাদেশ, কোনো রান না করেই সিরিবর্দেনের বলে ফিরে যান রুমানা। এরপর রিতু মনিকে নিয়ে কিছুক্ষণ লড়াই চালিয়ে গেছেন নিগার, ষষ্ঠ উইকেটে যোগ করেছেন ২২ রান। কিন্তু ৮ রান করে রিতু মনি ফেরার পর বাকিরা কেউ আর সঙ্গ দিতে পারেনি। ইনিংসের শেষ বলে রান আউট হওয়ার আগে নিগার করেছেন ৪৫ বলে ৩৯ রান। শ্রীলংকার হয়ে ১৬ রানে ৪ উইকেট নিয়েছেন সিরিবর্দেনে।
এই রান তাড়া করতে নেমে পেরেরা আর জায়ানগানির উদ্বোধনী জুটিতেই এসেছে ৫১ রান, ম্যাচের ভাগ্য আসলে নির্ধারণ হয়ে গেছে ওখানেই। ২২ বলে ৩০ রান করে নাহিদার বলে স্টাম্পড হয়ে গেছেন জায়ান গানি। বাংলাদেশের সাফল্য একমাত্র সেটাই, পেরেরা আর সাঞ্জিভানি এরপর আর কোনো উইকেট না হারিয়েই শ্রীলংকাকে পাইয়ে দিয়েছেন ৯ উইকেটের জয়। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে যা লংকান মেয়েদের সবচেয়ে বড় ব্যবধানের জয়ও বটে।