• চ্যাম্পিয়নস লিগ
  • " />

     

    লাইপজিগে মরিনহোর দলের বাঁচা-মরার ম্যাচ, মিরাকল প্রয়োজন ভ্যালেন্সিয়ার

    লাইপজিগে মরিনহোর দলের বাঁচা-মরার ম্যাচ, মিরাকল প্রয়োজন ভ্যালেন্সিয়ার    

    আগামী বুধবার চ্যাম্পিয়নস লিগে শেষ ষোলর দ্বিতীয় লেগে মাঠে নামবে লাইপজিগ-টটেনহাম এবং ভ্যালেন্সিয়া-আটালান্টা। এক গোলে পিছিয়ে থেকে 'মিনি মরিনহো' নাগেলসমানের বিপক্ষে বাঁচা মরার লড়াই হোসে মরিনহোর। প্রথম লেগে বড় ব্যবধানে হারা ভ্যালেন্সিয়ার জন্য অবশ্য ঘরের মাঠে রীতিমত অসম্ভবকে সম্ভব করার চ্যালেঞ্জ।

     

    মরিনহোর টটেনহামের বাঁচা-মরার ম্যাচ
    আরবি লাইপজিগ-টটেনহাম হটস্পার
    চ্যাম্পিয়নস লিগ শেষ ষোল, দ্বিতীয় লেগ 
    রেড বুল অ্যারেনা 
    ১১ মার্চ, রাত ২.০০
    (প্রথম লেগের ফল টটেনহাম ০-১ লাইপজিগ) 


    আরবি লাইপজিগের বিপক্ষে প্রথম লেগের আগেই সন হিউন মিন চোটে পড়ে দলের বাইরে চলে গিয়েছিলেন, হ্যারি কেইন তো আগে থেকেই নেই। চোট জর্জর দল নিয়ে খেললেও দুটি বিষয় সেদিন হোসে মরিনহোর দলের পক্ষে ছিল, ঘরের মাঠ এবং ফর্ম। ৭ ম্যাচ অপরাজিত থেকে সেবার লাইপজিগকে আতিথ্য দিয়েছিল তারা। শেষ পর্যন্ত তবুও ফল পক্ষে আসেনি। আগামী বুধবার রাতে লাইপজিগের বিপক্ষে দ্বিতীয় লেগে মাঠে নামার আগে সেই সুবিধাগুলো আর পাচ্ছেন না মরিনহো। প্রথম লেগের পর সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ৪ ম্যাচ খেলে ৩ টিতেই হেরে ফর্ম তলানিতে, লিগে এখন তাদের অবস্থান আটে। লাইপজিগের বিপক্ষে মাঠে নামার আগে আরেকটি দুঃসংবাদ পেয়েছেন মরিনহো। এবার ফরোয়ার্ড স্টিভেন বার্গউইনও গোড়ালির চোটে ছিটকে গেছেন স্কোয়াডের বাইরে।

    এতোদিন রক্ষণে সমস্যা থাকলেও এবার তিন ফরোয়ার্ডের অনুপস্থিতিতে আপাতত গোল করার লোক খুঁজে পাচ্ছেন না মরিনহো। প্রথম লেগ থেকে ১-০ গোলে পিছিয়ে থাকায় লাইপজিগের মাঠে তাই লুকাস মউরা, ডেলে আলিদের গোলমুখে আরও ক্ষুরধার হতে হবে। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে নিয়ে ২০১৭-১৮ এবং চেলসিকে নিয়ে ২০১৪-১৫ তে শেষ ষোল পেরুতে পারেননি মরিনহো। তাই টানা তৃতীয়বার নকআউট থেকে বাদ পড়তে না চাইলে কাল জিততেই হবে মরিনহোকে।

    টটেনহামের একেবারে বিপরীত মেরুতে অবস্থান লাইপজিগের। শেষ ৬ ম্যাচের একটিতেও হারেনি ইউলিয়ান নাগেলসমানের দল। প্রথম লেগে একটি অ্যাওয়ে গোল সুবিধাও রয়েছে তাদের, সঙ্গে টিমো ভের্নারের মতো গোলমেশিন রয়েছেন দুর্দান্ত ফর্মে, এ মৌসুমে এখন পর্যন্ত ২৭ গোল করেছেন এই ফরোয়ার্ড। তবে ইউরোপীয় প্রতিযোগিতাগুলোয় হোম ম্যাচে লাইপজিগের সাম্প্রতিক ফর্ম আশাজাগানিয়া নয়, চার ম্যাচের মাত্র একটিতে জয় এসেছে। সমস্যা জর্জর টটেনহাম এই একটি পরিসংখ্যান থেকেই আশা খুঁজে নেবে।


    মিরাকল প্রয়োজন ভ্যালেন্সিয়ার
    ভ্যালেন্সিয়া-আটালান্টা
    চ্যাম্পিয়নস লিগ শেষ ষোল, দ্বিতীয় লেগ 
    মেস্তায়া স্টেডিয়াম
    ১১ মার্চ, রাত ২.০০
    (প্রথম লেগে ফল আটালান্টা ৪-১ ভ্যালেন্সিয়া)


    প্রথম লেগে সান সিরোতে গিয়ে আটালান্টার কাছে ৪-১ গোলে হেরেছিল ভ্যালেন্সিয়া। প্রথম লেগের পরই তাই থেকে টাই অনেকটাই ছিটকে পড়েছে তারা। ৩ বা তার বেশি গোলের ব্যবধান চুকিয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগে ফিরে আসতে পেরেছে আর মাত্র চারটি দল। ভ্যালেন্সিয়া অসম্ভব এই সমীকরণ মেলাতে পারলে তা কিংবদন্তির অংশ হবে। এমন ম্যাচে মাঠে দর্শকদের সমর্থন পেলে কিছুটা বাড়তি আত্মবিশ্বাস পেতেন  ভ্যালেন্সিয়ার খেলোয়াড়রা। তবে ইউরোপে করোনা ভাইরাসের প্রকোপের কারণে তা আর সম্ভব হচ্ছে না। দর্শকবিহীন মেস্তায়াতেই আটালান্টার বিপক্ষে অসাধ্য সাধন করার মিশনে নামবে তারা।

    প্রথম লেগে আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলেই ভ্যালেন্সিয়াকে কুপোকাত করেছিল জিয়ান পিয়েরো গাস্পেরিনির দল। দ্বিতীয় লেগে তাই কিছুটা নির্ভার হয়েই মাঠে নামতে পারবে তারা। ফর্মের দিক দিয়েও ভ্যালেন্সিয়ার চেয়ে অনেক এগিয়ে আছে ইতালিয়ান দলটি। সিরি আ-তে চতুর্থ স্থানে রয়েছে তারা, শেষ ৬ ম্যাচের ৫ টিতে জিতে ফর্মের দিক দিয়েও তারা অনেক এগিয়ে। সব মিলিয়ে বুধবার রাতে তাই আটালান্টাকে টপকাতে মিরাকলই প্রয়োজন হবে ভ্যালেন্সিয়ার।