'সাকিবকে পাবেন' বলে অস্ট্রেলিয়ার সফর স্থগিত হওয়ার পরও হতাশ নন মুমিনুল
অস্ট্রেলিয়ার সফর স্থগিত হয়ে যাওয়াতে ঠিক হতাশ হননি বাংলাদেশের টেস্ট অধিনায়ক মুমিনুল হক। বরং পরের বছরে এ সফর গেলে সাকিব আল হাসানের খেলার সম্ভাবনা বেড়ে গেছে বলে পূর্ণ শক্তি নিয়েই খেলতে পারবেন বলে ধারণা তার।
কভিড-১৯ এর পরিস্থিতির কারণে বৃহস্পতিবার দুই বোর্ডের সম্মতিক্রমে আনুষ্ঠানিকভাবে স্থগিত করা হয়েছে অস্ট্রেলিয়ার বাংলাদেশ সফর। এ সফরে দুটি টেস্ট খেলার কথা ছিল দুই দলের। কবে এ সিরিজ হবে, সেটি নিশ্চিত করা না হলেও দুই বোর্ডই বলেছে, উপযুক্ত সময় বের করে ওয়ার্ল্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের অন্তর্ভুক্ত ম্যাচ দুটি খেলার চেষ্টা করা হবে।
এ সিরিজ সামনের বছরে নিয়ে যাওয়া হলে খেলতে পারবেন বর্তমানে আইসিসির নিষেধাজ্ঞায় থাকা সাকিব আল হাসান। ২০২০ সালের অক্টোবরে খেলার যোগ্যতা আবারও ফিরে পাবেন জুয়াড়ির প্রস্তাব গোপন করে শাস্তি পাওয়া সাকিব। মুমিনুল বলেছেন, অস্ট্রেলিয়ার সফর স্থগিত হয়ে যাওয়াতে নতুন দরজা খুলে গেছে তাদের সামনে।
“সাকিব ভাইয়ের উপস্থিতি অবশ্যই স্কোয়াডকে উজ্জীবিতি করবে”, ক্রিকবাজকে বলেছেন মুমিনুল। “নাহলে আমাকে আরেকজন বাঁহাতি স্পিনার খুঁজতে হতো। একদিক দিয়ে তাই ভালই হয়েছে এটি। এ বিষয়ে তাই খুব চিন্তিত না আমি। যদি (আগামী বছরের) এপ্রিলে টেস্টগুলিকে নিয়ে যাওয়া হয়, তাহলে সাকিব ভাই অজিদের মুখোমুখি হতে প্রস্তুত হয়ে যাবেন। অধিনায়ক হিসেবে অস্ট্রেলিয়ার মতো দলের বিপক্ষে অবশ্যই সেরা ক্রিকেটারকে পাশে চাইব আমি।”
অস্ট্রেলিয়া সফরের আগে পাকিস্তান সফরের শেষ দফাও স্থগিত হয়ে গেছে। ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত সাধারণ ছুটি বাড়ানো হয়েছে বাংলাদেশে, অনির্দিষ্টকালের জন্য থমকে আছে ঘরোয়া ক্রিকেটও। আয়ারল্যান্ড সিরিজ স্থগিত হয়ে গেছে, এফটিপি অনুযায়ী এরপর শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে অ্যাওয়ে সিরিজের পর নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে হোম সিরিজ আছে বাংলাদেশের।
তবে মুমিনুল আত্মবিশ্বাসী, টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে থাকা সিরিজগুলি এ সাইকেলের মধ্যেই শেষ হবে, “দেখুন, এখন যা হচ্ছে তার জন্য তো কাউকে দায় নিতে বলা যাবে না। এর জন্য ঘুম হারাম করে লাভ নেই। আমি আশাবাদী মানুষ, সবসময়ই ইতিবাচক দিক দিয়ে দেখার চেষ্টা করি।
“এটা টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের অংশ, তাদেরকে তাই খেলতেই হবে। না খেললে তাদের জন্যও ভাল হবে না, আমাদের জন্যও না। উপযুক্ত সময়ে অবশ্যই এসব ম্যাচ হবে, এখনই তাই হতাশ হওয়ার মতো কিছু নেই।”