টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে থাকছেন না গেইল, স্যামিরা ?
ড্যারেন স্যামি, ক্রিস গেইল, ডোয়াইন ব্রাভোদের কি তাহলে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দেখা যাবে না ? এই মুহূর্তে সে সম্ভাবনাই প্রবল। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে এখনো চুক্তিতে পৌছাতে পারেননি ক্রিকেটাররা। অথচ বোর্ডের প্রধান নির্বাহী মাইকেল মুইরহেড সাফ সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, ১৪ ফেব্রুয়ারির মধ্যে কোনো ক্রিকেটার চুক্তি না করলে বিশ্বকাপের জন্য তাকে বিবেচনা করা হবে না। তার মানে, এক অর্থে ক্রিকেটারদের চার দিনের আলটিমেটাম দেওয়া হলো।
কিন্তু এই অচলাবস্থা তৈরি হলো কেন ? ওয়েস্ট ইন্ডিজ বোর্ডের সঙ্গে ক্রিকেটারদের চাপান উতোর অনেক আগে থেকেই। দেড় বছর আগে এক বার তো অর্থসংশ্লিষ্ট জটিলতায় ভারত সফর অসমাপ্ত রেখেই দেশে ফিরে এসেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ দল। সেই চুক্তি নিয়েই আবার সংকট। ক্রিকেটাররা গত বছর দাবি করেছিল, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য তাদের ম্যাচ ফি দ্বিগুণ বাড়াতে হবে। কিন্তু বোর্ড সেই প্রস্তাবটা এখনো মেনে নেয়নি। তাদের কথা, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেটারদের সংগঠন ডব্লুআইপিএর সঙ্গে তাদের এরকম কোনো সমঝোতা হয়নি। সেজন্য বেতন দ্বিগুণ বাড়ানোর প্রস্তাব মেনে নেওয়ার কোন প্রশ্নই আসছে না।
প্রশ্ন উঠতেই পারে, ডব্লুআইপিএর তো ক্রিকেটারদের স্বার্থটাই আগে দেখার কথা। তাদের সঙ্গে স্যামিদের কথার গড়মিল হচ্ছে কেন ? সমস্যাটা আসলে এখানেই। স্যামি যেমন গত বছর মনে করিয়ে দিয়েছিলেন, ডব্লুআইপিএ ক্রিকেটারদের স্বার্থ ঠিকঠাক দেখে না। নইলে গত বিশ্বকাপে প্রতি ম্যাচের জন্য ক্রিকেটাররা যে অর্থ পেয়েছে, এটা এই বিশ্বকাপে এসে আরও কমে যায় কীভাবে ? এই বিশ্বকাপে ম্যাচপ্রতি ক্রিকেটারদের ৬৯০০ ডলার দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। গত বিশ্বকাপ থেকেও সেটা ৫০ শতাংশ কম। ক্রিকেটাররা এটা কোনো অবস্থাতেই মেনে নেবে না।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ওয়েস্ট ইন্ডিজ বরাবরই সমীহ জাগানো দল। বাংলাদেশে গত আসরে সেমিফাইনাল খেলেছিল, এর আগের বার শ্রীলঙ্কায় তো তারাই চ্যাম্পিয়ন। টেস্ট, ওয়ানডে যতই দুর্দশা হোক, এখানে তারা র্যাঙ্কিংয়ের দুইয়ে আছে। কিন্তু অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, ২০০৯ সালে বাংলাদেশের সঙ্গে ফ্লয়েড রেইফারের নেতৃত্বে যেরকম দ্বিতীয় সারির দল খেলেছিল, এবারও সেটিরই পুনরাবৃত্তি হতে যাচ্ছে।