সেই ম্যাচটা ভুলতেই পারেন না সাকিব!
সেই তিনটি বল। ‘অভিশপ্ত’ তিনটি বল।
তিন বল, দরকার দুই রান। এক হলেই টাই। হলো না কিছুই! আউট হলেন তিন ব্যাটসম্যানই। কোন ম্যাচের কথা বলা হচ্ছে, সেটা কি বলতে হবে আলাদা করে? স্মৃতির ক্ষতটা নিশ্চয়ই দগদগে এখনও যে কোনো বাংলাদেশী ক্রিকেটপ্রেমীর মনে! চাইলেই কি ভোলা যায় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারতের সঙ্গে সুপার টেনের সেই জিতে-গিয়েও-হেরে-যাওয়া ম্যাচটা! ভুলতে পারেন না সাকিব আল হাসানও। এখনও পোড়ায় সে স্মৃতি, এখনও বুকের কোনপাশে যেন চিনচিনে একটা ব্যথা অনুভব করেন বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডার!
‘আমার মনে হয় না দল হিসেবে, জাতি হিসেবে আমরা কখনও সে ম্যাচটা ভুলতে পারবো!’ ক্রিকেট ওয়েবসাইট ক্রিকবাজকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন আইপিএল খেলতে ভারতে অবস্থানরত সাকিব। ‘আশা করি কোনো একদিন আমরা ভারতের সঙ্গে আবার ওইরকম একটা ম্যাচ খেলবো। সে ম্যাচটা ভোলার জন্যই ওই ম্যাচটা জিতবো। তবুও সে ম্যাচটা ফিরে ফিরে আসবেই!’
বল হাতে এক উইকেট নিয়েছিলেন, ১৪৬ রান তাড়া করার সময় করেছিলেন ১৫ বলে ২২ রান। তবুও গড়বড় হয়ে গিয়েছিল সব। আসলে কী হয়েছিল সেদিন?
‘এটা ব্যাখ্যা করা কঠিন। রান তাড়া করা সবসময়ই কঠিন, টেনশন একটা বড় ভূমিকা পালন করে। যারা তাড়া করায় ভাল, তাদের সবসময়ই একটা পরিকল্পনা থাকে। আমরা স্কোরবোর্ডের দিকে ঠিকমতো নজর দিতে পারিনি, কারণ অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করছিল তা।’
কী করা উচিৎ ছিল তবে?
‘আমাদের এমনভাবে খেলতে হতো, যেভাবে আমরা প্রথম ইনিংস হলে খেলতাম। আমার মনে হয়, এটা বেশী ভাল পরিকল্পনা। হ্যাঁ, লক্ষ্য কিংবা কতো ওভার বাকী আছে সেটা সবসময়ই মনে থাকতো। তবে আপনি যখনোই ভাল একটা অবস্থানে যাবেন, আপনি সময় আর রান তাড়া করার মাঝে একটা সমন্বয় করতে পারবেন। আমরা সেটাই করতে পারিনি!’
হ্যাঁ, সাকিবরা পারেননি। তবে সেই ম্যাচটা পেরেছে অনেককিছুই। নাহলে কেন ফিরে ফিরে আসবে সেই ম্যাচের কথা? ‘চরম’ পেশাদার সাকিবও কেন মনে রাখবেন সেই ম্যাচ!