• আইসিসি টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ২০১৬
  • " />

     

    স্যামুয়েলসকে সহ্যই করতে পারেন না স্টোকস

    স্যামুয়েলসকে সহ্যই করতে পারেন না স্টোকস    

    ৬৬ বলে ৮৫ রানের অসাধারণ এক ইনিংস খেলেছিলেন গত টি-২০ বিশ্বকাপের ফাইনালে। কিন্তু প্রতিপক্ষের খেলোয়াড় বেন স্টোকসের সাথে বাজে আচরণ করার মারলন স্যামুয়েলসকে গুণতে হয়েছিল ম্যাচ ফির ৩০% জরিমানা। ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে টেবিলের উপর পা উঠিয়ে কথা বলার জন্যেও হয়েছিলেন সমালোচিত। যার সাথে এই বিরোধ, সেই স্টোকস এবার মুখ খুললেন। গতকাল তাঁর লেখা ‘ফায়ারস্টার্টার’ বইয়ের কিছু অংশ ডেইলি মেইল পত্রিকায় ছাপা হয়। সেখানে তিনি বলেছেন, স্যামুয়েলসকে তাঁর একটুও পছন্দ নয়।

    গত বছর গ্রেনাডা টেস্ট থেকেই দুজনের মাঝে তিক্ততার সূচনা। এটা আরও বাড়ে এবারের টি-২০ বিশ্বকাপের ফাইনালে গিয়ে। স্যামুয়েলসকে নিয়ে তাঁর মন্তব্যের কারণ তুলে ধরেন স্টোকস, “খেলার প্রতি তার একটুও সম্মান নেই। সে প্যাড না খুলে , টেবিলে পা তুলে যেভাবে কথা বলেছিল সংবাদ সম্মেলনে!  ভদ্রতার ছিটেফোঁটাও নেই তার মাঝে। আর সে কিনা আমাকে ভদ্রতার ব্যাপারে উপদেশ দিয়েছিল!” ম্যাচ শেষের ওই সংবাদ সম্মেলনে শেন ওয়ার্ন এবং বেন স্টোকসকে নিয়ে অনেক কথাই বলেছিলেন স্যামুয়েলস

    কথা কাটাকাটির শুরুটা হয়েছিল ক্যারিবিয় ইনিংসের শুরুতেই, জানান স্টোকস, “তখন ওদের ১৪ রানে ৩ উইকেট পড়ে গিয়েছিল। কিন্তু নন স্ট্রাইকারে থাকা স্যামুয়েলস খুবই স্বাভাবিকভাবে পায়চারি করছিল। আমি তাকে বলি, “তোমাদের তো ৩ উইকেট পড়ে গেছে, বিপদেই আছে তোমার দল।” সে উত্তরে আমাকে গালি দেয়। তাকে স্কোরবোর্ডটা মনে করিয়ে দিতে সে আবারো একই কথা বলে।”

    শেষ ওভারে টানা ৪ টি ছক্কা হজম করে বিশ্বকাপ হাতছাড়া হয়েছিল। এই কষ্টটা এখনো তাড়া করে বেড়ায় তাঁকে, “টানা ৪ ছক্কা হজম করাটা আমার কাছে বড় ব্যাপার না। অল্পের জন্য ট্রফিটা ফসকে গিয়েছিল ওইবার, এটাই আজীবন আমাকে পীড়া দেবে। আমরা পুরো ম্যাচে এগিয়ে ছিলাম, শুধু শেষে গিয়ে ছিটকে পড়লাম। সতীর্থরা আমার পাশে ছিল সবসময়। সবাই ওই হারের পর আমাকে সান্ত্বনা দিয়েছে। অনেকেই আমাকে প্রশ্ন করে আবারো সুযোগ পেলে ডেথ ওভারে বোলিং করব কিনা। আমি একশত ভাগ নিশ্চিত হয়েই বলি যে, আমি আবারো ওরকম পরিস্থিতিতে বল করতে চাই।”