• ক্রিকেটে করোনাভাইরাস
  • " />

     

    পাকিস্তানের বদলে শ্রীলঙ্কায় হতে পারে এশিয়া কাপ, আয়োজনের আশা সেপ্টেম্বরে

    পাকিস্তানের বদলে শ্রীলঙ্কায় হতে পারে এশিয়া কাপ, আয়োজনের আশা সেপ্টেম্বরে    

    এ বছর এশিয়া কাপ শেষ পর্যন্ত হলে পাকিস্তানের বদলে সেটি অনুষ্ঠিত হতে পারে শ্রীলঙ্কায়। এবার এ টুর্নামেন্ট পাকিস্তানের আয়োজনের কথা থাকলেও তারা শ্রীলঙ্কার সঙ্গে সেটি অদল-বদল করতে চায়, বিনিময়ে ২০২২ সালের টুর্নামেন্ট আয়োজন করতে চায় তারা। 

    এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল, এসিসির শেষ সভায় শ্রীলঙ্কার সঙ্গে আয়োজনের সত্ত্ব বদলানোর প্রস্তাব দিয়েছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড, পিসিবি- এক রিপোর্টে এমন বলছে ক্রিকইনফো। 

    ৮ জুন ভিডিও কনফারেন্সে হয়েছে এসিসির এক্সিকিউটিভ বোর্ডের মিটিং। সেখানে “এশিয়া কাপ ২০২০ আয়োজনের গুরুত্বের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে, সম্ভাব্য ভেন্যু নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে, এবং পরে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত পরে নেওয়া হবে” বলে জানানো হয়েছে এক বিবৃতিতে। এসিসির এখনকার প্রেসিডেন্ট বিসিবির নাজমুল হাসান পাপন, সে মিটিং অনুষ্ঠিত হয়েছে তার সভাপতিত্বেই। পাকিস্তান-শ্রীলঙ্কার আয়োজনের অদল-বদলের ব্যাপারটি অবশ্য এখনও অনুমোদন দেয়নি এসিসির বোর্ড।

    ভারতের সঙ্গে তাদের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে নিজেদের দেশে এবার ভারতকে নিতে পারবে বলে মনে করে না পিসিবি। তার ওপর কভিড-১৯ মহামারিতে শ্রীলঙ্কার অবস্থা বেশ ভাল বলে বহুজাতিক টুর্নামেন্ট আয়োজনের ক্ষেত্রে তারাই সুবিধাজনক পরিস্থিতিতে থাকবে বলে মনে করা হচ্ছে। 

    সেপ্টেম্বরে এশিয়া কাপ আয়োজন করতে চায় শ্রীলঙ্কা। কভিড-১৯ পরিস্থিতির পর নিজেদের দেশে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ফেরাতে জোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে তারা। ২০১০ সালের পর আর এশিয়া কাপ আয়োজন করেনি শ্রীলঙ্কা। শেষ ৪ আসরের ৩টিই হয়েছে বাংলাদেশে, ২০১৮ সালের শেষ আসরটি হয়েছে আরব আমিরাতে, যেখানে ফাইনাল খেলেছিল বাংলাদেশ। 

    অবশ্য এরই মাঝে জুনে তিনটি ওয়ানডে ও তিনটি টি-টোয়েন্টির জন্য শ্রীলঙ্কা সফর স্থগিত করেছে ভারতের ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড, বিসিসিআই। এরপর বাংলাদেশের সফর করার কথা শ্রীলঙ্কায়, তবে জুলাইয়ে সে সফর নিয়ে এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানায়নি বিসিবি। এর আগে মার্চে সফর স্থগিত রেখে শ্রীলঙ্কা থেকে ফিরে গিয়েছিল ইংল্যান্ড।  

    জুলাইয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ইংল্যান্ড সফর দিয়ে মাঠে ফিরছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট, যে সফরে ‘বায়ো-সিকিউর’ ভেন্যুতে তিনটি টেস্ট খেলবে সফরকারীরা। 

    অবশ্য সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে অস্ট্রেলিয়ায় হতে যাওয়া ছেলেদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ নিয়ে সংশয় আছে এখনও, আইসিসি এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়নি এখনও।