• ইউরোপা লিগ
  • " />

     

    অতিরিক্ত সময়ের গোলে পার পেল ইউনাইটেড, লুকাকুর রেকর্ডে সেমিফাইনালে ইন্টারও

    অতিরিক্ত সময়ের গোলে পার পেল ইউনাইটেড, লুকাকুর রেকর্ডে সেমিফাইনালে ইন্টারও    

    ইউরোপা লিগের সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ও ইন্টার মিলান। কোপেহেগেনের বিপক্ষে জয় পেতে ইউনাইটেডকে অপেক্ষা করতে হয়েছে অতিরিক্ত সময় পর্যন্ত। ব্রুনো ফার্নান্দেজের পেনাল্টি থেকে করা একমাত্র গোল ভাগ্য গড়ে দিয়েছে ম্যাচের। ইন্টারের কাজও সহজ হয়নি। বেয়ার লেভারকুসেনের বিপক্ষে ২-১ গোলে জিতেছে নেরাজ্জুরিরা।
     


    দ্বিতীয় রাউন্ড শেষ করে কোয়ার্টার ফাইনালের এই দুই ম্যাচ দিয়েই এক লেগের ইউরোপা লিগ শুরু হয়েছে জার্মানিতে। কোলোনের গরমে কোপেনহেগেনে গোলরক্ষক কার্ল ইয়োহান জনসনের বিপক্ষে ১৩ বার গোলে শট করেও তাকে পরাস্ত করতে পারেনি ইউনাইটেড। ইউনাইটেড আর গোলের মাঝে পার্থক্য হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন কোপেনহেগেন গোলরক্ষকই। প্রথমার্ধে মেসন গ্রিনউডের গোল বাতিলের পর দ্বিতীয়ার্ধে বেশ কয়েকবার গোলের সামনে থেকে ফিরেছেন অ্যান্থনি মার্শিয়াল। অতিরিক্ত সময়ের প্রথমার্ধে তিনিই পেনাল্টি আদায় করেছিলেন। 

    এই মৌসুমে এই নিয়ে ২১ বার পেনাল্টি পেল ইউনাইটেড। ইউরোপের শীর্ষ পাঁচ লিগে ইউনাইটেডের চেয়ে বেশি পেনাল্টি পাওয়ার রেকর্ড এবার নেই কোনো দলের। ৯৫ মিনিটে জনসনকে কোনো সুযোগ না দিয়েই নিখুঁত পেনাল্টি থেকে গোল করেন পর্তুগিজ মিডফিল্ডার। ২০১৭-১৮ মৌসুমের পর থেকে গোল আর অ্যাসিস্ট মিলিয়ে নিজের ব্যক্তিগত সংখ্যাটাও তাতে ২১ নিয়ে যান ফার্নান্দেজ। গত তিন বছরে ইউরোপা লিগে গোলে এতোগুলো অবদান (১৩ গোল, ৮ অ্যাসিস্ট) নেই অন্য কোনো খেলোয়াড়ের।

    ডেনমার্কের রানার আপ কোপেনহেগেন প্রথমার্ধে ইউনাইটেডকে খানিকটা চাপে ফেললেও, পুরো ম্যাচে একবারও ইউনাইটেডের গোলে শট নিতে পারেনি। সেমিফাইনালে ইউনাইটেডের প্রতিপক্ষ সেভিয়া বা উলভস।


    ডুসেলডর্ফে জার্মান ক্লাব লেভারকুসেনের বিপক্ষে রেকর্ড গড়েছেন রোমেলু লুকাকু। টানা ৯ ইউরোপা লিগের ম্যাচে গোল করেছেন বেলজিয়ান। এর ভেতর ৫ ম্যাচ অবশ্য ২০১৪-১৫ মৌসুমে এভারটনের হয়ে করা। ১৫ মিনিটে অ্যাশলি ইয়াং ও লুকাকুর সাজানো আক্রমণে দূর থেকে করা শটে গোল করেন নিকোলো বারেল্লা। লুকাকুর গোলেও আছে ইয়াংয়ের অবদান। তার পাস থেকে টার্ন নিয়ে এক ডিফেন্ডারকে ছিটকে ফেলে মৌসুমের ৩১ তম গোল ম্যাচের ২১ মিনিটে করেছেন লুকাকু। কিছুক্ষণ পর কাই হাভার্টজ এক গোল শোধ দিয়েছিলেন। কিন্তু পুরো সময় চেষ্টা করেও আর ম্যাচে ফিরতে পারেনি লেভারকুসেন। এর ভেতর অবশ্য দুইবার ইন্টার পেনাল্টি পেয়েছিল, তবে ভিএআর চেকের পর রেফারি দুইবারই বাতিল করেছেন সেই সিদ্ধান্ত।

     

    ২০০৯-১০ মৌসুমে চ্যাম্পিয়নস লিগ জেতার পর এই প্রথম ইউরোপিয়ান প্রতিযোগিতার সেমিফাইনালে উঠল ইন্টার। ইউয়েফা কাপ বা ইউরোপা লিগে সর্বোচ্চ আটবার সেমিফাইনাল খেলার রেকর্ডও তাদের। সেমিফাইনালে তাদের প্রতিপক্ষ শাখতার দোনেতস্ক বা বাসেল।