• ইউরোপা লিগ
  • " />

     

    ইউনাইটেডকে সুযোগ নষ্টের শাস্তি দিয়ে ইউরোপার ফাইনালে সেভিয়া

    ইউনাইটেডকে সুযোগ নষ্টের শাস্তি দিয়ে ইউরোপার ফাইনালে সেভিয়া    

    ফুল টাইম

    সেভিয়া ২: ১ ম্যান ইউনাইটেড


    ইউরোপা লিগের রাজা তারা। সেটা আরও একবার প্রমাণ করল সেভিয়া। এক লেগের সেমিফাইনালে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে ২-১ গোলে হারিয়ে উঠে গেল ফাইনালে। এই মৌসুমে আরও একবার সেমি থেকে বাদ পড়ল ইউনাইটেড, সেজন্য অবশ্য নিজেদেরই দায়ী করতে পারে তারা।

    স্কোরলাইন ম্যাচের আসল গল্পটা বলছে না অবশ্যই। দ্বিতীয়ার্ধে একের পর এক সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে পারেনি ইউনাইটেড, অপরাজেয় হয়ে উঠেছিলেন সেভিয়া গোলরক্ষক বোনোও। রাশফোর্ড-মার্শিয়ালদের গোল মিসের খেসারত দিয়েছে ইউনাইটেড শেষ পর্যন্ত।

    ইউনাইটেডের শুরুটা অবশ্য হয়েছিল স্বপ্নের মতো। ৭ মিনিটেই পেনাল্টি পায় ইউনাইটেড। বক্সের ভেতর মার্শিয়ালের থ্রুটা ধরেছিলেন রাশফোর্ড, শটও নিয়েছিলেন। সেটা চলে যায় বাইরে। তবে ফলো থ্রুতে ফাউল করা হয় রাশফোর্ডকে, পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। ব্রুনো ফার্নান্দেজ পেনাল্টি মিস করা কী, সেটা জানেন না। আরও একবার দুর্দান্ত স্পটকিক থেকে বল জড়িয়ে দিয়েছেন জালে। এই মৌসুমে এটা ইউনাইটেডের ২২তম পেনাল্টি, ২০১৫-১৬ মৌসুমে বার্সেলোনার পর ইউরোপের শীর্ষ লিগে এত পেনাল্টি পায়নি কোনো দল।


    ১৪ মিনিটে আরেকটি দারুণ সুযোগ পেয়েছিল ইউনাইটেড। এবার ফার্নান্দজের পাস থেকে বক্সে বল পেয়েছিলেন ফ্রেড। কিন্তু কঠিন অ্যাঙ্গেল থেকে বল পোস্টে রাখতে পারেননি। মিনিটখানেক পরেই ম্যাচের প্রথম সুযোগ পায় সেভিয়া, তবে বক্সের বাঁ দিক থেকে লুকাস ওকাম্পসের জোরালো শট ঠেকিয়ে দেন ডি গিয়া।

    এরপর গুছিয়ে নিয়ে খেলায় ফেরে সেভিয়া, ২৬ মিনিটে গোলও শোধ করে দেয়। এবার দারুণ একটা আক্রমণ থেকে ওভারল্যাপ করে উঠে আসা লেফটব্যাক রেগুলিয়ন ক্রস করেছিলেন বক্সে। সুসো বাঁ পায়ের দুর্দান্ত এক ফিনিশিংয়ে বল জড়িয়ে দেন জালে। তবে ইউনাইটেড নিজেদের দুর্ভাগা মনে করতে পারে, সেভিয়ার আক্রমণের উৎস ছিল একটা ফলস থ্রো ইন। ৩২ মিনিটে পগবার পাস থেকে ভালো সুযোগ পেয়েছিলেন মার্শিয়াল, কিন্তু তার বাঁকানো শট একটুর জন্য পোস্টের ওপর দিয়ে চলে যায়।

    প্রথমার্ধ শেষ হয়েছে আক্রমণ-প্রতি আক্রমণে। শেষ দুই মিনিটে ব্রুনো ফার্নান্দেজের শট ঠেকিয়ে দিয়েছেন সেভিয়া গোলরক্ষক ব্রুনো, এরপর আবার পালটা আক্রমণ থেকে বক্সের ভেতর ঢুকেও সুযোগ হারিয়েছেন রাশফোর্ড।

    দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই ফার্নান্দেজের থ্রু থেকে সুযোগ পেয়েছিলেন গ্রিনউড, কিন্তু কাজে লাগাতে পারেননি। সেই সেভ করেই যেন অতিমানব হয়ে যান সেভিয়া গোলরক্ষক বোনো। এরপর তিন মিনিটে আরও তিনটি সেভ করেছেন, দুবার অন্তত নিশ্চিত গোল থেকে বাঁচিয়েছেন। একের পর এক আক্রমণ করেও গোল পায়নি ইউনাইটেড।

    ৭৮ মিনিটে অনেকটা খেলার ধারার বিপরীতেই গোল খেয়ে বসে ইউনাইটেড। ডান দিক থেকে হেসুস নাভাসের ভেসে আসা ক্রসটা তাকিয়ে তাকিয়ে দেখছিলেন ইউনাইটেড ডিফেন্ডাররা। ফাঁকায় পেয়ে জালে জড়িয়ে দেন লুক ডি ইয়ং।

    ওলে গানার সোলশার অবশ্য এরপর বাধ্য হয়েই বদলি করেন কিছু। কিন্ত তাতে কাজ হয়নি, শেষ দিকে সেভাবে আক্রমণও করতে পারেনি ইউনাইটেড। সেভিয়াও আর কোনো গোল খায়নি। আর তাতেই নিশ্চিত হয়েছে ছয়বারের মতো ফাইনাল খেলা।