টেস্টে দীর্ঘদিনের নিয়ম থেকে অবশেষে সরে আসছে ইংল্যান্ড
বাজে আবহাওয়ার কারণে টেস্টে একদিনের খেলা কম হলে সেটি পুষিয়ে দিতে এতদিন দুই-একবার ব্যতিক্রম ছাড়া দিনের শেষভাগকে কাজে লাগানো হতো ইংল্যান্ডে। এবার সে নিয়ম থেকে সরে আসছে তারা। পাকিস্তানের বিপক্ষে তৃতীয় টেস্টে দিনের শুরুতেই বাড়তি আধাঘন্টা কাজে লাগানো যেতে পারে, এক বিবৃতিতে এটি নিশ্চিত করেছে ইসিবি।
উপমহাদেশে সাধারণত সময় পুষিয়ে দিতে আধা-ঘন্টা আগে খেলা শুরু হয়। তবে ইংল্যান্ডে দর্শকদের কথা বিবেচনা করে সেটি দিনের শেষবেলায় কাজে লাগানো হতো এতদিন। তবে সাউদাম্পটনে পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে মাত্র ১৩৪.৩ ওভার খেলা হয়েছে। এমনও হয়েছে, সকালবেলা কন্ডিশন ভাল থাকলেও নির্ধারিত সময় ১১.০০টার দিকে গিয়ে আবার বাজে হয়ে গেছে, ফলে সে সময়টা কাজে লাগানো যায়নি।
দিনের খেলা আগে শুরু হলে দর্শকদের সেটি জানানো মুশকিল বলে এতদিন আধাঘন্টা আগে খেলা শুরু করেনি ইসিবি। তবে এ সিরিজ হচ্ছে দর্শকশূন্য মাঠে, তবুও কেন আগের নিয়মই বহাল রাখা হচ্ছে, সে নিয়ে সমালোচনা হয়েছে অনেক। এবার সেক্ষেত্রে একটু নমনীয় হচ্ছে ইসিবি।
“ম্যাচ রেফারি ক্রিস ব্রডের নেতৃত্বে ইংল্যান্ড ও ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড, আইসিসি ও অন্যান্য অংশীদারের সঙ্গে আলোচনার পর ইসিবি ও আইসিসি পরিবর্তিত সময়ে খেলার শুরুর ক্ষেত্রে সম্মত হয়েছে, #রেইজদ্যব্যাট সিরিজের তৃতীয় টেস্ট থেকে”, এক বিবৃতিতে বলেছে ইসিবি।
“এই নমনীয় পদক্ষেপ বাজে আবহাওয়ার কারণে সময় পুষিয়ে দিতে সমর্থ হবে, একদিনের হারানো সময় পরবর্তী দিনগুলির শেষভাগে পরিবর্তে সকালের সেশনে ব্যবহার করা হবে।”
“দিনের খেলার সময় যাতে বাড়ানো যায়, সেজন্য ম্যাচ অফিশিয়ালরা আলো পর্যবেক্ষণ করবেন, যতক্ষণ নিরাপদ মনে হবে ততক্ষণ খেলা চলবে। ক্রিকেটারদের নিরাপত্তা এই প্রোটোকলে সবার আগে অগ্রাধিকার পাবে।”
আলোকস্বল্পতায় বারবার খেলা বন্ধ হওয়া সিরিজজুড়েই আছে আলোচনায়। এই অভূতপূর্ব সময়ে কেন ম্যাচ অফিশিয়ালরা আরেকটু নমনীয় হচ্ছেন না এক্ষেত্রে, সেই প্রশ্নও তুলেছিলেন সাবেক ক্রিকেটার ও কমেন্টেটররা।