• ক্রিকেটে ফেরা
  • " />

     

    শ্রীলঙ্কা সফর স্থগিত হলে বাংলাদেশের ক্রিকেটে এরপর কী?

    শ্রীলঙ্কা সফর স্থগিত হলে বাংলাদেশের ক্রিকেটে এরপর কী?    

    শ্রীলঙ্কা সফরে তাকে প্রয়োজন, সে কারণে আইপিএল খেলার প্রস্তাব পেলেও মোস্তাফিজুর রহমানকে অনাপত্তিপত্র দেয়নি বিসিবি। তার বদলে যুক্তরাষ্ট্রের আলি খানকে নিয়েও নিয়েছে কলকাতা নাইট রাইডার্স। তবে সে শ্রীলঙ্কা সফরই কার্যত স্থগিত হয়ে পড়েছে এখন। 

    ঘটনা নাটকীয় মোড় না নিলে এ সফর কার্যত স্থগিত হয়ে যাওয়ার পর অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে দেশের ক্রিকেটে ফেরাও। ঘরোয়া বা আন্তর্জাতিক, নির্দিষ্ট কোনও কিছু নেই এখনও বিসিবির সামনে। ঘরোয়া ক্রিকেট, জাতীয় দলের সঙ্গে বয়সভিত্তিক দল মিলিয়ে কোনও খেলা-- বিসিবি ভাবছে বিভিন্ন কিছু। 

    অক্টোবরে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের জন্য ৩ টেস্ট খেলতে শ্রীলঙ্কা সফরে যাওয়ার কথা আনুষ্ঠানিকভাবে আগস্টে জানিয়েছিল বিসিবি। এর আগেই ক্রিকেটাররা ফিরেছিলেন বিসিবির অধীনে ব্যক্তিগত অনুশীলনে। তবে শ্রীলঙ্কা সফর সামনে রেখে আবাসিক ক্যাম্প শুরু হয়নি এখনও, প্রথম দফা কোভিড-১৯ টেস্ট করানো হয়েছিল জাতীয় দলঘেঁষা ক্রিকেটার ও সাপোর্ট স্টাফদের। 


    হেড কোচ রাসেল ডমিঙ্গোর সঙ্গে দেখা রুবেল হোসেনের, সোমবার মিরপুরে


    সে টেস্টে নেগেটিভ আসা ক্রিকেটাররা আবারও ফিরেছিলেন অনুশীলনে। সোমবার তাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন হেড কোচ রাসেল ডমিঙ্গোও। তবে হুট করেই এসব তোড়জোড় একটু ম্লান হয়ে গেছে। অবশ্য বিসিবি আশা ছাড়ছে না। 

    বিসিবি প্রেসিডেন্ট নাজমুল হাসান পাপন বলছেন, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের ব্যাপারে কিছু না বলতে পারলেও ঘরোয়া ক্রিকেট তারা ফেরাবেনই, “আমরা জানি আমরা ক্রিকেট ফিরিয়ে নিয়ে আসবো। বাইরের কারো সাথে হবে কিনা জানি না, আমরা ঘরোয়া ক্রিকেট শুরু করে দিবো এখনই। কী করবো সেটা আপনাদেরকে বলছি না, কিন্তু কিছু তো একটা করবোই। ক্রিকেট আমরা মাঠে ফেরাবোই।”

    শ্রীলঙ্কা সফরে জাতীয় দলের সঙ্গে যাওয়ার কথা ছিল এইচপি দলের। তবে স্থগিত হয়ে গেছে সেটিও। বিসিবির গেম ডেভলপমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান নাইমুর রহমান দূর্জয় বলছেন, আছে বিভিন্ন সম্ভাবনা, “ঘরোয়া লিগ বলতে আমাদের ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ বা বিপিএল, বিসিএল এভাবে চিন্তা না করে এখন যেহেতু একটা বায়ো সিকিউরিটির ব্যাপার আছে সেহেতু আমাদের বোর্ডের একটা প্রস্তুতির ব্যাপার আছে। বোর্ডের নিয়ন্ত্রণে আছে যেসব সেসব আয়োজন করতে পারি।

    “জাতীয় দলের দুইটা তিনটা দল, হাই পারফরম্যান্স (এইচপি) আছে, অনূর্ধ্ব-১৯ দল আছে সবাইকে নিয়ে আমাদের চুক্তিবদ্ধ ক্রিকেটার আছে তাদের একসাথ করে যদি কোন খেলা আয়োজন করতে পারি। 

    তবে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ বর্তমান প্রেক্ষিতে কঠিন, মানছেন তিনি, “আপনারাও জানেন ক্লাবগুলোর জন্য এখন কঠিন, আমরা কোয়াবের পক্ষ থেকেও যোগাযোগ করেছি। সেক্ষেত্রে যদি কর্পোরেট হাউজগুলো এগিয়ে আসে সম্ভবত কর্পোরেট লিগ হতে পারে।”

    জাতীয় দলঘেঁষা ক্রিকেটাররা ছাড়া এ মুহুর্তে বিকেএসপিতে ক্যাম্পে আছেন অ-১৯ দলের প্রাথমিক স্কোয়াডে ডাক পাওয়া ক্রিকেটাররা। সে ক্যাম্পের পর এইচপি দলকে সেখানে রাখার চেষ্টা করবে বিসিবি, “শ্রীলঙ্কা সিরিজটিতো আমাদের (এইচপি) দ্বিপক্ষীয় সিরিজ ছিল। সেটা না হলে আমরা আমাদের ক্যাম্প শুরু করে দেওয়ার পরিকল্পনা করছি। ক্যাম্পটা এখন যেহেতু অনূর্ধ্ব-১৯ দল বিকেএসপিতে করছে ওটা শেষ হলে বিকেএসপিতে করতে পারি। স্বাভাবিকভাবে এইচপির ক্যাম্পটাতো একাডেমিতে হয়, সে সুযোগটাতো আমাদের আছেই। মাঠ কোনো সমস্যা না। আমাদের বেশ কিছু মাঠ আছে যেগুলো বোর্ড পরিচালনা করে। আবাসনটা চিন্তা করতে হবে, মাঠের কাছাকাছি ব্যবস্থা করার জন্য।”

    এর আগে পাপন বলেছিলেন, একমাত্র অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে দুই টেস্টের সিরিজ ছাড়া কোভিড-১৯ মহামারিতে স্থগিত হয়ে যাওয়া বাকি সিরিজগুলি নিয়ে সামনে এগিয়েছেন তারা। সামনে নিজেদের গ্রীষ্মে বাংলাদেশকে আতিথেয়তা দেওয়ার কথা জানিয়েছিল নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট। 

    আর ক্রিকেট অপারেশনসের চেয়ারম্যান আকরাম খান বলছেন, সামনের বছর জানুয়ারিতে সম্ভাবনা আছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের আসার, “আমরা ঘরোয়া লিগ শুরু করবো, পরবর্তীতে জানুয়ারিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ আসার কথা।”

    কিন্তু এর আগে কী, আপাতত নিশ্চিত নয় কিছুই।