• আইসিসি টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ২০১৬
  • " />

     

    ২২ গজের সেলুলয়েড : তামিমময় ম্যাচ

    ২২ গজের সেলুলয়েড : তামিমময় ম্যাচ    

    মিকেরিনের দায়মোচন

    থার্ডম্যানে সৌম্যর ক্যাচটা ফেলেছিলেন মুদাসসের বুখারির বলে। পরের ওভারে একটা বাউন্ডারি মারলেন, বুকে বিঁধলো মিকেরিনের? তবে অস্বস্তিতে বেশীক্ষণ ভুগতে হয়নি ডাচ পেসারকে, বল করতে এসে যে প্রথম বলেই তুলে নিলেন সৌম্যকে! লাফিয়ে ওঠা বলটাতে তো সৌম্যই পড়েছিলেন অস্বস্তিতে!

     

    হায় মুশফিক

    এশিয়া কাপের ৫ ম্যাচে করেছেন ৪০ রান। ফন ডার গুগটেনের গুড লেংথের বলটা বুঝতেই পারলেন না! হলেন বোল্ড, কোনো রান করার আগেই। মিরপুর থেকে ধর্মশালা, মুশফিকুর রহিমের দুঃসময়টা তাড়া করে ফিরছেই!

     

    মরু থেকে হিমালয়

    ইনিংসটিতে কী ছিল না! আলতো ছোঁয়ায় বলকে থার্ডম্যান দিয়ে পাঠালেন বাউন্ডারি, যেন পরশ বোলালেন! ডাউন দ্য গ্রাউন্ডে এসে উড়িয়ে মারলেন, বুলেটগতিতে! ইনসাইড আউট করে মারলেন কাভারে। হিমালয়ের পাদদেশে তামিম ইকবাল তো খেললেন চারপাশেই! ইন ফ্রন্ট অব স্কয়ারে আরও বেশী! ছয় চার, তিন ছয়ে ৫৮ বলে ৮৩ রান। শুরু থেকে থাকলেন শেষ পর্যন্ত! ওপেনিংয়ে নেমে ফলাফল এসেছে এমন টি-টোয়েন্টিতে এ নিয়ে তিনবার অপরাজিত থাকলেন তামিম।

     

    ফিল্ডার আল-আমিন

    এশিয়া কাপে তাসকিন আহমেদকে কম হতাশা দেননি ফিল্ডাররা। ক্যাচগুলো যেন তাঁর বলেই বেশী পড়তো! ফিল্ডার ক্যাচ ধরার আগে হাত তুলে প্রার্থনা করার ভঙ্গিটাও নিশ্চয়ই মনে আছে! সেই তাসকিনকেই এবার আরেকটু হতাশা দিলেন আল-আমিন। ডিপ পয়েন্টে পায়ের নীচ দিয়ে বেড়িয়ে গেল বল, এক রানের জায়গায় হয়ে গেল চার। পরের বলেই অবশ্য অনেকখানি দৌড়ে গিয়ে ফিল্ডিং করলেন আল-আমিন, তাসকিনের হতাশাটা কি কমলো?

     

    দুই ভাই আর এক নাতি

    টমের জন্ম অস্ট্রেলিয়াতে। নিউ সাউথ ওয়েলসের বিভিন্ন দলের হয়ে খেলেছেন, খেলেছেন অস্ট্রেলিয়ার অনূর্ধ্ব-১৯ দলের হয়েও। হয়তো ব্যাগি গ্রিন বা জাতীয় দলের ক্যাপটা মাথায় তোলার স্বপ্নটাই খেলা করতো চোখেমুখে। সে স্বপ্ন দেখে থাকলেও পূরণ হয়নি, ২০১০ সালে পাড়ি জমান মায়ের ভূমি নেদারল্যান্ডসে। তাদের হয়েই ২০১০ সালে ওয়ানডেতে অভিষেক, টি-টোয়েন্টিতে ২০১২ সালে। এক বছর গায়ে কমলা রঙ জড়ালেন ছোট ভাই বেনও। ধর্মশালাই দুই ‘কুপার’ ভাই খেললেন একই সঙ্গে, প্রথমবারের জন্য নয় অবশ্যই। ডাচদের অন্যতম ভরসাই তো দুই ভাইয়ের অভিজ্ঞতা। লোগান ফন বিকের অবশ্য ভাই না, খেলেছিলেন দাদা। তাও সেই ১৯৫১ সালে। দেশের নামও জোগাতে পারে বিস্ময়, সিম্পসন গিলেন যে টেস্ট খেলেছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও নিউজিল্যান্ড দুই দলের হয়েই! তবে দুই ভাই আর এক নাতি, কেউই পারলেন না বাংলাদেশকে হারানোর অঘটনটা ঘটাতে!

     

    হঠাৎ ঝলক!

    ১২ বলে প্রয়োজন ৩৩ রান। আল-আমিন প্রথম বলেই আউট করলেন টম কুপারকে, ম্যাচ তো অনেকখানিই হেলে পড়লো বাংলাদেশের দিকে! নাহ্‌। মুদাসসের বুখারি পরের দুই বলে নিলেন দশ রান, সঙ্গে সিলারের এক বাউন্ডারিতে সে ওভারে এলো মোট ১৬, ডাচ ইনিংসের সর্বোচ্চ! তবে বুখারি-সিলারের হঠাৎ জ্বলে ওঠার আভাসও শেষ ওখানেই, তাসকিনের শেষ ওভারে শেষ ডাচদের অঘটন ঘটানোর স্বপ্নটাও!