• আইসিসি টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ২০১৬
  • " />

     

    সেঞ্চুরির কথা ভাবেনইনি তামিম

    সেঞ্চুরির কথা ভাবেনইনি তামিম    

    দায়িত্বটা একটু বেশিই ছিল তাঁর। এশিয়া কাপে অনেকটা হুট করেই সুযোগ মিলেছিল। কিন্তু খুব বেশি কিছু করতে পারেননি, ভারত ও পাকিস্তানের দুই ম্যাচ মিলে করেছেন মাত্র ২০ রান। ধর্মশালার ম্যাচের পর এখন আর অতৃপ্তি থাকার কথা নয়। অপরাজিত ৮৩ রানের ইনিংসই তো পথ দেখিয়েছে বাংলাদেশকে। তবে সেঞ্চুরির কাছে গিয়েও সেটা না পাওয়ায় তামিমের একটু অতৃপ্তি থাকতেই পারে। বাংলাদেশ ওপেনার অবশ্য জানাচ্ছেন, সেটা নিয়ে দুঃখ নেই তাঁর। কারণ নিজেই শেষ দিকে সেঞ্চুরির চেষ্টা করেনি।

     

    ৩৭ বলে ফিফটি পূরণ করার পর তামিমের ঝড় বইয়ে দেওয়ার কথাই ছিল। কিন্তু ১৫তম ওভারে দুই বলের মধ্যে মাহমুদউল্লাহ ও মুশফিক আউট হয়ে গেলে তামিম পরিস্থিতি বুঝে নিজের ব্যাটে লাগাম পরিয়ে ফেলেছেন। ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে সেটিই জানিয়েছেন, “ওই সময় যদি দুই উইকেট না পড়ত তাহলে আমি হয়ত অন্যভাবে খেলতাম। ওই সময় আমি আউট হয়ে গেলে দলের ওপর অনেক বেশি চাপ পড়ত। আমি চেয়েছিলাম যাতে শেষ পর্যন্ত ব্যাট করতে পারি। তাহলে দলের রান অন্তত ১৫০ রান ছাড়িয়ে যাবে।”

    কিন্তু ধর্মশালার উইকেটে ব্যাট করা আসলে কতটুকু কঠিন ছিল? তামিম স্বীকার করেছেন, যেমন আশা করেছিলেন উইকেটটা একটু অন্যরকম ছিল, “এটা আসলে খুব সহজ উইকেট ছিল না। একটু স্পিন ধরছিল, বল একটু ধীরে ব্যাটে আসছিল। আমি সেজন্যই শুরুতে একটু সময় নিয়েছিলাম, ধরে খেলার চেষ্টা করেছি। আমি সব চাপ ঝেড়ে নির্ভার হয়ে খেলতে চেয়েছি। ওটাই ছিল আমার পরিকল্পনা।”

    বিপিএল ও পিসিএলে ব্যাট হাতে সাফল্যটা জাতীয় দলের হয়ে অনূদিত করতে পারাটাই বেশি তৃপ্তি দিচ্ছে তামিমকে, “ঘরোয়া ক্রিকেটে আমি রান পেয়েছি। কিন্তু সত্যি বললে টি-টোয়েন্টিতে গত বেশ কিছু দিনে জাতীয় দলের হয়ে সেভাবে খেলতে পারিনি। এই ব্যাপারটা আমাকে একটু তৃপ্তি দিচ্ছে।”

    সামনের ম্যাচগুলোতেও তামিম নিশ্চয় সেই তৃপ্তিটা পেতে চাইবেন!