আইসিসিকে কাঠগড়ায় দাঁড় করালেন হাথুরুসিংহে
নেদারল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচ শেষেই আসলো খবরটি। সানি ও তাসকিনের বোলিং নিয়ে সন্দেহ জেগেছে আইসিসি’র ম্যাচ অফিশিয়ালদের! এর মধ্যে আইসিসি লিখিতভাবে সেটি নিশ্চিত করেছে, এক সপ্তাহ পর চেন্নাইতে গিয়ে দুজনের অ্যাকশনের পরীক্ষা দিতে হবে। তার আগ পর্যন্ত দুজনের বোলিং করায় কোনো বাধা নেই। আগামীকাল গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে মাঠে নামার আগে বেশ বড়সড় ধাক্কাই এলো টাইগারদের উপর। বিশ্বকাপ শুরুর পর দলের দুই বোলারের অ্যাকশন নিয়ে সন্দেহের কথা শুনে তাই বেশ চটেছেন বাংলাদেশের কোচ চন্ডিকা হাতুরুসিংহে।
বাংলাদেশ কোচ তাঁর বোলারদের অ্যাকশনে সন্দেহ করার মত তেমন কিছুই দেখছেন না। বরং অসময়ে আইসিসি’র এইরকম কান্ড দেখে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি, “যদি আমার বোলারদের নিয়ে তাঁদের কোন সন্দেহ থাকে, আমারও তাঁদের কর্মকান্ড নিয়ে প্রশ্ন আছে। আমি তো কোন ভুল দেখছি না। তাঁরা দু’জন গত এক বছর ধরেই একইরকমভাবে বোলিং করে আসছে। আর তাঁরাও তো সেসব ম্যাচ পরিচালনা করেছেন। তাঁরা তাহলে গতকাল নিশ্চয়ই ভিন্ন কিছু দেখেছেন, আমি শুধু এটাই বলতে পারি।”
বাংলাদেশের দুই বোলারের অ্যাকশন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন মূলত গত ম্যাচে আম্পায়ারিংয়ের দায়িত্বে থাকা রড টাকার। আর সেই সন্দেহের কথাই পরবর্তীতে জানিয়েছেন ম্যাচ পরিচালক অ্যান্ডি পাইক্রফট। অথচ গত জুনেই বাংলাদেশের খেলায় ম্যাচ রেফারির দায়িত্ব পালন করেছিলেন পাইক্রফট। আর ভারতের বিপক্ষে ঐতিহাসিক সিরিজ জয়ের সাক্ষীই তো হয়ে আছেন আম্পায়ারিংয়ের দায়িত্বে থাকা রড টাকার, সেসময়ও রেফারি সেই পাইক্রফট-ই!
গত এক বছর ধরেই আরাফাত সানি এবং তাসকিন আহমেদ একইরকম বোলিং করে আসছেন। তবে কেন হঠাৎ এইসময়েই তাঁদের সন্দেহ জাগলো? যে যাই বলুক হাতুরুসিংহে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন সানি-তাসকিনের কেউই পাল্টাবেন না তাঁদের অ্যাকশন। তাঁর বিশ্বাস এই ঘটনা দলের উপর কোন চাপ ফেলবে না, “বোলার হিসেবে নিজেদের কাজটা যে সঠিক সেইটুকু বুঝার মত যথেষ্ট জ্ঞানবুদ্ধি তাঁদের আছে। এটা নিয়ে আমাদের চিন্তা করার কিছু দেখছি না। সাম্প্রতিক সময়ে তাঁরা অনেক ক্রিকেট খেলেছে। ব্যাপারটা আমাদের জন্য আসলেই আশ্চর্যজনক। আমাদেরকে তাঁদের উদ্বেগ নিয়ে চিন্তা করতে হবে। তাঁরা এমন পর্যায়ে এসেই কিনা প্রশ্ন তুলল। তবে আমার মনে হয় না এটা আমাদের খেলায় প্রভাব ফেলবে।”
তাসকিন-সানির বিরুদ্ধে অ্যাকশন নিয়ে আম্পায়ারদের সন্দেহ হলেও চলতি টুর্নামেন্টে বোলিং করতে পারবেন। তবে নিয়ম অনুযায়ী আম্পায়াররা আইসিসির কাছে অভিযোগ পেশ করার ১৪ দিনের মধ্যে আইসিসি পরীক্ষাগারে পরীক্ষা দিতে হয়। অবশ্য টুর্নামেন্ট চলাকালে এ রকম হলে সাত দিনের মধ্যে পরীক্ষা দিয়ে ছাড় পত্র নিতে হয়। আর সিদ্ধান্ত হওয়া পর্যন্ত অভিযুক্ত খেলোয়াড় আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলে যেতে পারেন।