অতীতে প্রেরণা খুঁজবে আয়ারল্যান্ড?
চলতি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শুরুটা ভালো হয় নি। প্রথম ম্যাচেই হেরে যেতে হয়েছে প্রথমবারের মতো কোনো বিশ্বকাপ খেলতে আসা ওমানের কাছে! আয়ারল্যান্ড এখনও অব্দি আইসিসির সহযোগী সদস্যই। তবে ওমানের কাছে তাঁদের হারটাকে ‘অঘটন’ হিসেবে দেখা বলে দেয়, ক্রিকেটের ‘ছোট গলির বড় ভাই’ তাঁরা হয়ে উঠেছে ইতোমধ্যেই। আর আইরিশদের নিজেদের ঘটানো অঘটনের সংখ্যাও নেহায়েত কম নয়। বাংলাদেশের বিপক্ষেও আছে সীমিত ওভারের দু’ ফরম্যাটেই জয়ের রেকর্ড। ওই পুরোনো অতীতের সাথে ধর্মশালার ‘কন্ডিশন’ মিলিয়ে আয়ারল্যান্ডকে ‘আরও চ্যালেঞ্জিং’ প্রতিপক্ষই মানছেন বাংলাদেশের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা।
একদিনের ক্রিকেট এবং টি-টোয়েন্টি, উভয় সংস্করণেই আইরিশদের সাথে প্রথম সাক্ষাতে পরাজয় দেখতে হয়েছিল টাইগারদের। দুটোই আবার দুই বিশ্বকাপে। ২০০৭ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপে ভারতকে বিদায় করে সুপার এইটে ওঠা বাশার বাহিনী পোর্টারফিল্ডদের কাছে হেরে যায় ৭৪ রানের বড় ব্যবধানে। দু’ বছর বাদে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সেই পোর্টারফিল্ডরাই আশরাফুলদের হারান ৬ উইকেটে।
এরপর ২০১২ সালে আয়ারল্যান্ডের মাঠে হয়ে যাওয়া তিন ম্যাচের একটি টিটোয়েন্টি সিরিজে সবক’টিতেই জয় পায় বাংলাদেশ। অবশ্য প্রথমটিতে ৭১ রানের বড় জয় আসলেও পরের দুটো ম্যাচ ঘাম ঝড়িয়েই জিততে হয় মুশফিকুর রহিমদের। দুটো ম্যাচই গড়ায় শেষ বল পর্যন্ত, বাংলাদেশ জয় পায় ১ রান ও ২ উইকেটের।
সেই পোর্টারফিল্ড এখনও আছেন আয়ারল্যান্ডের অধিনায়ক। আছেন পল স্টার্লিং, ও’ব্রায়েন ব্রাদার্স, পয়েন্টার, মুরতাঘরাও। প্রথম ম্যাচে ওমানের কাছে অপ্রত্যাশিত হার অনেকটাই দেয়ালে পিঠ ঠেকিয়ে দিয়েছে আইরিশদের। বাছাইপর্বের লড়াইয়ে টিকে থাকতে তাই কাল বাংলাদেশের বিপক্ষে জয়ের কোনো বিকল্প নেই।
ওদিকে কন্ডিশনের প্রতিকূলতা ছাপিয়ে প্রথম ম্যাচে নেদারল্যান্ডের বিপক্ষে ঘাম ঝরানো জয় বাংলাদেশ শিবিরে কিছুটা হলেও স্বস্তি এনে দিয়েছে। অধিনায়ক নিজেই সেটা স্বীকার করছেন। তারপরও আইরিশদের অতীত বিবেচনায় রেখে জয়ের জন্য নিজেদের সেরাটাই দিতে হবে বলে স্বীকার করছেন মাশরাফি। পাশাপাশি ইতোমধ্যে হয়ে যাওয়া ম্যাচগুলোর ধরণ বলছে, ধর্মশালায় রাতের ‘ডিউ’ ম্যাচের ফল নির্ধারণে বড় ‘ফ্যাক্টর’ই হয়ে উঠতে পারে।