• আইসিসি টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ২০১৬
  • " />

     

    ২২ গজের সেলুলয়েডঃ বৃষ্টির রাজত্ব

    ২২ গজের সেলুলয়েডঃ বৃষ্টির রাজত্ব    

    চার ছক্কা হই-হই

    দ্বিতীয় ওভারে বয়েড র‍্যাঙ্কিনকে তৃতীয় বলে স্কয়ার লেগ দিয়ে ছয়, পরের বলে বোলারস ব্যাকড্রাইভে চার। পরের ওভারে টিম মুগটারগকে লং অন দিয়ে ছয় মারলেন তামিম ইকবাল, ওই তৃতীয় বলেই। পরের বলেই আবার চার, এবার কাভার দিয়ে!

     

    ‘রিভার্স’-এ সাফল্য

    প্রথমবার করতে গিয়েছিলেন সৌম্য সরকার, ভাবভংগি দেখে ডেলিভারিটাই করলেন না অ্যান্ডি ম্যাকব্রাইন। পরের বলে আবার করতে গেলেন, এবার প্যাডে লাগলো বল। পরের বলে এলেন ডাউন দ্য গ্রাউন্ডে, হলেন স্ট্যাম্পড। সাব্বির রহমান নেমেই করলেন, নিতে পারলেন এক রান! জর্জ ডকেরেল বল করতে এলেন, এবার করলেন তামিম। রিভার্স সুইপে অবশেষে সফল হলেন, বল গেল বাউন্ডারিতে। পরের বলেই অবশ্য সৌম্যর মতো ডাউন দ্য গ্রাউন্ডে গেলেন, তবে এবার সুযোগটা হারালেন আইরিশ কিপার নিয়াল ও’ব্রায়েন।

     

    ‘ফাস্ট তামিম’, ‘ফাস্ট বাংলাদেশ’  

    ৫৮ বলে ৮৩ এর পর ২৬ বলে ১৮০ স্ট্রাইক রেটে ৪৭, তামিম ইকবালের ব্যাট হাসছেই। টি-টোয়েন্টিতে কমপক্ষে ২০ রান করেছেন এমন ইনিংসে এটি তামিমের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ স্ট্রাইক রেট। এর আগে পাল্লাকেল্লেতে পাকিস্তানের সঙ্গে করেছিলেন ১২ বলে ২৪ রান। কমপক্ষে ২০ রানের ইনিংসে বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ স্ট্রাইক রেট আফতাব আহমেদের, ২০০৭ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সঙ্গে ২৫৭ স্ট্রাইক রেটে ৩৬ রান করেছিলেন তিনি। প্রথমে ব্যাটিং করে ৮ ওভার শেষে ৯৪, বাংলাদেশের সর্বোচ্চ এটিও।

     

    ছোট প্রাণ

    ২৭ জুন ২০১৩, ইংল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ডের টি-টোয়েন্টি ম্যাচটি টিকেছিল মাত্র ২ বল! ম্যাচ শুরু হওয়ার পরেও পরিত্যক্ত হওয়া সবচেয়ে সংক্ষিপ্ত ম্যাচ এটিই। আর সম্পন্ন হওয়া সবচেয়ে ছোট ম্যাচটি খেলেছিল নিউজিল্যান্ড ও স্কটল্যান্ড, ২০০৯ সালে ওভালে স্কটিশদের ৭ ওভারে দেয়া ৯০ রানের লক্ষ্য কিউইরা পেরিয়েছিল ৬ ওভারেই!

     

    তবে ধর্মশালায় নেমে এলো ওই শেষ না হওয়ার ভাগ্যটাই!