ইংল্যান্ডের সম্ভাবনা দেখছেন না পিটারসেন
একদিনের ক্রিকেটে বিশ্বকাপটা এখনও জেতা হয়ে ওঠে নি, ক্রিকেটের জনকদের ট্রফিকেসে বিশ্বসেরার মুকুট আছে একটাই, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের। ২০১০ সালের সে আয়োজনে ইংলিশদের বিশ্বকাপ জয়ে সামনে থেকেই নেতৃত্ব দিয়েছিলেন কেভিন পিটারসেন। সেই পিটারসেন বলছেন এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে শিরোপা জেতা দূরে থাকুক, সেরা চারে থাকার সামর্থ্যও নেই ইংল্যান্ডের!
ক্রিকেটের এই সংক্ষিপ্ততম ফরম্যাটটির গোড়াপত্তনও ইংল্যান্ডেই। তবে ২০১০ সালে শিরোপা জেতার বছরটি বাদ দিলে এ পর্যন্ত হয়ে যাওয়া পাঁচটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আর কোনোটিতেই শেষ চারে পৌঁছতে পারে নি ইংলিশরা। বাংলাদেশের মাঠে গত বিশ্বকাপে শ্রীলংকার বিপক্ষে একটি জয় মিললেও হারতে হয় বাকি তিন ম্যাচে। এমনকি নেদারল্যান্ডের ছুঁড়ে দেয়া ১৩৩ রানের সহজ লক্ষ্যও পেরোতে পারেন নি মরগ্যানরা।
গত দেড় বছরে খেলা দশটি টি-টোয়েন্টির ছয়টিতে জয় পাওয়া গেছে। অবশ্য দ. আফ্রিকার বিপক্ষে সর্বশেষ সিরিজে হারতে হয়েছে দুটো ম্যাচেই। গত বছরের ওয়ানডে বিশ্বকাপে বাংলাদেশের কাছে হেরে গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নিতে হয়। যে কারণে এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে মরগ্যানদের নিয়ে প্রত্যাশাটা একটু বেশীই ইংল্যান্ডজুড়ে।
কিন্তু কুড়ি ওভারের বিশ্বকাপেও ইংল্যান্ড খুব বেশী দূর যেতে পারবে না বলেই মনে করছেন পিটারসেন। ইংলিশ দৈনিক দ্য টেলিগ্রাফের সাথে প্রশ্নোত্তরভিত্তিক এক সাক্ষাৎকারে এবারের বিশ্বকাপের সম্ভাব্য চার সেমিফাইনালিস্ট হিসেবে ভারত, অস্ট্রেলিয়া, দ. আফ্রিকা ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের নাম বলছেন পিটারসেন। সেখানে ইংল্যান্ডের আদৌ কোনো সম্ভাবনাই দেখছেন না দলটির সাবেক অধিনায়ক।
আর ইংল্যান্ডজে দারুণ কিছু করে দেখাতে বর্তমান অধিনায়ক এউইন মরগ্যানের জ্বলে ওঠা আবশ্যক বলে মনে করছেন পিটারসেন, “আমার মনে হয় মরগ্যানকেই ম্যাচ ঘোরানোর দায়িত্বটা নিতে হবে। সে দলের অধিনায়ক। আইপিএলে খেলেছে বহুদিন, উপমহাদেশের কন্ডিশনও তাঁর পরিচিত, পাশাপাশি চার নম্বরে তাঁর ব্যাটিং দক্ষতা... সব মিলিয়ে মরগ্যানকেই চালকের আসনটা নিতে হবে।”