• আইসিসি টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ২০১৬
  • " />

     

    অতীত ভুলতে তামিমের প্রেরণা মাশরাফি

    অতীত ভুলতে তামিমের প্রেরণা মাশরাফি    

    এক বছর আগের এই সময়টা কি তামিম ইকবালের মনে আছে? অস্ট্রেলিয়ায় ব্যাট একদমই হাসছিল না তাঁর, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চলছিল মুন্ডুপাত।  সেই অতীত এখন তামিমের কাছে সুদূরে মিলিয়ে যাওয়া কোন স্মৃতি। এর মধ্যে টেস্টে ডাবল সেঞ্চুরি করেছেন, টেস্ট-ওয়ানডে-টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি রানের সিংহাসনে এখন তামিমই রাজা। কিন্তু ওই সময় নিয়ে কি কোনোই আক্ষেপ নেই তাঁর ? আজ ওমানকে হারানোর পর সংবাদ সম্মেলনে তামিম বলে গেলেন, সেই সময়ের কথা মনে রাখেননি।

     

    তাঁর ব্যাটিং নিয়ে যত কথা শুনতে হয়েছে, সেটা বাংলাদেশের অন্য কাউকে হয়েছে কি না সন্দেহ। তামিম অবশ্য এসব মনে রাখছেন না, “যখন মানুষ খুব বেশি আশা করে, তখন কষ্ট পেয়ে অনেক কিছু বলে ফেলে। দিন শেষে আমি সবাইকে ভালোবাসি। আর কে কী বলল, এসব নিয়ে এতো বেশি চিন্তা করে লাভ নেই। আমি শুধু আশা করি, আমি ভালো খেললে সবাই যেভাবে পাশে আছে, খারাপ খেললেও সেভাবেই পাশে থাকবে।”

     

    কিন্তু দাঁতে দাঁতে চেপে সমালোচনা সহ্য করছেন কীভাবে? চাপা কোনো ক্ষোভও কি নেই ? তামিম পাশে বসে থাকা অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজাকে প্রেরণা মানলেন, “দেখেন, আমিও নিজেও জীবনে অনেক ভুল করেছি। যখন সমালোচনা হয়, এসব নিয়ে বেশি কথা বললে দিন শেষে সেটা আমার ওপরেই চাপ হয়ে দাঁড়ায়। এই জিনিসটা আমি আমার মেন্টরের কাছ থেকে শিখেছি, তিনি আমার পাশেই আছেন।  যে জিনিসটা আমি শিখেছি, আমি কম কথা বললে ব্যাটিংয়ের সময় আরও পাঁচ ভাগ কম চাপ নিয়ে খেলতে পারব।”

    বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের সব রেকর্ডই তাঁর। তামিম নিজেও জানে, একদিন এই সিংহাসন হাতছাড়া হবে। তবে সেই কাজটা যথাসম্ভব কঠিন করে যেতে চান, “ আমি শুধু আশা করি, পরের বার যে রেকর্ড ভাঙতে যাবে, তাঁকে যেন কষ্ট করতে হয়। পাঁচ-ছয়-সাত যত বছরই খেলি, রেকর্ডটা ভাঙা যাতে সহজ না হয়।