সেই পাঁচজন নেই এবার
কুড়ি ওভারের ক্রিকেটে বিশ্বসেরা হবার মূল লড়াইটা মাঠে গড়াচ্ছে কাল থেকে। সময়ের তারকাদের সাথে সম্ভাবনাময় অনেক তরুণ যেমন প্রথমবারের মতো নামবেন বিশ্বমঞ্চে, তেমনি ক্যারিয়ারের শেষ দেখা অনেকেই হয়তো বিদায় বলবেন এ আসর থেকেই। তবে এঁদের বাইরেও ক’জনের অভাব কিছুটা হলেও বোধ করবে বাইশ গজের উইকেট। নানা কারণে এবারের বিশ্বকাপে অনুপস্থিত তেমনি পাঁচ জনকে একটু আলদা করে স্মরণ করা যাক।
মিচেল স্টার্ক
মিচেল জনসনের আচমকা অবসরে তিনিই হয়ে উঠেছেন অস্ট্রেলিয়ার পেস আক্রমণের পুরোধা। কিন্তু গোড়ালির চোট মিচেল স্টার্ককে মাঠের বাইরে রেখেছে গত ছয় মাসেরও বেশী সময় ধরে। দীর্ঘদিনের যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতে অগত্যা সার্জারির আশ্রয় নিতে চলেছেন। যে কারণে এবারের বিশ্বকাপে সময়ের অন্যতম ভয়ংকর অস্ত্রটি ছাড়াই মাঠে নামতে হবে অস্ট্রেলিয়াকে।
সুনিল নারাইন
আন্তর্জাতিক আর ঘরোয়া টি-টোয়েন্টির দুনিয়াজোড়া আয়োজনে তাঁর খ্যাতিটা ‘রহস্যময় বোলার’ হিসেবেই। টি-টোয়েন্টি বোলারদের র্যাঙ্কিংয়ে এখনও তাঁর অবস্থানটা এক নম্বরে। কিন্তু অবৈধ বোলিং অ্যাকশনের দায়ে অভিযুক্ত হয়ে খেলতে পারছেন না গত নভেম্বর থেকে। ভারতীয় উইকেটে নারাইনের ঘূর্ণি বলের যাদুটা কেবল তাঁর দলই নয়, মিস করবে গোটা ক্রিকেট বিশ্বই।
ব্র্যান্ডন ম্যাককালাম
ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের প্রথম আসরে তাঁর করা ৭৩ বলে ১৫৮ রানের ইনিংসটা তো টি-টোয়েন্টি ব্যাটিংয়ের প্রতীকই হয়ে আছে। এখনও পর্যন্ত একমাত্র ব্যাটসম্যান হিসেবে টি-টোয়েন্টি আন্তর্জাতিকে দুটো শতক, প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে এই সংস্করণে দুই হাজার রানের মাইলফলক পেরোনো...এ সব কৃতিত্বই তো তাঁরই। সেই ম্যাককালাম কিনা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানিয়ে বসলেন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ঠিক আগে আগে! ক্রিকেটপ্রেমীরা আক্ষেপ করতেই পারেন। তবে ম্যাককালাম চাইছিলেন দেশের মাটিতে স্বদেশী দর্শকদের সাক্ষী রেখেই ‘ব্ল্যাক ক্যাপ’টা তুলে রাখতে। গত মাসে ক্রাইস্টচার্চে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টেস্টটিকেই সেজন্য সবচেয়ে ভালো উপলক্ষ হিসেবে বেছে নিয়েছেন।
কেভিন পিটারসেন
ক্রিকেট মাঠে এখনও পর্যন্ত ইংল্যান্ডের একমাত্র বিশ্বকাপ জয়টায় সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। ২০১০ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের এই টুর্নামেন্টসেরা খেলোয়াড় এখনও বিশ্বব্যাপী ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি লিগগুলোয় আরাধ্য এক নাম। কিন্তু ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ডের বিরাগভাজন হয়ে ব্রাত্য হয়ে আছেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে। পিটারসেন-ঝড় দেখতে হলে তাই বিশ্বকাপে নয়, চোখ রাখতে হবে বিগ ব্যাশ বা সিপিএলের মতো টুর্নামেন্টগুলোতেই।
মরনে মরকেল
তিন সংস্করণের ক্রিকেটেই প্রোটিয়া পেস আক্রমণের অপরিহার্য অনুষঙ্গ হয়ে আছেন দীর্ঘদিন। কিন্তু অজানা কারণে এবারের বিশ্বকাপ স্কোয়াডে জায়গা হয় নি ৩১ বছর বয়সী পেসারের। দ. আফ্রিকার কোচ রাসেল ডোমিঙ্গো বিশ্বকাপে মরকেলের উপস্থিতি ‘মিস’ করবেন বলে মন্তব্য করে জানাচ্ছেন, “কিন্তু পনেরো জনের বেশী তো স্কোয়াডে রাখার সুযোগ নেই!”
[ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার সৌজন্যে]