সব পরিস্থিতিতেই মানিয়ে নিতে বলছেন ধোনী
এশিয়া কাপে ঘাসে ভরা পিচ দেখে বলেছিলেন, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য প্রস্তুতিটা ঠিক সুবিধার হবে না ভারতের! দেশের মাটিতে বিশ্বকাপ, সেই চিরচেনা ভারতীয় উইকেটের দিকেই হয়তো ইঙ্গিত ছিল মাহেন্দ্র সিং ধোনীর।
নিউ জিল্যান্ডের সঙ্গে ম্যাচেও পিচটা ছিল মনমতোই। অথচ নাগপুরের সেই পিচেই হুড়মুড় করে ভেঙ্গে পড়লো ভারতের ব্যাটিং! তবে কি ভারত ভুলে গেল স্পিন খেলা? ধোনি অবশ্য তেমনটা মানতে নারাজ। তাঁর কাছে এটা শুধুই একটা ‘খারাপ দিন’। নাগপুরের উইকেট নিয়েও অসন্তুষ্টি নেই ভারতীয় অধিনায়কের, ‘এটা ১৪০ রান করার মতো উইকেট। আমরা নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়েছি। জুটি গড়ে ওঠেনি, ভুল শট খেলেছি। বোলাররা তাদের কাজটা ঠিকই করেছে। ব্যাটসম্যানরা পারে নি। আর হ্যাঁ, তাদের(নিউ জিল্যান্ড) বোলাররাও ভাল করেছে।’
নিউ জিল্যান্ড ট্রেন্ট বোল্ট আর টিম সাউদিকে বসিয়ে রেখে খেলিয়েছে তিন স্পিনার। কিউইরাই ভালমতো বুঝতে পেরেছিল কিনা ভারতীয় এই উইকেট, ভারত কি পারতো নেগি বা হরভজনকে খেলাতে! ধোনী অবশ্য শুধু পরিস্থিতিকেই তাদের স্বপক্ষের ঢাল মানছেন, ‘যুবি(যুবরাজ) তো এক ওভারও করেনি। আমার হাতে রায়না ছিল। তবে যে সময় যুবিকে আনার কথা, তখন তাদের দুই বাঁহাতি ব্যাট করছে। আমি তো ভেবেছিলাম জাদেজার শেষ দুই ওভারও করাবো না। মাঝে মাঝে অধিনায়কের জন্য এমন পরিস্থিতি সামলানো একটু কঠিনই হয়ে পড়ে।’
অথচ এই ভারতকেই গতকাল পর্যন্ত বলা হচ্ছিল ‘ফেবারিট’। ভারতের জন্য কি তবে এটি জেগে ওঠার আহবান! ধোনি অবশ্য বলছেন, নিজেদের দেশের বিভিন্ন কন্ডিশনের সঙ্গেই তাঁদের মানিয়ে নিতে হবে, এটাই বাস্তবতা, ‘হয়তো কাল কলকাতায় খেলতে যাব, সেখানকার উইকেট আলাদা হবে। আপনাকে পরিস্থিতি সামাল দিতে হবে, সবকিছুর সঙ্গে মানিয়ে নিতে হবে। আর আমরা ভালভাবেই জানি, ভারতীয় ক্রিকেটের জন্য চাপ কী। সেটা মেনে নিয়েই আমরা সামনের ম্যাচগুলো খেলব।’
কিউইরা অবশ্য ভালই সামাল দিয়েছে ভারতীয় কন্ডিশন। তারা জানতো, তিন স্পিনার নিয়ে খেলানো মানে প্রথম ছয় ওভারের মাঝেই কোনো স্পিনারকে আনতে হবে। ম্যাককালাম সেটা করেছেন বেশ ভালভাবেই। ম্যাচসেরা মিচেল স্যান্টনার এই ম্যাচের আগে কোহলির উইকেটটা খুব করে চেয়েছিলেন, পেয়েছেন অবশ্য ইশ সোধি। তাতে আক্ষেপ নেই তাঁর, ‘সব উইকেটই মুল্যবান। আমরা জানতাম, নাগপুরের উইকেটে টার্ন আছে। আমরা ভাগ্যবান, আমাদের পরিকল্পনাগুলো কাজে লেগেছে।’
সামনে অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে ম্যাচ, সেখানেও যদি এমন উইকেট হয়, মন্দ কী! স্যান্টনার অবশ্য জানেন, সবখানে এমন উইকেটই পাবেন না, ‘ভারতের বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন রকম উইকেট হয়। আমাদের অপেক্ষা করতে হবে। তবে এমন উইকেট পেলে তো ভালই!’