পথ দেখাতে পারবেন জাহানারা?
দায়িত্বটা তাঁর ওপর অনেক বড়ই। ২০১১ সালে ওয়ানডে অভিষেক হয়েছিল। এর পর ধীরে ধীরে থিতু হয়েছেন দলে। এখন তো তাঁর কাঁধে বড় একটা দায়িত্বই। এই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশের হয়ে পথ দেখাতে হবে জাহানারাকেই। প্রথম ম্যাচে ভারতের সঙ্গে তেমন কিছু অবশ্য করতে পারেননি। কাল টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের সঙ্গে ম্যাচে কি জাহানারা সামনে থেকে নেতৃত্ব দিতে পারবেন?
চার বছর ধরে বাংলাদেশের অধিনায়কের দায়িত্বটা ছিল সালমা খাতুনের ওপর। কিন্তু গত নভেম্বরে টি-টোয়েন্টিতে সেটি বর্তায় জাহানারার কাঁধে। প্রথম সিরিজেই দেখিয়েছেন চমক। জিম্বাবুয়ের সঙ্গে দুই ম্যাচের সিরিজের প্রথমটিতে জাহানারা তেমন কিছু করতে পারেননি। তবে ঝলক দেখিয়েছেন দ্বিতীয় ম্যাচে। বল হাতে ১১ রান দিয়েছিলেন ৩ উইকেট, দলকে জয়ও এনে দিয়েছিলেন।
তবে বাংলাদেশকে সবচেয়ে বড় সাফল্য দিয়েছেন এরপর। আগের বিশ্বকাপে স্বাগতিক হওয়ার সুবাদে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সরাসরি খেলেছিল বাংলাদেশের মেয়েরা। কিন্তু এই বিশ্বকাপে বাছাইপর্ব পার হয়েই আসতে হয়েছে। আর সেখানে অধিনায়ক ছিলেন জাহানারাই। থাইল্যান্ড, স্কটল্যান্ড ও পাপুয়া নিউ গিনিকে হারানোর পর বাংলাদেশ নিশ্চিত করে বাছাইয়ের সেমিফাইনাল। সেখানে প্রতিপক্ষ জিম্বাবুয়ে, তাদের হারিয়েই বাংলাদেশ উঠে যায় ফাইনালে। আর তাতেই নিশ্চিত হয়ে যায় সরাসরি বিশ্বকাপের চূড়ান্ত পর্বে খেলা। ফাইনালে অবশ্য আয়ারল্যান্ডের কাছে হেরে গিয়েছিল বাংলাদেশ।
বিশ্বকাপের প্রস্তুতি ম্যাচে সেই আয়ারল্যান্ডের সঙ্গে প্রতিশোধ নেওয়ার সুযোগ কাজে লাগিয়েছে বাংলাদেশ। অন্য প্রস্তুতি ম্যাচে অবশ্য শ্রীলঙ্কা কাছে হেরে গেছে বাংলাদেশ।
তবে প্রথম ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে বড় ব্যবধানে হারায় বিশ্বকাপে সেমিফাইনালে উঠতে হলে প্রায় অসাধ্যই সাধন করতে হবে বাংলাদেশকে। গ্রুপে ইংল্যান্ডের পর প্রতিপক্ষ ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও পাকিস্তান।
টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের হয়ে ২৬ ম্যাচে ১৬ উইকেট নিয়েছেন জাহানারা। তাঁর চেয়ে বেশি উইকেট নিয়েছেন সালমা ও রুমানা। তাঁর চেয়ে ম্যাচও বেশি খেলেছেন কেবল তিনজন। বাংলাদেশ ভারত থেকে কোনো প্রাপ্তি নিয়ে ফিরতে পারবে কি না, সেটা জাহানারার ওপর তাই অনেকটাই নির্ভর করছে।