হারেও প্রাপ্তি বাংলাদেশের মেয়েদের
প্রমীলা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, ২০১৬ঃ বাংলাদেশ বনাম ইংল্যান্ড
সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ ইংল্যান্ড ১৫৩/৭, ২০ ওভার (শার্লট ৬০, সিভার ২৭; জাহানারা ৩/৩২); বাংলাদেশ ১১৭/৬, ২০ ওভার (নিগার ৩৫, সালমা ৩২; শার্বসোল ২/২৭)
ফলঃ ইংল্যান্ড ৩৬ রানে জয়ী
ম্যাচসেরাঃ শার্লট এডওয়ার্ডস (ইংল্যান্ড)
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে জয় মেয়েদের ক্রিকেটে এখনও পর্যন্ত বোধকরি বাংলাদেশের প্রত্যাশায়ও নেই। বেশ ক’ বছর আগে ছেলেদের দলটা যেমন ‘সম্মানজনক’ ফলাফলের লক্ষ্যে মাঠে নামতো, জাহানারাদের প্রমীলা দলটা এখন অনেকটা তেমন সময়ই পার করছে। আর সে বিবেচনায় শার্লট এডওয়ার্ডস-সারাহ টেলরের মতো তারকাদের ইংল্যান্ড দলটার কাছে ৩৬ রানের পরাজয়ে বাংলাদেশের প্রাপ্তির খাতাটা একেবারে শুন্য নয়।
১৫৪ রানের জয়ের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই শারমিনের উইকেট খুইয়ে বসে বাংলাদেশ। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট পতনের ফাঁকে রান তোলার গতিটা ঠিক টি-টোয়েন্টি মেজাজের ছিল না। তবে পঞ্চম উইকেটে নিগার-সালমা জুটি বেশ ভালোভাবেই মেজাজটা ফিরিয়ে এনেছিলেন। ৪৯ বলে ৬৪ রানের জুটিটা পঞ্চম উইকেটে বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ তো বটেই, যে কোনো উইকেট বিবেচনাতেও সেটি হয়ে গেছে চতুর্থ সেরা। আজকের ম্যাচেও উভয় দলের ইনিংস মিলিয়ে এটিই সর্বোচ্চ। ২৮ বলে ৩৫ করে স্ট্যাম্পড হয়ে ফেরা উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান নিগার সুলতানা জ্যোতি ৪টি চারের সাথে এ টুর্নামেন্টে বাংলাদেশের হয়ে প্রথম ছয়ও মেরে আসেন। অপরপ্রান্তে সালমা খাতুন অপরাজিত থেকে যান ৩০ বল থেকে ৪ চারে ৩২ রান নিয়ে।
এই জুটি এবং তার আগে ফারজানা-রুমানাদের ব্যাট থেকে উনিশটি করে রান, সবমিলিয়ে টি-টোয়েন্টিতে অষ্টমবারের মতো বাংলাদেশ প্রমীলা দলের রান একশ’ পেরোলো। আজ করা ১১৭ রানই এখন টি-টোয়েন্টিতে সালমাদের দলীয় সর্বোচ্চ। এর আগে ২০১৪ সালে শ্রীলংকার বিপক্ষে করা ১১৫ ছিল সেরা।
টস হেরে প্রথমে বল করতে নেমে শুরুতে প্রতিপক্ষের রানের চাকায় লাগাম দিয়ে রাখলেও শেষতক সেটা ধরে রাখতে পারেন নি জাহানারারা। ইংল্যান্ডের অধিনায়ক ও উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান শার্লট এডওয়ার্ডস ৫১ বল থেকে ৭ চারে করেন ৬১ রান। প্রমীলা টি-টোয়েন্টির ইতিহাসেই সবচেয়ে বেশী রানের মালিক শার্লট গত বিশ্বকাপে বাংলাদেশের বিপক্ষে করেছিলেন ৮০ রান।
বাংলাদেশের পক্ষে অধিনায়ক জাহানারা ৩২ রানের বিনিময়ে ৩ উইকেট নেন। টি-টোয়েন্টিতে ৩ উইকেট নেয়ার এটি তাঁর তৃতীয় কৃতিত্ব।