দিলশানেই উড়ে গেল আফগানিস্তান
সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ
আফগানিস্তান ১৫৩/৭, ২০ ওভার (স্টানিকজাই ৬২, শেনওয়ারি ৩১; পেরেরা ৩/৩৩, হেরাথ ২/২৪), শ্রীলঙ্কা ১৫৫/৪, ১৮.৫ ওভার (দিলশান ৮৩*, ম্যাথিউস ২১; মোহাম্মদ নবী ১/২৫, রশীদ খান ১/২৭)
ম্যান অব দ্য ম্যাচঃ তিলকারত্নে দিলশান
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পঞ্চম আসরে চলছে ‘বুড়ো’দের জয়জয়কার। আফ্রিদি-গেইলের পর এবার জ্বলে উঠলেন তিলকারত্নে দিলশান। বিশ্বকাপের আগেও ফর্মহীনতায় ভুগলেও এই লঙ্কান ওপেনার বড় আসরে ঠিকই ফিরেছেন স্বরূপে। ‘নার্ভাস’ আফগানিস্তানের হাত থেকে একাই ম্যাচটি টেনে বের করেছেন তিনি; খেলেছেন ৮৩ রানের একটি অসাধারণ ইনিংস।
টি-টোয়েন্টিতে এবারই প্রথম শ্রীলঙ্কার মুখোমুখি হয়েছিল আফগানিস্তান। ইডেনের ‘ফ্ল্যাট’ পিচে টসে জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন আফগান অধিনায়ক আসগর স্টানিকজাই। তবে মালিঙ্গাহীন লঙ্কান বোলিংয়ের সামনে শুরুতেই ধ্বসে পড়ে আফগানিস্তানের টপ ওর্ডার। বাছাই পর্বে ধারাবাহিক পারফর্ম করা শাহজাদ ও মোহাম্মদ নবী ব্যাট হাতে ছিলেন নিষ্প্রভ। ফলে দশ ওভারে আফগানদের সংগ্রহ ছিল মাত্র ৪৭!
সেখান থেকে একাই দলকে টেনে নিয়ে গেছেন ৪৭ বলে ৬২ রান করা আসগর স্টানিকজাই। আর ২৩ বলে ৩১ রান করে অধিনায়ককে ভালোই সঙ্গ দিয়েছেন সামিউল্লাহ শেনওয়ারি। পঞ্চম উইকেটে এই দুইজনের ৬১ রানের জুটিতে ভর করেই শেষ দশ ওভারে স্কোরবোর্ডে ওঠে ১০৬ রান। আফগানরা জয়ের জন্য ১৫৪ রানের লক্ষ্য দাঁড় করায় লঙ্কানদের সামনে।
দুই ওপেনার দিলশান ও চান্ডিমালের শুরুটা ছিল ভালই। দলীয় ৪১ রানের সময় চান্ডিমাল আউট হয়ে গেলেও ক্রিজের একপ্রান্ত আগলে রাখেন তিলেকারত্নে দিলশান। একে একে পেরেরা-কাপুগেদেরা--থিরিমান্নেরা আসা-যাওয়ার মধ্যে থাকলেও লঙ্কানদের খেই হারাতে দেননি শ্রীলঙ্কা দলের সবচেয়ে অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যানটি। ৫৬ বলে ৮৩ রান করে জয় নিয়েই মাঠ ছেড়েছেন, ২১ রান করে শেষদিকে দিলশানকে সংগ দিয়েছেন অধিনায়ক অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস।
ইডেনের 'পাটা' পিচে বল হাতে তেমন কোনো সুবিধাই পাননি আফগান বোলাররা। লঙ্কানদের চার উইকেটের দু’টিই ছিল রান আউট। অভিজ্ঞ মোহাম্মদ নবী চার ওভার বল করে ২৫ রান খরচ করে পেয়েছেন একটি উইকেট। আর ১৭ বছর বয়সী রশীদ খানের একমাত্র শিকার লাহিরু থিরিমান্নে। বোলিংয়ের মত ফিল্ডিংয়েও বাজে একটা দিন পার করেছে আফগানরা। বাউন্ডারি লাইনে হাত ফসকে চার হয়েছে বেশ কয়েকটি।
সুবিধাজনক উইকেটে স্কোরটা সুবিধার হয়নি, বোলিং-ফিল্ডিংয়েও সুবিধা করতে পারেনি আফগানরা। লেখা হয়নি তাই নতুন কোনো আফগান-কাব্যও!