ইতিহাস বদলাতে চান ওয়াকার
দুটো ভিন্ন ইতিহাস, একটি ভারতের পক্ষে আর অন্যটি থেকে প্রেরণা পেতে পারে পাকিস্তান। আইসিসির কোনো বৈশ্বিক টুর্নামেন্টে এখনও পর্যন্ত পাকিস্তানের কাছে হারে নি ভারত। একদিনের বিশ্বকাপে ছয়বার আর বিশ্ব টি-টোয়েন্টিতে চারবার, মোট দশবারের মুখোমুখিতে প্রতিবারই জয়ী দলের নাম ভারত। আর আগামীকালের ম্যাচের ভেন্যু কলকাতার ইডেন গার্ডেনে এ যাবত ওয়ানডেতে চারবার মুখোমুখি হয়ে সবক’টিতেই ভারতকে হারিয়েছে পাকিস্তান। উপমহাদেশের দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর আরও একটি বিশ্বকাপ দ্বৈরথের আগে পাকিস্তানের কোচ ওয়াকার ইউনুস বলছেন দ্বিতীয় ইতিহাসটি অক্ষুণ্ণ রেখে প্রথমটি কাল বদলে দিতে প্রস্তুত তাঁর দল। আর চাপ? ওয়াকার বলছেন প্রথম ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের কাছে হেরে যাওয়া ভারতের উপরই থাকবে সেটা।
বিশ্বকাপে ভারতকে কখনও হারাতে না পারার অভিজ্ঞতা হতাশার বলে স্বীকার করলেও পাকিস্তান কোচ রেকর্ডটিকে চিরায়ত মানতে নারাজ, “সন্দেহ নেই যে ইতিহাস থেকে আমরা কোনো কৃপা পাচ্ছি না। কিন্তু তার মানে এই না যে সেটা কোনোদিন বদলাবে না। ইতিহাস তো বদলানোর জন্যই।”
এ যাত্রায় ম্যাচের প্রাক্কালে অন্তত তাঁর দলই এগিয়ে থাকবে বলে মনে করছেন ওয়াকার, “এবার তো আমরা একটু বেশী আত্মবিশ্বাসী অবশ্যই। আর একটা বাজে ম্যাচ হলেই ভারত টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে যেতে পারে। চাপটা তাই ওদের ওপরই। এটা আমাদের জন্য অবশ্যই ইতিবাচক। এবার আসলে অনেককিছুই আমাদের পক্ষে যাচ্ছে।”
বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে টসভাগ্যে জয়টা অবশ্যই সে তালিকায় সবার উপরে থাকবে। দারুণ এক জয়ে শুরু করেছে পাকিস্তান। বিপরীতে ভারতকে প্রথম ম্যাচে হেরে যেতে হয়েছে নিউজিল্যান্ডের যৎসামান্য পুঁজির কাছে। এই ব্যাপারটাকে আলাদা করেই গুরুত্ব দিচ্ছেন ওয়াকার ইউনুস, “এখানেই আমরা এগিয়ে। সম্ভবত এবারই প্রথম ভারত আমাদের চেয়ে বেশী চাপে আছে। আমরা আপাতত ভারমুক্ত।”
নির্ভার থাকার পিছনে ইডেনের অতীত সাফল্যও যে ভূমিকা রাখছে সেটা স্বীকার করছেন পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক, “কলকাতা সবসময়ই আমাদের দু’হাত ভরে দিয়েছে। সেটা কেবল মাঠেই নয়, মাঠের বাইরেও। ইতিহাসও বলে এখানে আমরাই এগিয়ে।”