• আইসিসি টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ২০১৬
  • " />

     

    রেকর্ডের ম্যাচে এমন রোমাঞ্চ!

    রেকর্ডের ম্যাচে এমন রোমাঞ্চ!    

    এক দিন আগে ক্রিস গেইলের তাণ্ডবটা ইংলিশ বোলাররা হয়তো ভুলতে পারেননি। তবে আজ দক্ষিণ আফ্রিকা যা করেছে, এর পর গেইলের স্মৃতি টপলিদের ভুলে যাওয়ার কথা। প্রথমে ব্যাট করে দক্ষিণ আফ্রিকা ২২৯ রান করার পথে যে বেশ কয়েকটি রেকর্ড লিখিয়েছে। কিন্তু কে জানত, দিন শেষে ইংল্যান্ডই টি-টোয়েন্টিতে নিজেদের সবচেয়ে বেশি রান তাড়া করার রেকর্ডটা নতুন করে লেখাবে! টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেই এটি সবচেয়ে বেশি রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড।  ২৩০ রানের লক্ষ্য তাড়া করে সেটা পেরিয়ে ২ বল বাকি থাকতেই।

    সেই জয়ের আগেও হয়ে গেছে কত নাটক। শেষ ওভারে দরকার মাত্র ১ রান মনে হচ্ছিল ইংল্যান্ডের জয়টা সময়ের ব্যাপার। অথচ প্রথম দুই বলেই আউট হয়ে গেলেন জর্ডান ও উইলি। কাইল অ্যাবটের পরের বলে আরেকটি ডট। তিন বলে দরকার মাত্র এক রান। বলটা লং অফে ঠেলে দিয়ে মঈন ইংল্যান্ডকে এনে দিলেন আনন্দের উপলক্ষ। 

    সেই পথটা সামনে থেকে দেখিয়েছেন জো রুট। শুরুতে জেসন রয় ও অ্যালেক্স হেলস যে ঝড় তুলেছেন, তাতে ইংল্যান্ড মাত্র ১৭ বলেই ছুঁয়ে ফেলেছে ফিফটি। টি-টোয়েন্টিতে ৫০ রান করতে এর চেয়ে কম বল শুরু খেলেছিল নিউজিল্যান্ড, ২০০৯ সালে স্কটল্যান্ডের সঙ্গে প্রথম ৫০ করেছিল মাত্র ১৬ বলে। প্রথম ৬ ওভারে ইংল্যান্ড তুলে ফেলেছে ৮৯, পাওয়ারপ্লেতে এর চেয়ে বেশি রান তোলার রেকর্ড আছে দুইটি।
     

    তার পরও দক্ষিণ আফ্রিকাকে ম্যাচে আশা দেখাচ্ছিলেন ইমরান তাহির ও জেপি ডুমিনি। কিন্ত জো রুট পণ করে রেখেছিলেন, আজকের দিনটা হবে তাঁর। খুব সম্ভবত টি-টোয়েন্টিতে নিজের সেরা ইনিংসগুলোর একটি খেলেছেন, শেষ পর্যন্ত আউট হয়ে গেছেন ৪৪ বলে ৮৩ রানের অবিশ্বাস্য এক ইনিংস খেলে। তখন মনে হচ্ছিল, ইংল্যান্ড জিতে যাবে সহজেই। শেষ পর্যন্ত অবশ্য জয়টা এসেছে অনেক কাঠখড় পুড়িয়েই। 

    অথচ তার আগে দক্ষিণ আফ্রিকা গড়েছে কয়েকটি রেকর্ড। এর মধ্যে হাশিম আমলার রেকর্ডটা একটু অন্যরকম। সেটাও আবার ইংল্যান্ডকে দিয়েই শুরু। গত মাসে জোহানেসবার্গে ইংল্যান্ডের সঙ্গে অপরাজিত ৬৯ রান করেছিলেন। কেপটাউনের পরের ম্যাচে আবার অপরাজিত ৯৭। আজ শেষ পর্যন্ত আউট হলেন ৫৮ রানে। দুই আউটের মাঝে হয়ে গেছে ২২৫ রান, টি-টোয়েন্টিতে এটাই সর্বোচ্চ। এর আগে নিউজিল্যান্ডের মার্টিন গাপটিল দুই বার আউট হওয়ার মাঝে করেছিলেন ২১৬ রান।

    শুধু আমলা নন, ইংল্যান্ডের ওপর তোপ চালিয়েছেন কুইন্টন ডি কক ও জেপি ডুমিনিও। ডি কক ২৪ বলে ৫২ রান করে আউট হয়েছেন, ডুমিনি অপরাজিত ছিলেন ২৮ বলে ৫৪ রান করে। এ নিয়ে দ্বিতীয়বার কোন দলের তিন ব্যাটসম্যান ফিফটি পেলেন। এর আগে ২০০৭ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষেই ভারতের যুবরাজ, শেওয়াগ ও গম্ভীর ফিফটি পেয়েছিলেন।