এবার মেয়েদের ওয়েস্ট ইন্ডিজ-পরীক্ষা
প্রথম দুই ম্যাচেই হারতে হয়েছিল বাংলাদেশের মেয়েদের। কাল কি হারের বৃত্ত থেকে বেরিয়ে আসতে পারবে মেয়েরা? এবার পরীক্ষাটা আরও কঠিন, মেয়েদের ক্রিকেটে ওয়েস্ট ইন্ডিজ বরাবরই সমীহ জাগানো দল। তার ওপর প্রথম ম্যাচেই পাকিস্তানকে হারিয়ে শুরুটাও দারুণ করেছে ক্যারিবিয় মেয়েরা। জাহানারাদের নিয়ে কাল খুব কম লোকই বাজি ধরবে।
প্রথম ম্যাচে ভারতের পর গত ম্যাচে ইংল্যান্ডের কাছেও হেরেছে বাংলাদেশ। তবে এর মধ্যেও কিছুটা প্রাপ্তি খুঁজে নিতে পারে বাংলাদেশের মেয়েরা, টি-টোয়েন্টিতে নিজেদের সর্বোচ্চ রানের ইনিংস ইংল্যান্ডের সঙ্গেই করা। তবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের মূল শক্তি বোলিং, সেটাই বেশি চোখ রাঙাবে বাংলাদেশকে। পাকিস্তানের সঙ্গে মাত্র ১০৩ রান করেও জয় এনে দিয়েছিলেন বোলাররা।
দুই দলের মুখোমুখি ইতিহাসও বাংলাদেশকে খুব একটা আশা দেখাচ্ছে না। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে এর আগে একবারই মুখোমুখি হয়েছিল দুই দল, সেটি গত বিশ্বকাপেই। সেবার বল হাতে অবশ্য ভালো করেছিলেন সালমারা, শেষ ৩২ রানে ৬ উইকেট ফেলে দিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ২০ ওভারে অলআউট করে দিয়েছিলেন ১১৫ রানে। কিন্তু ঐ রান তাড়া করতে নেমেই বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ, নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে শেষ পর্যন্ত অলআউট হয়ে যায় মাত্র ৭৯ রানে। সেবার ব্যাটে-বলে রুমানা ও খাদিজা ছিলেন বাংলাদেশের সফলতম দুইজন। কালও তাঁদের দিকে তাকিয়ে থাকবে বাংলাদেশ।
ইংল্যান্ডের সঙ্গে ম্যাচ শেষে ফিল্ডিং নিয়ে হতাশার কথা জানিয়েছিলেন অধিনায়ক জাহানারা। কাল সেখানেও উন্নতি করতে চাইবে বাংলাদেশ।