• আইসিসি টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ২০১৬
  • " />

     

    কে এই সাকলাইন সজীব ?

    কে এই সাকলাইন সজীব ?    

    বোলিং অ্যাকশনের পরীক্ষা উৎরাতে পারেন নি আরাফাত সানি। অবৈধ বোলিং অ্যাকশনের দায়ে বিশ্বকাপের মাঝ পথেই দেশে ফিরতে হচ্ছে তাঁকে। বিসিবি’র সূত্র অনুযায়ী সানির পরিবর্তে দলের সাথে যোগ দিচ্ছেন সাকলাইন সজীব। জাতীয় দলের প্রাথমিক স্কোয়াডে ছিলেন বেশ কয়েকবার।  ঘরোয়া লিগেও অনেক দিন ধরে নিয়মিত পারফর্ম করে আসছেন। তবে শেষ অবধি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার সুযোগ হয়নি রাজশাহীর এই বাঁহাতি স্পিনারের। আর তাই প্রশ্নটা থেকেই যাচ্ছে, সানির অভাব কতটা পূরণ করতে পারবেন অনভিজ্ঞ সজীব?

     

    ২০০৭ সালে ঘরোয়া লিগে অভিষেক হয়েছিল সাকলাইন সজীবের। ৬৯টি প্রথম শ্রেণীর ম্যাচ খেলে তিনি উইকেট নিয়েছেন সর্বমোট ৩০৩টি। তাছাড়া প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে বাংলাদেশের সেরা বোলিংয়ের রেকর্ডটাও তাঁর। বাংলাদেশ ‘এ’ দলের হয়ে জিম্বাবুয়ে ‘এ’ দলের বিপক্ষে কক্সবাজারে ৯ উইকেট নিয়েছিলেন ৮২ রানে! বাংলাদেশের ঘরোয়া পর্যায়ে সাকলাইন সজীবই একমাত্র বোলার যিনি তিনশ’র বেশি উইকেট পেয়েও আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলতে পারেন নি।

     

    লম্বা সংস্করণের জন্য সাকলাইনকে উপযোগী ধরা হলেও তাঁর আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারটা শুরু হচ্ছে টি-২০ দিয়েই। তবে ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত সংস্করণেও সজীবের পারফরম্যান্স একেবারে মন্দ নয়। ৩২টি স্বীকৃত টি-টোয়েন্টি খেলা সজীবের আছে ৩৪টি উইকেট। বোলিং গড় ৬.৬৬। বিপিএল এ ঢাকা গ্লাডিয়েটর্স ও রংপুর রাইডার্সের হয়েও খেলেছেন রাজশাহীর এই স্পিনার। এবছরের শুরুতে বাংলাদেশ ‘এ’ দলের হয়ে ভারত সফরেও ছিলেন সজীব। সেখানে কর্নাটক প্রদেশের বিপক্ষে নিয়েছিলেন ৬ উইকেট।


    এদিকে তাসকিনের পরিবর্তে দলে ডাক পেয়েছেন শুভাগত হোম। সজীব এবং শুভাগত দু’জনই আজকেই বেঙ্গালুরুর উদ্দেশ্যে রওনা দিচ্ছেন। ২১ মার্চ বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ স্মিথ-ওয়ার্নারদের অস্ট্রেলিয়া। অজিদের স্পিন দুর্বলতা বিবেচনা করে সেদিনই হয়ত একাদশে দেখা যেতে পারে সজীবকে। তবে দেখার বিষয় অভিজ্ঞতাশূন্য সজীব কতটা চেনাতে পারেন নিজেকে।