• আইসিসি টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ২০১৬
  • " />

     

    তাসকিনের নিষেধাজ্ঞা পুনর্বিবেচনার আবেদন?

    তাসকিনের নিষেধাজ্ঞা পুনর্বিবেচনার আবেদন?    

    অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে বড় ম্যাচের আগে দলের বোলিং আক্রমণের দুই গুরুত্বপূর্ণ অস্ত্র হারিয়ে অনেকটাই বিপাকে বাংলাদেশ। গতকাল সংবাদ সম্মেলনে মাশরাফির হাহাকারেও সেটা স্পষ্ট ছিল। তবে সানির বিষয়টা মেনে নিলেও তাসকিনের ব্যাপারটা মানতে পারছে না দল থেকে শুরু করে সাধারণ ক্রিকেটপ্রেমীরাও। বিষয়টা নিয়ে বিসিবিও যে বিচলিত তা বোঝা গিয়েছিল বোর্ড সভাপতি নাজমুল হাসানের ভাষ্যে। কিন্তু একদিনের মাথায় নিজেদের শক্ত অবস্থান থেকে সরে এসেছে বিসিবি। পরিস্থিতি বিবেচনায় প্রথাগত নিয়মেই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আবেদন করতে যাচ্ছে বিসিবি। তবে তাতেও সম্ভব দ্রুততম সময়ে ইতিবাচক ফল পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী বাংলাদেশ ক্রিকেটের শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তারা।

     

    গতকাল সংবাদ সম্মেলনে বিসিবি সভাপতিও অধিনায়কের মতো তাঁদের হতাশাটুকু গোপন রাখেন নি, “তাসকিনের ব্যাপারটায় আমরা এখনও পর্যন্ত সন্তুষ্ট নই। যে প্রতিবেদন এসেছে তাতে সন্তুষ্ট হওয়ার কনো কারণও নেই। এটা নিঃসন্দেহে হতাশাজনক। প্রধান দুই বোলারর চলে গেলে আমরা বিশ্বকাপ কি খেলব? এখন তো প্রায় আমাদের না খেলার মতোই অবস্থা।”

     

    তাসকিনের ব্যাপারে তড়িৎ কোনো সমাধান পাওয়া যায় কিনা সে চেষ্টাই তাঁরা করছেন বলে জানিয়েছিলেন জনাব নাজমুল, “ আমরা আইনি পথে এগোলে বিশ্বকাপ তো দূরে থাক অদূর ভবিষ্যতেও সমাধান হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। লম্বা একটা প্রক্রিয়া আছে, এটাকে সংক্ষিপ্ত করে তাৎক্ষণিক কিছু করা যায় কি না সেই চেষ্টা করছি। সর্বোচ্চ পর্যায়ে যা যা করা দরকার আমি করেছি। আইসিসি চেয়ারম্যান শশাঙ্ক মনোহর, সিইও ডেভিড রিচার্ডসনের সাথে কথা বলেছি। যতদূর জানি তাঁরা আইনজীবী দলের সঙ্গে বসেছেন। আমরা তাৎক্ষণিক সাড়া দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেছি। তাঁরাও যথাশীঘ্র সম্ভব জবাব দেয়ার আশ্বাস দিয়েছে।”

     

    কিন্তু তাতে কোনো ফল হওয়ার ব্যাপারে খোদ বিসিবিই এখন সন্দিহান। কেননা আইসিসির পরিবর্তিত নিয়ম অনুযায়ী পরীক্ষাতেও কোনো একটা ডেলিভারি সঠিক মনে না হলে অ্যাকশন অবৈধ ঘোষণা করা হতে পারে। বিসিবি বুঝতে পারছে যে ইতিমধ্যেই বোলিং অ্যাকশনের যে প্রতিবেদন দিয়েছে, আলোচনা হবে সে প্রতিবেদনের ভিত্তিতেই। আর এখানে সহসা সিদ্ধান্ত বদলানোর সম্ভাবনা প্রায় নেই বললেই চলে।

     

    তবে বিসিবি কর্মকর্তারা এখনও আশাবাদী যে সক্রিয় থাকলে তুলনামূলক কম সময়ের মধ্যেই ইতিবাচক কোনো ফল পাওয়া যেতে পারে। আর সেটা হতে পারে বিশ্বকাপ চলাকালীনই। বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরী যেমন বলছেন, “এসব ক্ষেত্রে অনেক সময় একটা শুনানিতেই সমস্যার সমাধান হয়ে যায়। সে ক্ষেত্রে আমরা এখনই আশা ছাড়ছি না।”

     

    আর তাই তাসকিনের বিকল্প পাঠানো হলেও তাঁকে দলের সাথেই রাখা হচ্ছে আপাতত। কূটনৈতিক তৎপরতায় দলের গুরুত্বপূর্ণ এই পেসারের ফিরে আসা কতোটা তরান্বিত করতে পারে বিসিবি সেটাই এখন দেখার বিষয়।