হতাশায়ও মেয়েদের আশার ঝিলিক
সেই ২০০৭ সালে থাইল্যান্ডের সঙ্গে ম্যাচ দিয়ে শুরু পথচলার। মেয়েরাও যে ক্রিকেট খেলতে পারে, বাঙ্গালদেশে সেই ধারণার বীজ তখন মাত্র বোনা হয়েছে। একটু একটু করে আলো-বাতাস পেয়ে এখন সেই বীজ চারাগাছ হয়েছে। শেষ পর্যন্ত মহীরুহ হতে পারবে কি না সেটা সময় হলেই জানা যাবে। কিন্তু বাংলাদেশের মেয়েদের ক্রিকেটের গ্রাফটা কি উন্নতির দিকে?
একটু অদ্ভুতই, ওয়ানডে ও টি-টয়েন্টি, দুই ধরনের ক্রিকেটেই বাংলাদেশের মেয়েদের শুরুটা জয় দিয়ে। ২০১১ সালে ওয়ানডে স্ট্যাটাস পাওয়ার পর বাংলাদেশ প্রথম ম্যাচটি খেলেছিল আয়ারল্যান্ডের মেয়েদের সঙ্গে। বিকেএসপির ওই ম্যাচটা মেয়েরা জিতেছিল ৮২ রানে। পরের বছর প্রথম টি-টোয়েন্টিতে মেয়েদের প্রথম ম্যাচ ছিল পাকিস্তানের সঙ্গে। কিন্তু বৃষ্টির কারণে ওই ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়ে যায়। আফগানিস্তানের সঙ্গে পরের ম্যাচটা বাংলাদেশ জেতে ৪ উইকেটে।
কিন্তু সকালটা যেমন আভাস দিয়েছিল, দিনের পরের ভাগটা সেরকম হয়নি। টি-টোয়েন্টিতে নিজেদের চতুর্থ ম্যাচেই দক্ষিণ আফ্রিকার মুখোমুখি হয়েছিল বাংলাদেশ। কিন্তু সেই দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে পরে আরও পাঁচটি ম্যাচ খেলে জয়টা হয়ে থেকেছে সোনার হরিণ। বড়দের মধ্যে বলার মতো রেকর্ড আছে শুধু শ্রীলঙ্কার সঙ্গেই, দুইটি টি-টোয়েন্টিতে হারিয়েছে তাদের। আয়ারল্যান্ড, জিম্বাবুয়ে বা সহযোগী দেশগুলোর সঙ্গে নিয়মিত সাফল্য পেলেও বড়দের সঙ্গে সাফল্য আর পাওয়া হয়নি। সব মিলে ২৯টি টি-টোয়েন্টি খেলে জয় পেয়েছে মাত্র ৫টিতে।
ওয়ানডেতেও সেই টি-টোয়েন্টির ফর্মুলা মেনেই এগিয়েছে বাংলাদেশ। আয়ারল্যান্ডের সঙ্গে প্রথম জয়ের পর ষষ্ঠ ম্যাচেই আবার জয় এসেছে দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে। এর পর বলার মতো উপলক্ষ এসেছে শুধু পাকিস্তানের সঙ্গে। গত বছর কক্সবাজারে দুইটি ওয়ানডেতেই পাকিস্তানের মেয়েদের হারিয়েছে বাংলাদেশ। কিন্তু সেই সাফল্যের ধারাবাহিকতা ধরে রাখা যায়নি।
তারপরও আশার ঝিলিক উঁকিয়ে যায় মাঝে মাঝে। আট বছর আগেও যে দলটা খেলার সুযোগই পেত না, আজ তাঁরা বিশ্বকাপ খেলছে। বাছাইপর্ব খেলেই জায়গা করে নিয়েছে মূল পর্বে। যে জয়টা এখনো অনিয়মিত, কে জানে, এক সময় হয়তো জয়টাকেই অভ্যাস বানিয়ে ফেলবে মেয়েরা!