যে রেকর্ডটি চাইবেন না মাশরাফি
ক্যারিয়ারে অনেক কিছুই পেয়েছেন, আবার অনেক অপ্রাপ্তিও আছে। তবে গত কিছু দিন থেকে মাশরাফি বিন মুর্তজার জন্য যে ব্যাপারটা অস্বস্তির কাঁটা হয়ে আছে, সেটার ওপর তাঁর নিজের কোনো হাত নেই। বাংলাদেশের হয়ে গত সাত ম্যাচে টস করতে নেমে প্রতিবারই হেরেছেন মাশরাফি। প্রশ্ন উঠতে পারে, ক্রিকেটে এটাই কি টানা সবচেয়ে বেশি ম্যাচে হারের রেকর্ড ?
শত বছরের পুরনো ক্রিকেট ইতিহাস ঘেটে কাজটা করা খড়ের গাদায় সূঁচ খোঁজার মতোই কঠিন। মাশরাফির রেকর্ডটা যেমন বাংলাদেশের কোনো অধিনায়কের টানা সবচেয়ে বেশি ম্যাচে টস হারের রেকর্ড। কিন্তু সব মিলিয়ে ক্রিকেটে এর চেয়ে বেশি ম্যাচে টস হারের “গৌরব”(!) আরও বেশ কয়েকজনের আছে।
সবার ওপরে যে নাম তাঁর “কীর্তি”, সেই সুনীল গাভাস্কারের রেকর্ডটা ছিল টেস্টে। ১৯৮১-৮২ সালে ভারতের হয়ে টানা ৯ টেস্টে টস করতে নেমে হেরেছিলেন গাভাস্কার। মজার ব্যাপার, ওই নয়টি টেস্টের একটিতেও জিততে পারেননি গাভাস্কার। তবে হেরেছিলেন মাত্র একটিতে, বাকি আটটি ম্যাচই ড্র হ্যেছিল।
মহেন্দ্র সিং ধোনির রেকর্ডটা খুব বেশি দিন আগের নয়। ২০১০ সালে জানুয়ারিতে বাংলাদেশের সঙ্গে চট্টগ্রাম টেস্টে টসে হেরেছিলেন ধোনি। টানা ৯ ম্যাচে টস ভাগ্য পক্ষে আসেনি এরপর ভারত অধিনায়কের। তবে ম্যাচ ভাগ্য ঠিকই পক্ষে ছিল ধোনির। ওই নয়টি ম্যাচের মধ্যে জিতেছিলেন ছয়টিতে, হেরেছিলেন মাত্র দুইটিতে। ধোনির ফাঁড়াটা কাটে নভেম্বরে নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে এসে। ওই ম্যাচের পর আবারও টানা চার ম্যাচ টসে হেরেছিলেন ধোনি। ওই সময়ে টেস্ট-ওয়ানডে-টি-টোয়েন্টি মিলে ৩২টি ম্যাচের মধ্যে ২৮টিতেই হেরেছিলেন ধোনি। তখন এক সংবাদ সম্মেলনে ধোনি হাসতে হাসতেই সেটি মনে করিয়ে দিয়েছিলেন। টেস্টে এই দুজনের কাছাকাছিই ছিলেন নিউজিল্যান্ডের ব্রেন্ডন ম্যাককালাম, ২০১৪ সালে টানা ৮ টেস্টে হেরেছিলেন।
তবে সব ধরনের ক্রিকেট ধরলে টানা নয়টি টস হারের রেকর্ড আরও আছে। ২০১৩ সালে যেমন পাকিস্তানের মিসবাহ উল হক সব ধরনের ক্রিকেট মিলে টানা নয় ম্যাচে টসে হেরেছিলেন।
তবে মাশরাফির জন্য টস হারটা খুব অকল্যাণ বয়ে আনেনি। এই সাত ম্যাচের মধ্যে বাংলাদেশ হেরেছে তিনটিতে। তবে বেঙ্গালুরুতে আজ ভারতের সঙ্গে টস জেতাটা খুব করেই চাইবেন মাশরাফি। টার্নিং ট্র্যাকে বাংলাদেশকে জয় এনে দেওয়ার জন্য পরে ব্যাট করতে চাইবেন। সেজন্য তো একটু ভাগ্যের ছোঁয়াও দরকার।