• সেরা ফুটবল ক্লাব
  • " />

     

    চলে গেলেন ইয়োহান ক্রুইফ

    চলে গেলেন ইয়োহান ক্রুইফ    

    সর্বকালের সেরা ফুটবলারদের খুব ছোট্ট তালিকায়ও রাখতে হবে তাঁকে। পেলে, ম্যারাডোনার পর যে নামটা অনেকে মনে করবেন, তিনি ইয়োহান ক্রুইফ। রাইনাস মিশেল আর ক্রুইফ মিলে ফুটবল বিশ্বকে পরিচয় করিয়েছিলেন 'টোটাল ফুটবল' এর সাথে। এই ডাচ কিংবদন্তি আর নেই, ৬৮ বছর বয়সে ক্যান্সারের সঙ্গে হার মেনে আজ চলে গেছেন অন্যলোকে।

     

    বেশ কিছুদিন থেকেই ক্যান্সারের সঙ্গে লড়াই করছিলেন। তবে সেটা প্রকাশ্যে এসেছিল কয়েক মাস আগে। এর পর ক্রুইফ নিজেই জানিয়েছিলেন, ধীরে ধীরে সেরে উঠছেন। প্রকাশ্যে আসাটা অবশ্য কমিয়ে দিয়েছিলেন। তবে বিশ্লেষক হিসেবে বিভিন্ন ডাচ পত্রিকার জন্য ঠিকই কাজ করে গেছেন। গত মাসে নিজেই বলেছিলেন, ক্যান্সারের সঙ্গে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেছেন। কে জানত, সেই লড়াইয়ে এত তাড়াতাড়ি হার মানতে হবে তাঁকে?

     

     

    ডাচ ক্লাব আয়াক্সের হয়ে যে ক্যারিয়ারের শুরু, সেটি পূর্ণতা পেয়েছিল বার্সেলোনায়। আয়াক্সকে টানা তিনবার জিতিয়েছিলেন ইউরোপিয়ান কাপ (বর্তমান উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ। সেসময়কার ট্রান্সফার ফি-র বিশ্বরেকর্ড গড়েই যোগ দিয়েছিলেন আয়াক্স থেকে বার্সেলোনায়। ১৯৭১, ১৯৭২ আর ১৯৭৪ সালে জিতেছিলেন ব্যলন ডি'অর। 

     

    খেলোয়াড়ি জীবনের পর কোচিংয়েও ছিলেন দারুণ সফল। স্টইচকভ-লাউড্রপ-গার্দিওলা-কোম্যান-রোমারিও-জুবিজারেতাদের নিয়ে নব্বই দশকের শুরুতে বার্সেলোনায় গড়ে তুলেছিলেন 'ড্রিম টিম'। টানা চারবার লা লিগা জেতার পাশাপাশি বার্সাকে প্রথমবারের মতন ইউরোপিয়ান কাপ (বর্তমান উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ) আর একবার করে ইউরোপিয়ান সুপার কাপ ও উয়েফা কাপ উইনার্স কাপ জিতিয়েছিলেন ম্যানেজার ক্রুইফ।

     

    'গোল্ডেন বল' জিতলেও হল্যান্ডকে ১৯৭৪ বিশ্বকাপ জেতাতে না পারার আক্ষেপটা হয়তো সবসময় ছুঁয়ে যাবে তাঁকে। কিন্তু এখন সেসবই অতীত, ক্রুইফ যে এখন শুধুই ছবি!