স্বপ্নের এক রাতে যেভাবে জয় ছিনিয়ে নিল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, বার্সেলোনা
ফুলটাইম স্কোর: ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ৪-৩ লিভারপুল
অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ ০-৩ বার্সেলোনা
লিভারপুল যে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের চেয়ে এগিয়ে এটা নিয়ে হয়ত তারা এই মুহূর্তে নিজেরাও দ্বিমত করবে না। সেটা মাথায় রেখে শক্তিমত্তার সেই বিচারকে তুড়ি মেরে কিছু একটা করে দেখানোর প্রয়াস শুরু থেকেই দেখা যায় রেড ডেভিলদের মাঝে। রাশফোর্ডের বাড়িয়ে দেওয়া বল থেকে গারনাচো ১০ মিনিটের মাথায় জাল বরাবর শট নিলে কেলেয়ার সেটা ঠেকিয়ে দিলেও ফিরতি প্রচেষ্টায় ক্ষিপ্রতার সাথে বল জালে জড়ান স্কট ম্যাকটমিনে। প্রথমার্ধ সেখান থেকে লিড নিয়েই যখন ডাগআউটে ফেরার স্বপ্ন দেখছে তারা তখনই অ্যালেক্সিস ম্যাক অ্যালিস্টার তাতে জল ঢেলে দেন। নুনেজের বাড়িয়ে দেওয়া বল থেকে জোরালো শটে এই আর্জেন্টিনার মিডফিল্ডার সমতা ফেরালে এরপরের মিনিটেই রেড ডেভিলদের ত্রাস মো সালাহও গোল পেয়ে যান। আবারও সেই নুনেজ গোলমুখে শট নিলে এবার তাকে প্রতিহত করা হলে ফিরতি প্রচেষ্টায় সালাহ বল জালে জড়ান।
দ্বিতীয়ার্ধে এগিয়ে থেকে লিভারপুল শুরুটাও করে দাপটের সাথে। তবে ধীরে ধীরে ধীরে ম্যাচে ফিরে নিজেদের গুছিয়ে নেওয়ার ফলটা ইউনাইটেড পায় শেষ দিকে এসে। বল পেয়ে গারনাচোর উদ্দেশ্যে অ্যান্টনি বাড়িয়ে দিলে একজনকে পার করে শট নিতে গিয়ে পড়ে যান গারনাচো। তবে খেলার দিকে খেয়াল রাখা অ্যান্টনি সেখান থেকে বল ছিনিয়ে নিয়ে ঘুরে গিয়ে ঠাণ্ডা মাথায় নিচু এক শটে বল জালে জড়ান।
সেখান থেকে ম্যাচ অতিরিক্ত সময়ে গড়ালে আবারও এগিয়ে যায় লিভারপুল। দূরপাল্লার এক শট প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়দের গায়ে লেগে ওনানাকে ফাঁকি দিয়ে গোলশিটে নাম তুলে ফেলেন এলিয়ট। হারার আগে হার মানতে অবশ্য এদিন একেবারেই নারাজ ইউনাইটেড। প্রতি আক্রমণ থেকে বল পেয়ে ম্যাকটোমিনে অনেকটা এগিয়ে এসে বক্সে ওঁত পেতে থাকা রাশফোর্ডকে বল বাড়ালে এর আগে সহজ এক সুযোগ মিস করার শাপ মোচন করেন ঠাণ্ডা মাথার এক ফিনিশে। সেখান থেকে ম্যাচের একেবারে শেষ মিনিটে গোল পেয়ে যান আমাদ দিয়ালো। লিভারপুলের কর্নার থেকে বল ছিনিয়ে দিয়ালো গারনাচোর উদ্দেশ্যে বাড়ালে সেখান থেকে ভোঁ দৌড় দেন তিনি । সাথে দিয়ালো এগিয়ে গেলে শেষ মুহূর্তে তাকে বাড়িয়ে দিলে একজনকে ফাঁকি দিয়ে বেরিয়ে এসে জাল চিনতে ভুল করেননি দিয়ালো। উদযাপন করে এরপর লাল কার্ড দেখলেও সেটা নিয়ে আর তোয়াক্কাও করেননি তিনি।