অভিজ্ঞতাকেই অর্জন মানছেন জাহানারা
চার ম্যাচের সবক’টিতেই হেরে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ মিশন শেষ করলো বাংলাদেশ প্রমীলা ক্রিকেট দল। শেষ ম্যাচে পাকিস্তানের কাছে ৯ উইকেটে হেরেছেন জাহানারারা। ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশের অধিনায়ক বললেন, এখনও শৈশবে থাকা দলটির জন্য অভিজ্ঞতার ঝুলিটা আরেকটু ভরিয়ে তোলাই ছিল এ টুর্নামেন্ট থেকে প্রাপ্তি।
গতকালের ম্যাচে শুরুর দিকে দুই উইকেট হারিয়ে ফেলার পর শারমিন-ফারজানার ব্যাটে ভালোই লড়ছিল বাংলাদেশ। কিন্তু এরপর ব্যাটসম্যানদের উইকেট বিলিয়ে দিয়ে আসার মিছিলে দলীয় সংগ্রহ থেমে যায় ১১৩ রানে। তৃতীয় উইকেট জুটিটা কি ক্ষণিকের জন্য হলেও চমকপ্রদ কিছুর স্বপ্ন দেখাচ্ছিল বাংলাদেশকে? জাহানারা বলছেন আর ক’টা রান হলে কিংবা বোলিংটা আরেকটু ভালো হলে অন্যরকম কিছু হতেও পারতো, “আর ১৫-২০টা রান হলে ভিন্ন কিছু হতেই পারতো। তারপরও বলবো, ১১৩ রানও খারাপ ছিল না। কিন্তু আমাদের বোলাররা ভালো করতে পারে নি, তাই আর…।”
বিশ্বকাপের আগে-পরের বাংলাদেশ দলের পারফরম্যান্সে কোনো ইতিবাচক পরিবর্তন? অধিনায়ক মনে করেন সামর্থ্যের পুরোটা তাঁরা দেখাতে পারেন নি, “ইংল্যান্ডের সাথে একটা ম্যাচেই কেবল আমরা ভালো খেলেছি। বাকি ম্যাচগুলোতেও নিজেদের সামর্থ্য অনুযায়ী খেলতে পারলে আরও ভালো হতো। কিন্তু আমরা সেটা পারি নি। তারপরও বলবো প্রতি ম্যাচেই আমরা একটু একটু করে উন্নতি করেছি।”
এই টুর্নামেন্ট থেকে কোনো প্রাপ্তি? জাহানারার তৃপ্তি একসাথে এতোগুলো ম্যাচ খেলতে পারাটাই, “অভিজ্ঞতাটাই এখান থেকে আমাদের সবচেয়ে বড় অর্জন। গত দুই বছরে আমরা মাত্র পাঁচটা আন্তর্জাতিক ম্যাচ (তিনটি টি-টোয়েন্টি, দুটি ওয়ানডে) খেলার সুযোগ পেয়েছি। সে বিবেচনায় এখান থেকে পাওয়া অভিজ্ঞতা আমরা পরবর্তী ওয়ানডে বিশ্বকাপের বাছাইপর্বে কাজে লাগাতে পারবো বলে আশা করছি।”
অধিনায়কত্ব কি উপভোগ করছেন? ইতিবাচক জবাবই দিচ্ছেন তেইশ ছুঁইছুঁই তরুণী, “আমি আসলে এটাকে আলাদা কোনো চাপ হিসেবে নিচ্ছি না। তবে এই টুর্নামেন্ট থেকে অন্তত একটা জয় পেলে খুব ভালো লাগতো। তারপরও বলবো, সবমিলিয়ে আমি খুশী।”