বিশ্বকাপ থেকে যতো প্রাপ্তি বাংলাদেশের মেয়েদের
টি-টোয়েন্টিটে শুরুটা বেশ ভালোই করেছিল বাংলাদেশের মেয়েরা। ২০১২ সালে প্রথমবারের মতো যে বছর কুড়ি ওভারের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলার শুরু, সে বছর খেলা সাত ম্যাচের তিনটিতেই জয় পেয়েছিলেন সালমারা। প্রথমটি আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে, পরের দুটোয় প্রতিপক্ষ ছিল দ. আফ্রিকা আর শ্রীলংকা। এরপর গত তিন বছরে জয় পাওয়া গেছে আর মাত্র দুটি, দুটোই গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে, ঘরের মাঠে। কিন্তু এ যাত্রায় ‘শক্ত’ গ্রুপে পড়ে বিশ্বকাপ থেকে জয়ের খাতায় শূন্য নিয়েই ফিরতে হচ্ছে জাহানারাদের। তবে টুর্নামেন্টজুড়ে বাংলাদেশের অধিনায়ক একটা কথাই বারবার বলে গেছেন, বড় দলগুলোর বিপক্ষে একসাথে এতোগুলো ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতাই বাংলাদেশের জন্য অন্যতম প্রাপ্তি।
দলীয়ভাবে সে অর্থে কোনো সাফল্য না থাকলেও ব্যক্তিগতভাবে ব্যাটে-বলে অর্জন একেবারে মন্দ নয় বাংলাদেশের। চার ম্যাচ থেকে ৭৯ রান করে এ পর্যন্ত সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের তালিকায় পাঁচ নম্বরে আছেন উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান নিগার সুলতানা জ্যোতি। গতকাল পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচে শূন্য রানে রান আউট হয়ে না ফিরলে এখন থাকতে পারতেন সেরা তিনের মধ্যেও। বাংলাদেশের হয়ে টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকও শেরপুরের এই তরুণী। দলের পক্ষে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৭২ রান ফারজানা হকের।
এছাড়া বল হাতে চারটি করে উইকেট নিয়েছেন নাহিদা আক্তার ও রুমানা আহমেদ। সর্বোচ্চ উইকেট সংগ্রাহকদের মধ্যে আরও ছয় জনের সাথে এ দু’জন আছেন চার নম্বরে।
এ টুর্নামেন্টের আগে পর্যন্ত ২৬টি টি-টোয়েন্টি আন্তর্জাতিকে বাংলাদেশের দলীয় সংগ্রহ একশো’র ঘর পেরিয়েছিল মোট সাতবার। এবারের আসরে আরও দু’বার সেটি করে দেখিয়েছেন জাহানারারা, ইংল্যান্ড আর পাকিস্তানের বিপক্ষে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ১ রানের জন্য একশ হয় নি। আর ভারতের সাথে দলীয় সংগ্রহ ছিল ৯১। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ১১৭ রান করে নিজেদের সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহের রেকর্ডটাও নতুন করে লিখেছে বাংলাদেশ।