মুশফিকদের পুনরাবৃত্তি করলেন না ব্রাফেটরা
বাংলাদেশের সেই স্মৃতিটাই যেন মনে করিয়ে দিচ্ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। শেষ ওভারে দরকার ৯ রান, ছয় মেরে সেটিকে তিনে নামিয়ে আনলেন ক্রেইগ ব্রাফেট। কাগিসো রাবাদার পরের বলে ১ রান, শেষ তিন বলে দরকার ১ রান। না, এরপর মাহমুদউল্লাহ-মুশফিকের মতো আর কোনো ভুল করলেন না দিনেশ রামদীন। চার মেরে ৩ উইকেটের দুর্দান্ত একটা জয় এনে দিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজকে, নিয়ে গেলেন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে।
একটা সময় ওয়েস্ট ইন্ডিজের যে জয়টা সহজ মনে হচ্ছিল, সেটাকেই কঠিন করে তুলেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। আরেকটু নির্দিষ্ট করে বললে ইমরান তাহির। চার ওভারে দরকার ২৪ রান, তখন দারুণ এক ওভারে পর পর দুই বলে ফিরিয়ে দিলেন আন্দ্রে রাসেল ও ড্যারেন স্যামিকে। ওই ওভারে এল মাত্র ১ রান। ডেভিড ভিসের ১ ওভারে এসেছে মাত্র ২ রান। হঠাৎ করেই সমীকরণটা হয়ে গেল কঠিন, দুই ওভার দরকার ২০ রান। এখান থেকে মারলন স্যাময়েলস দুইটি চার মেরে আবার ম্যাচ ঘুরিয়ে দিলেন। কিন্তু মরিস আবার প্রতিশোধ নিলেন, স্যামুয়েলসকে ফিরিয়ে দিয়ে ম্যাচ আবার হেলে পড়ল দক্ষিণ আফ্রিকার দিকে।
অথচ ১২৩ রানের লক্ষ্যটা একসময় ওয়েস্ট ইন্ডিজ সহজেই পেরিয়ে যাবে বলে মনে হচ্ছিল। শুরুতে ক্রিস গেইল ও আন্দ্রে ফ্লেচার ফিরে গেলেও জনসন চার্লস ও স্যামুয়েলস নিয়ে যাচ্ছিলেন জয়ের দিকে। এর মধ্যে দক্ষিণ আফ্রিকা নিয়মিত বিরতিতে উইকেট নিয়ে আবার ম্যাচে ফিরিয়ে নিয়ে এলো।
তার আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বোলাররাও দারুণ বল করে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ১২২ রানের বেশি করতে দেননি। হাশিম আমলার রান আউট দিয়ে শুরু, এর পর নিয়মিত বিরতিতেই উইকেট হারিয়েছে প্রোটিয়ারা। এক কুইন্টন ডি ককের ৪৬ বলে ৪৭ ও ভিসের ২৬ বলে ২৮ রান ছাড়া আর কেউই বলার মতো কিছু করতে পারেননি।