• বাংলাদেশের নিউজিল্যান্ড সফর ২০২১
  • " />

     

    'ফিটনেস এবং পেশাদারিত্বে মুশফিক তরুণদের জন্য উদাহরণ'

    'ফিটনেস এবং পেশাদারিত্বে মুশফিক তরুণদের জন্য উদাহরণ'    

    মুশফিকুর রহিমকে ফিটনেস এবং পেশাদারিত্বের দিক দিয়ে তরুণদের জন্য ‘দারুণ এক উদাহরণ’ মনে করেন জাতীয় দলের স্ট্রেংথ এবং কন্ডিশনিং কোচ নিকোলাস লি। অন্যান্য ক্রিকেটাররা মুশফিকুর রহিমকে অনুসরণ করছেন, এমনও জানিয়েছেন তিনি। বাংলাদেশের বর্তমান দলকে নিজের দেখা অন্যান্য দলের তুলনায় ‘কঠোর পরিশ্রমী’ বলেও মনে হয় তার।  

    বাংলাদেশ ক্রিকেটে ফিটনেস নিয়ে ‘কঠোর পরিশ্রমি’ ক্রিকেটারের ট্যাগ মুশফিকের সঙ্গে আছে বেশ আগে থেকেই। সতীর্থরাও তার পরিশ্রম নিয়ে কথা বলেন প্রায়ই। নিজের শো-তে এর আগে তামিম ইকবাল বলেছিলেন, ফিটনেস নিয়ে কাজ করা ক্রিকেটারদের আদর্শ হতে পারেন মুশফিক। সাম্প্রতিক সময়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ সরব মুশফিক তার ফিটনেস নিয়ে কাজ করার ভিডিও দেন প্রায়ই। 

    “মুশফিকুর রহিম তরুণদের জন্য দারুণ এক উদাহরণ”, বলেছেন লি, “তারা তাকে অনুসরণ করছেও। স্কোয়াডের প্রায় সবাই তাদেরকে যা করতে বলা হয়, সেসব করে। আমার মনে হয় এই সময় আর বয়সে শারীরিক দিক দিয়ে ফিট থাকার গুরুত্বটা তারা বুঝতে পেরেছে।”

    বর্তমান সময়ের চ্যালেঞ্জের কথাও বলেছেন তিনি, “(এখন) প্রচুর ভ্রমণ করতে হয়, খুব অল্প সময়ে অনেক ম্যাচ ঠাসা থাকে। ফিটনেসের কাজে আপনাকে সবসময় একদম পুরো নিয়ন্ত্রণে থাকতে হবে, যাতে করে আপনি ম্যাচের মাঝের সময় এবং বছরজুড়ে পুরোদমে খেলতে পারেন।”

    “অন্য যেসব দলের সঙ্গে আমি কাজ করেছি, সেসবের সঙ্গে তুলনায় এই দলটা কঠোর পরিশ্রমী। আমার দেখা অন্যতম পেশাদার ক্রিকেটারদের কয়েকজন আছে এখানে”, বলেছেন লি। 
     


    গত বছরের মার্চে বিসিবির হেড অফ ফিজিক্যাল ট্রেনিং হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন এর আগে শ্রীলঙ্কা জাতীয় দল, সাসেক্স কাউন্টি ক্রিকেট ক্লাবের হয়ে কাজ করা লি। কোভিড-১৯ মহামারির পর বাংলাদেশ জাতীয় দলের সঙ্গে এই প্রথম বিদেশ সফরে গেছেন তিনি। নিউজিল্যান্ডে লম্বা কোয়ারেন্টিন, বাংলাদেশের সঙ্গে সেখানকার সময়ের পার্থক্য এবং বর্তমান সময়ে ক্রিকেটারদের ফিট থাকার যে গুরুত্ব, সেসব নিয়েও কথা বলেছেন তিনি। 

    “জেটল্যাগের কারণে শুরু করাটা কয়েকজনের জন্য একটু শক্ত ছিল। বাংলাদেশ আর নিউজিল্যান্ডের মাঝে সময় ব্যবধানটাও অনেক। প্রায় সপ্তাহখানেক সময় ঘুমের চক্র ঠিক করতেই গেছে অনেকের। ৭ম বা ৮ম দিনের পর যখন বাইরে বেরুনোর সুযোগ পাওয়া গেল, তখন এটা সহজ হয়ে এসেছে। এখন শারীরিক দিক দিয়ে মানিয়ে নেওয়ার জন্য পর্যাপ্ত সময় আছে তাদের।”

    সব মিলিয়ে ফিটনেস নিয়ে কাজ করার ব্যাপারটা শুরুতে কঠিন হলেও পরে গিয়ে উপভোগ্য, একইসঙ্গে স্কিল ট্রেনিংয়ের ক্ষেত্রেও সহায়ক বলে মনে করেন তিনি, “আমার মনে হয় ফিটনেসের ব্যাপারটা মজার। যত ফিট হবেন, ততো এটা সহজ হবে, এবং আপনি আরেকটু বেশি উপভোগ করবেন। একদম শুরুর দিকে ফিটনেস নিয়ে কাজ করাটা একটু কঠিন হতে পারে। আপনার হয়তো খারাপ লাগবে, এবং এটা কঠিন কাজও বটে, (তবে) যতো ভাল করবেন, এটা ততো উপভোগ্য হয়ে উঠবে। আমার মনে হয় এই মুহুর্তে বেশিরভাগ ক্রিকেটারই শারীরিক পরিশ্রমটা উপভোগ করছে। যদি আপনি তাদের ফ্রেশ রাখতে পারেন, নতুন আইডিয়া দিতে পারেন, তাহলে দিনের পর দিন যে স্কিল অনুশীলন, সেটার চাপ একটু কমিয়ে দেবে। 

    ক্রাইস্টচার্চে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিন শেষে কুইন্সল্যান্ডের জন ডেভিস ওভালে ৫ দিনের ক্যাম্প করছে এখন বাংলাদেশ জাতীয় দল। এরপর তারা যাবে ডানেডিনে, সেখানেই ২০ মার্চ হবে সিরিজের প্রথম ওয়ানডে। আগেভাগেই নিউজিল্যান্ড সফরে যাওয়ার ব্যাপারটা শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশের জন্য শাপেবর হতে পারে, এমন মত লির। কুইন্সটাউনের সুযোগ-সুবিধাকে দারুণ বলেও মনে করেন তিনি।