• বাংলাদেশের নিউজিল্যান্ড সফর ২০২১
  • " />

     

    তামিম: আমাদের ব্যাটিং নিয়ে গর্ব করি, তবে আজ সেটির ধারেকাছেও ছিল না

    তামিম: আমাদের ব্যাটিং নিয়ে গর্ব করি, তবে আজ সেটির ধারেকাছেও ছিল না    

    ইনিংসের প্রথম বলটা ফুললেংথের, সঙ্গে লেট-সুইং। তামিম ইকবালকে সেটি দিয়ে স্বাগত জানালেন ট্রেন্ট বোল্ট। এক বল পর শর্টলেংথ, আগেভাগেই পড়ে ফেলে তামিম সাহসিকতার পরিচয় দিয়ে সেটিকে আপার-কাটে পাঠালেন ডিপ পয়েন্টের ওপর দিয়ে ঘাসের গ্যালারিতে। ডানেডিনের ইউনিভার্সিটি ওভালের মাঠের আকার এমনিতেই ছোট, স্বাভাবিকভাবেই স্কয়ার অফ দ্য উইকেটে দূরত্ব আরও কম। বোল্ট বনাম তামিমের দ্বৈরথ তখন বলা যায় ১-১। 

    এরপর ম্যাট হেনরির দ্বিতীয় বলেই ফ্লিক করে চার-- নিউজিল্যান্ডের ওপেনিং বোলিং জুটির বিপক্ষে এক হাত ওপরে রাখলেন তামিম। কিন্তু সে পর্যন্তই। বোল্টের দারুণ সেট-আপে ধরা পড়লেন তামিম, ওই এক ছয়ে পার্থক্য হলো না তেমন। তামিমের এক বল পর সৌম্য আলগা ডিসমিসালে ফিরলেন বোল্টের বলেই। সেই চাপ থেকে আর বেরুতে পারলো না বাংলাদেশ। ম্যাচের আগে হেড কোচ রাসেল ডমিঙ্গো আলাদা করে পরিসংখ্যান বলেছিলেন, এ মাঠের গড় স্কোর ৩০৭। বাংলাদেশের যা স্কোর, তাতে এর সঙ্গে নিউজিল্যান্ডের স্কোর যোগ করার পরও গড় স্কোরের চেয়ে বেশ খানিকটা পার্থক্য থাকে। কোভিড-১৯ বিরতির পর প্রথম বিদেশ সফরের শুরুটা বাংলাদেশের জন্য হলো বিভীষিকাময়। তামিম বলছেন, এর দায় তাদের বাজে ব্যাটিংয়ের, আর কোনো কিছুর নয়। 

    “আমার মনে হয় আমরা অনেক বেশি আলগা ডিসমিসাল হয়েছি। কোনো সন্দেহ নেই তারা দারুণ বোলিং করেছে। কিন্তু আমার মনে হয় আমরা বাজে শট খেলেছি এবং আমরা কেবল নিজেদেরকেই দোষ দিতে পারি। আমরা আমাদের ব্যাটিং নিয়ে অনেক গর্ব করি। কিন্তু আজকে তার ধারেকাছেও যায়নি সেটি”, ম্যাচশেষে বলেছেন তামিম। 

    “এই উইকেটে ১৩০ কোনোভাবেই যথেষ্ট নয়। আমরা আশা করছি ভুলগুলো খুঁজে বের করার এবং সেগুলো পরের ম্যাচে না করার। কারণ যেমনটা আমি বললাম, আমরা আমাদের ব্যাটিং নিয়ে অনেক গর্ববোধ করি।”

    সিরিজ শুরুর আগেই তামিম বলেছিলেন, মাঠের ফল যাই হোক না কেন, তারা প্রস্তুতির দায় দেবেন না। আরেকবার বললেন তেমনই, “আমরা কুইন্সটাউনে কয়েক দিন ছিলাম, আমরা আমাদের প্রস্তুতি নিয়েছি। আমি আসলে সেগুলো নিয়ে অভিযোগ করতে পারি না। এই কন্ডিশন আমাদের জন্য নতুন কিছু নয়, আমরা প্রায়ই নিউজিল্যান্ডে আসি। যদিও নিউজিল্যান্ড আমাদের দেশে আসে না (হাসি), ওটা ভিন্ন বিষয়। যাই হোক, এই কন্ডিশন আমাদের জন্য নতুন কিছু নয়। আমরা আশা করছি আগামী ম্যাচে আমরা এর চেয়ে ভাল খেলব।”

    দুদিন পর ক্রাইস্টচার্চে দ্বিতীয় ওয়ানডেটি দিবা-রাত্রির। সে ম্যাচের আগে তামিমের কাছে ইতিবাচক ব্যাপার খুব বেশি নেই। এদিন অভিষেক হওয়া মাহাদি হাসান ব্যাটিংয়ে একটু আগ্রাসী ছিলেন, নিজের প্রথম স্কোরিং শটই ছয় ছিল তার। তবে তামিমের মতো তিনিও ছোট একটা দ্বৈরথে-- এক্ষেত্রে মিচেল স্যান্টনারের কাছে-- হেরে গেছেন। পরে বোলিংয়েও বেশ আঁটসাঁট ছিলেন এই অফস্পিনার। তামিম প্রশংসা করেছেন তার।

    বোলিংয়ে ডিসিপ্লিনড ছিলেন তাসকিন আহমেদও, পেসও আদায় করতে পেরেছেন। মার্টিন গাপটিলের ধ্বংসযজ্ঞও থামিয়েছেন তিনিই। তাসকিন নিজেও বলেছেন, প্রস্তুতিতে ঘাটতি ছিল না তাদের, তবে ডুবিয়েছে ব্যাটিং-ই, “ব্যাটিংয়ে স্কোরটা ২৬০-২৭০ হলে লড়াইটা হতে পারত। নিউজিল্যান্ড আমাদের জন্য বরাবরই কঠিন। তবে স্কোরটা বেশি হলে লড়াই করতে পারতাম হয়তো আমরা।”