তামিমের ক্যাচ বিতর্ক: আইন যা বলে
ক্রাইস্টচার্চে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে তামিম ইকবালের তোলা এক ক্যাচ নিয়ে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। পেসার কাইল জেমিসন ক্যাচ নেওয়ার পর অন-ফিল্ড আম্পায়ারের সফট সিগন্যাল ছিল আউট, তবে টিভি আম্পায়ার নাকচ করেছেন সেটি।
ম্যাচের ১৫তম অভারে বোলারস ব্যাকড্রাইভ খেলেছিলেন তামিম, সামনে ঝুঁকে সেটি নিয়েছিলেন জেমিসন। সঙ্গে সঙ্গেই নিউজিল্যান্ডের দীর্ঘদেহী পেসার উল্লাস শুরু করলেও তামিম ইঙ্গিত দিচ্ছিলেন স্কয়ার লেগে দাঁড়ানো আম্পায়ার ক্রিস গ্যাফানিকে, জেমিসন ক্যাচ ঠিকঠাক নিতে পারেননি বলে।
টিভি আম্পায়ার বেশ কয়েক অ্যাঙ্গেলে দেখার পর ব্যবহার করেছেন জুমার, এরপর ‘বলের নিয়ন্ত্রণ নিতে পারেননি’ জেমিসন, এমন সিদ্ধান্তে এসে তামিমকে দিয়েছেন নট-আউট। মাঠে অসন্তোষ দেখিয়েছেন এরপর জেমিসন, অনলাইনেও শুরু হয়েছে বিতর্ক।
অবশ্য ক্রিকেটের আইন অনুযায়ী, টিভি আম্পায়ার ওয়েইন নাইটসের সিদ্ধান্তটা যথার্থই। এমসিসির আইনের ৩৩.৩ ধারা অনুযায়ী, “ক্যাচ ধরার প্রক্রিয়া শুরু হবে প্রথম যখন বল ফিল্ডারের সংস্পর্শে আসে, শেষ হবে যখন ফিল্ডার বল এবং তার মুভমেন্টের ওপর পুরো নিয়ন্ত্রণ আনতে পারে।”
এমসিসির ই-লার্নিংয়ে ওপরের আইনের ব্যাখ্যায় সরাসরিই উল্লেখ আছে, “যখন খেলোয়াড় ডাইভ দিয়ে ক্যাচ ধরবে, ততক্ষণ পর্যন্ত তাদের পুরো নিয়ন্ত্রণ থাকবে না, যতক্ষণ না ল্যান্ড করার পর পুরো থেমে যান।”
এক্ষেত্রে জেমিসন বলটা ঠিকঠাক নেওয়ার পর ডাইভ দিয়েছিলেন, তবে ডাইভ শেষ করার আগে বল মাটি ছুঁয়েছিল স্পষ্টতই। সে অ্যাঙ্গেলেই বলের ওপর পুরো নিয়ন্ত্রণ নিতে পারেননি বলে সিদ্ধান্ত দিয়েছেন টিভি আম্পায়ার।
এ ঘটনার সময় তামিমের রান ছিল ৩৪। পরে ৭৮ রান করে জিমি নিশামের দারুণ ফুটওয়ার্কে রান-আউট হয়ে ফিরেছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক।