স্মরণীয় জয়ে সেমিফাইনালে ইংল্যান্ড
কী বলা যায় ম্যাচটাকে? শ্বাসরুদ্ধকর? রোমাঞ্চকর ? স্নায়ুক্ষয়ী? কোন বিশেষণই আসলে ম্যাচটা বোঝানো যাবে না। যে ম্যাচটা শ্রীলঙ্কার মুঠো গলেই প্রায় বেরিয়ে গিয়েছিল, সেটাই প্রায় হাতের মুঠোয় নিয়ে এসেছিল শ্রীলঙ্কা। কিন্তু তাতেও লাভ হলো না, শেষ পর্যন্ত ১০ রানের দুর্দান্ত এক জয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে চলে গেল ইংল্যান্ড।
ইংল্যান্ডের ১৬১ রান তাড়া করে শ্রীলঙ্কা যখন প্রথম ১৫ রানের মধ্যেই ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলল, মনে হচ্ছিল আরেকটি পরাজয় স্রেফ সময়ের ব্যাপার। চান্ডিমাল, দিলশান, থিরিমান্নে, সিরিবর্ধনে- কেউই দুই অঙ্ক ছুঁতে পারেননি। ক্রিজে যখন অধিনায়ক অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুস আর চামারা কাপুগেদারা। সেখান থেকে পঞ্চম উইকেটে দুজন মিলে যোগ করলেন ৮০ রান। একটু একটু করে ম্যাচ জয়ের আশা জেগে উঠছিল শ্রীলঙ্কার। এর পর থিসারা পেরার সঙ্গে ম্যাথুসও যখন তাণ্ডব শুরু করলেন, হঠাৎ করেই উজ্জ্বল শ্রীলঙ্কার জয়ের আশা।
পেরেরা আউট হয়ে গেলেও শনাকাকে নিয়ে ম্যাথুস শেষ পর্যন্ত যাবেন বলেই মনে হচ্ছিল। কিন্তু ১৯তম ওভারেই ইংল্যান্ডকে ম্যাচে নিয়ে আসেন ক্রিস জর্ডান। অবশ্য আসলে বলা উচিত জো রুট। জর্ডানের বলে শনাকার ওই ক্যাচটা রুট অবিশ্বাস্যভাবে না ধরলে নিশ্চিত চার হয়ে যায়। শ্রীলঙ্কার ২ ওভারে ২২ রানের সমীকরণও একটু সহজ হয়ে আসে। কিন্তু জর্ডান ওই অভারে দিলেন মাত্র ৭ রান। শেষ ওভারে দরকার ১৫, কঠিন হলেও অসম্ভব নয়। কিন্তু দারুণ এক ওভারে ৫ রানের বেশি দিলেন না বেন স্টোকস। ম্যাথুসের ৫৪ বলে ৭৩ রানের দুর্দান্ত ইনিংসও বিফলে গেল।
তার আগে ইংল্যান্ডকে ১৭১ রানে নিয়ে যাওয়ার মূল অবদান জস বাটলারের। ৩৭ বলে ৬৬ রানের অসাধারণ একটা ইনিংস খেলেছেন। ৪২ রান করে জেসন রয় দিয়েছেন যোগ্য সঙ্গ। কে জানত, একসময় অসাধ্য মনে হওয়া ইংল্যান্ডের এই রানটাও শ্রীলঙ্কা প্রায় ছুঁয়েই ফেলবে !